ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাতিকে নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় নানি নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৪৫, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 নাতিকে নিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপের ধাক্কায় নানি নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কুল থেকে নাতিকে নিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় পিকআপের ধাক্কায় নানি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে শাহ আলী থানা এলাকায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় একটি পিকআপের ধাক্কায় সাত বছরের নাতির সামনেই নানি সোলেমা খাতুনের (৬০) মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পিকআপসহ চালক লিটনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া জানান, নিহত সোলেমা খাতুন তার ছোট মেয়ে হেলেনার সন্তান হেলালকে নিয়ে স্থানীয় স্কুল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পথে শাহজাদপুর সুবাস্তু টাওয়ার সংলগ্ন সড়কে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি পিকআপ গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এতে নানি গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হেলাল স্থানীয় স্কুলের নার্সারিতে পড়ছে। ঘটনার সময় নানির হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছিল হেলাল। সে সামান্য আহত হয়েছে। নানির বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া থানায়। শাহজাদপুর খিলবাড়িরটেক এলাকায় মেয়ে হেলেনার বাসায় থাকছিলেন। অন্যদিকে রাজধানীর শাহ আলীর একটি বাসায় স্বামী কর্তৃক স্ত্রী শাহিনা আক্তারকে (৩২) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ। ঘটনার পর থেকে মৃতের স্বামী নীরব পলাতক। শাহ আলী থানার এসআই মনিরুজ্জামান জানান, শাহিনা তার স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে শাহ আলীর ডি-ব্লকের চার নম্বর সড়কের একটি টিনশেড বাসায় থাকতেন। তার স্বামী নীরব কবুতরের ব্যবসা করেন। নিহতের পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার গভীর রাতে পারিবারিক বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ হয়। এক পর্যায়ে নীরব স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের চার্জারের তার দিয়ে গলা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করলে শাহীনার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর লাশ রেখেই ঘাতক পালিয়ে যায়। পলাতক নীরবের মা, বাবা ও ভগ্নিপতিকে থানায় নিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে মৃত্যুর ঘটনায় তাদের জড়িত থাকার কোন তথ্য না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় শাহিনার ভাই বাবু মিয়া বাদী হয়ে নীরবকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। অভিযোগে যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই শাহিনাকে নির্যাতন করা হতো। তারই ধারাবাহিকতায় হত্যাকান্ডটি নীরব ঘটায় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
×