ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়ামের যৌথসভা

ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই জাপার জোট গঠনের পরামর্শ

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই জাপার জোট গঠনের পরামর্শ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে দলের সঙ্গেই জোট করা হোক না কেন, ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই জোট গঠন করতে দলীয় চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পরামর্শ দিয়েছেন বিরোধী দল জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলীয় সাংসদরা। বুধবার রাজধানীর বনানীর জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্যের যৌথসভায় একাধিক এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এমন মনোভাব প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন। এককভাবে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। সেইসঙ্গে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল অংশ না নিলেও জাতীয় পার্টি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৈঠকে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বলেন, আমরা কারো কাছে সিট চাইব না, মন্ত্রী সংখ্যাই বা আমরা কেন চাইব। আমরা বিরোধী দল বা সরকারের অংশীদার হওয়ার জন্য তো রাজনীতি করছি না। রাজনীতি করছি ক্ষমতায় গিয়ে দেশের সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। এবার আমরা সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করব। তবে নির্বাচনী রাজনীতিতে জোট করা যায়। কিন্তু এবার আমরা কারো সঙ্গে আগ বাড়িয়ে জোটে যাওয়ার কথা কেন বলব। কেউ যদি ক্ষমতার অংশীদার হতে চায়, তাহলে তারাই আমাদের সঙ্গে জোটে আসবে। রওশন এরশাদের বক্তব্যে জবাবে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, রওশনের বক্তব্যে আমি খুশি হয়েছি, উৎসাহিত হয়েছি। আমরা এবার নিজেরাই রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করব। এ সময় তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে আরও বৃহৎ জোট করব। তবে এটা নিশ্চিত, এবার ন্যায্য হিস্যা আদায় করেই জোটের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিব। সভার শুরুতেই জাপার মহাসচিব শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের মানুষ লাঙ্গলে ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় বসানোর অপেক্ষায়। এজন্য সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের নির্বাচনী মাঠে নেমে পড়তে হবে। তিনি আগামী দেড় মাসের মধ্যেই ৩০০ সংসদীয় আসনের সবকটি কেন্দ্র কমিটি ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রথমদিনে এক লাখ মানুষ মারা যাবে। তো দ্বিতীয় দিনে কতজন মারা যাবে তা বলেননি। তবে আমরা চাই কোন মানুষ মারা না যাক। আর এজন্য জ০াতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসা ছাড়া উপায় নেই। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এম এ সাত্তার, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, প্রফেসর দেলোয়ার হোসেন খান, সাহিদুর রহমান টেপা, এ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, সুনীল শুভ রায়, এস এম ফয়সল চিশতি, সোলেয়মান আলম শেঠ, এম হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ফখরুল ইমাম এমপি, মশিউর রহমান রাঙ্গা, মুজিবুল হক চুন্নু, নুর-ই হাসনা লিলি চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মেজর (অব) খালেদ আখতার, আজম খান মুজিবুল হক সেন্টু, আব্দুর রশীদ সরকার, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, মাসুদা এম এ রশিদ চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জিয়াউল হক মৃধা এমপি, নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, ইয়াহহিয়া চৌধুরী, সেলিম উদ্দীন এমপি।
×