ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিমান হামলা শেল নিক্ষেপ

ইদলিবে সিরিয়া ও মিত্র বাহিনীর অভিযান শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ইদলিবে সিরিয়া ও মিত্র বাহিনীর অভিযান শুরু

সিরিয়ার সামরিক বাহিনী বুধবার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধিতাকারী বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী অবস্থানে শেল নিক্ষেপ করেছে। বিদ্রোহীরা সরকারী হামলা মোকাবেলায় একটি ব্রিজ উড়িয়ে দিয়েছে বলে যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী এক সংস্থা জানিয়েছে। খবর ইয়াহু নিউজের। সিরীয় সমর্থিত রাশিয়া ও ইরানী মিত্রজোট ইদলিব ও সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় এক সপ্তাহ পরে মঙ্গলবার বিমান হামলা শুরু করে। ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারপন্থী বাহিনী মঙ্গলবার সারারাত ও বুধবার সকালে শেল নিক্ষেপ করা হয়। এলাকাটির পাশেই পশ্চিম দিকে বিদ্রোহীদের জিসের আল শূগহর রয়েছে। ব্রিটেনভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ও বিদ্রোহী সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবারের বিমান হামলার মূল লক্ষ্য ছিল এলাকাটি। তুরস্কের সামরিক বাহিনীর উপস্থিতিও সামান্য ছিল। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান তার দেশের এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ইদলিবের হামলা হবে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। শুক্রবার রাশিয়ান ও ইরানী নেতাদের সম্মেলনের ইতিবাচক দিক নিয়ে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন। মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো ইদলিব হামলা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকাটির ১৫ লাখ লোক ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সেখানে ৩০ লাখ লোক বাস করে। ইদলিবের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো এখন বিভক্ত হয়ে আছে। সিরিয়া সমর্থিত জঙ্গী জোটের সঙ্গে রয়েছে আলকায়েদা। এলাকাটিতে তাদের অবস্থান খুব শক্তিশালী। তাহরির আল শাম জোটকে জাতিসংঘ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। রাশিয়া ইদলিবকে সন্ত্রাসীদের আবাস ও দ্রুত তা বাড়ছে বলে বর্ণনা করেছে। এর সমাধান অবশ্যই করতে হবে বলে জানিয়েছে। জাতিসংঘে সিরিয়ার দূত স্তাফান ডি মিস্তুরা আশা প্রকাশ করেছেন, রাশিয়া ও তুরস্ক সমাধানের পথ খুঁজে বের করবে এবং তারা রক্তবন্যা এড়াতে সক্ষম হবেন। ইদলিবে আরও কয়েকটি বিভক্তি রয়েছে। যার মধ্যে কিছু রয়েছে যেগুলো ফ্রি সিরিয়ান আর্মি নামে। যারা এ বছর তুর্কী সমর্থিত নতুন জোটে যোগ দিয়েছেন। যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানিয়েছে, সেখানকার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট নামে পরিচিত। যেজন্য এলাকাটির গুরুত্ব সেখানে রয়েছে ও ইদলিবের আশপাশেও রয়েছে।
×