ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রায়ে বিস্মিত মিয়ানমারের সাংবাদিকদের স্ত্রীরা

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  রায়ে বিস্মিত মিয়ানমারের সাংবাদিকদের স্ত্রীরা

মিয়ানমারে রয়টার্স সংবাদ সংস্থার দন্ডপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিকের স্ত্রীরা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দেয়া সাত বছরের কারাদন্ডের রায়ে তারা বিস্মিত। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন। খবর গার্ডিয়ান ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব এ্যান্তোনিও গুতেরেসও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও তথ্য জানার অধিকার যেকোন গণতন্ত্রের ভিত্তি। রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য প্রতিবেদন করায় সাংবাদিকদের বিচার করার বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য। একইদিন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স গণমাধ্যমের স্বাধীনতার গুরুত্বকে ইঙ্গিত করে মিয়ানমারে আটক সাংবাদিকদের রায় পুনর্বিবেচনা ও তাদের অবিলম্বে মুক্তির আহ্বান জানান। দন্ডপ্রাপ্ত সাংবাদিক ওয়া লোনের স্ত্রী প্যান এই মুন বলেন, তিনি এ ধরনের হয়রানিমূলক শাস্তি কখনও আশা করেননি ‘কারণ সবাই জানে যে তারা কোন অন্যায় কিছু করেননি’। বিচার শুরু হবার পর থেকে দুই সাংবাদিক দাবি করে আসছিলেন পুলিশ তাদের ফাঁদে ফেলে আটক করে। প্যান এই মুন ১০ আগস্ট ইয়াঙ্গুনে তাদের প্রথম সন্তানকে জন্ম দেন। যদিও তার স্বামী এখনও তাদের মেয়েকে দেখার সুযোগ পাননি। প্যান বলেন, আমার মেয়ের জন্মের পর আমি জোরালোভাবে আশা করছিলাম যে আমার মেয়ে ও তার বাবা খুব শীঘ্রই একে অপরকে দেখার সুযোগ পাবে। কিয়াও সোয়ে ওওর স্ত্রী চিত সুও বলেন, তিনি আশা করেছিলেন তার স্বামী বাড়িতে ফিরবেন। তাদের একটি তিন বছরের মেয়ে আছে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি তিনি মুক্ত হবেন। তার স্বামীও আশা করেন তিনি মুক্তি পাবেন।
×