ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সঞ্চালন ও বিতরণ জটিলতায় বিদ্যুত সরবরাহে বিঘ্ন ॥ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

   সঞ্চালন ও বিতরণ জটিলতায় বিদ্যুত সরবরাহে বিঘ্ন ॥ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা ভিন্ন হওয়াতে প্রকল্প শেষ করতে বেশি সময় প্রয়োজন হয়। বিদ্যুতের সঞ্চালন এবং বিতরণ লাইন নির্মাণে ধীর গতির কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিদ্যুত জ্বালানি খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বুধবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া বিদ্যুত জ্বালানি সপ্তাহ শুরুর আগে মন্ত্রণালয় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। বর্তমান সরকারের সময়ে জ্বালানি খাতের সাফল্য তুলে ধরে সাধারণ মানুষকে জানাতে বিদ্যুত ও জ্বালানি সপ্তাহ ২০১৮ আয়োজন করা হচ্ছে। সরকারের দুই মেয়াদে এটি অষ্টম বিদ্যুত সপ্তাহ। সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে বিদ্যুত সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শেষ হবে। বিদ্যুত উৎপাদন হলেও সঞ্চালন এবং বিতরণ জটিলতার কারণে বিদ্যুতের সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। সঞ্চালন এবং বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রত্যাশিত গতি নেই কেন? এমন প্রশ্নে বিপু বলেছেন, আমরা পরিকল্পার পর যখন কাজ করতে চাই তখন পরিস্থিতি বদলে যায়। আমাদের ছোট দেশ। এখানে ঘনবসতির সঙ্গে রয়েছে বিপুল জনগোষ্ঠী এবং ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা। এসব কারণে সব সময় পরিকল্পনা মাফিক কাজ করা সম্ভব হয় না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতে এই সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা গোটা দেশের অর্থনীতিতে সুফল বয়ে আনছে। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আগামীতে আবারও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনুন, নৌকায় আস্থা রাখার জন্য দেশের মানুষকে আহ্বান জানান। একই প্রশ্নে বিদ্যুত সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, বিদ্যুত উৎপাদনে যেভাবে বিপুল বিনিয়োগ হয়, বিতরণ ও সঞ্চালনেও তেমন বিনিয়োগ প্রয়োজন। এজন্য এই বিশাল বিনিয়োগ আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বড় বড় কিছু প্রকল্পর কাজ চলছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জটিলতা আরও কমবে। তিনি বলেন, সংযোগ যে হারে বেড়েছে তাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ দরকার। কয়েক বছরের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না। তবে ঠিক কত বছরের মধ্যে লোডশেডিং থাকবে না সে বিষয়ে বিদ্যুত সচিব স্পষ্ট করে কিছু বলেননি। তিনি জানান, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বড়পুকুরিয়া বিদ্যুত কেন্দ্র চালু হবে। ভবিষ্যতে যাতে কয়লা চালিত বিদ্যুত কেন্দ্রটিকে কোন সঙ্কটে পড়তে না হয় এজন্য কয়লা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুর একটি প্রতিনিধি দল ঘুরে এসেছে। এছাড়া খনি থেকেও কয়লা উত্তোলন শুরু হচ্ছে বলে জানান তিনি। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) মঈন উদ্দিন বলেন, পল্লী বিদ্যুত সংযোগ পেতে সমিতিতে ঘুষ দিতে হয় এ কথা সত্যি। কিন্তু এ রকম দালালচক্রকে চিহ্নিত করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এটাও সত্য। তিনি বলেন, এরমধ্যে অনেককে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন মানুষ দ্রুত বিদ্যুত পেতে চায় বলেই সংযোগে ঘুষ দেয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, পিডিবি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
×