ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত এক

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে নিহত এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৪ সেপ্টেম্বর ॥ সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের খোয়ার গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে সাখাওয়াত হোসেন ওরফে সাকু মহরী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে সাকু ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি খোয়ার গ্রামের খালেক মহরীর ছেলে। ভাঙ্গা কোর্টে মহরির কাজ করতেন। জানা যায়, উপজেলার গট্টি ও পাশের আটঘর ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গট্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওদুদ মাতুব্বরের সমর্থকদের সঙ্গে গট্টি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল মতিন বাদশার ও আটঘর ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল হাসান খান ওরফে সোহাগ খানের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে আটঘরের সিংহপ্রতাপ গ্রামে ওদুদ ও ফজলুল মতিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় একটি বাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। এর জের ধরে বিকেলে আটঘরের গোয়ালপাড়া গ্রামে সোহাগ খান ও ওদুদ সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। ওই সংঘর্ষে যোগ দিতে খোয়ারপাড়া গ্রামের ওদুদ সমর্থকরা উদ্যোগ নেয়। ওই সময় গট্টির ফজলুল মতিন সমর্থকরা হুমকি দেয় ওদুদ এর সমর্থকরা গোয়ালপাড়া গেলে তারা খোয়াড় গ্রাম আক্রমণ করবে। এ খবর শুনে খোয়ারপাড়া গ্রামের ওদুদের সমর্থকরা গোয়ালপাড়া না গিয়ে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভাবুকদিয়া গ্রামে হামলা চালাতে যায়। এ সময় ভাবুকদিয়া গ্রামের লোকদের সঙ্গে ওদুদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সাখাওয়াতসহ আরও পাঁচজন আহত হন। সাখাওয়াতকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে তিনি মারা যান। এর জের ধরে সোমবার রাত ১০টা থেকে খোয়ার গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল সমর্থিত অন্তত ১২টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা গরু ছাগল নিয়ে যায়। ওই সময় ভাংচুর করা হয় সামাদ মাতুব্বরের বাড়ি।
×