ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শরণখোলায় ভেঙ্গে পড়া সেতু সংস্কার হয়নি ৩ বছরেও ॥ ভোগান্তি

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শরণখোলায় ভেঙ্গে পড়া সেতু সংস্কার হয়নি ৩ বছরেও ॥ ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শরণখোলা সদরে উপজেলা পরিষদের সামনের খালে গত ৩ বছর আগে ভেঙ্গে পড়া ব্রিজটি আজও মেরামত করা হয়নি। সেই থেকে বাঁশের তৈরি ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পারাপার করতে হচ্ছে জনসাধারণকে। শিশু শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ যারা এ বাঁশের সাঁকো পারাপার করতে পারেন না, তাদের বাধ্য হয়ে এক কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী সাধারণের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই। এলাকাবাসী জানান, শরণখোলা উপজেলা পরিষদের সামনে রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থানে খালের ওপর নির্মিত লোহার ব্রিজটি ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ভেঙ্গে পড়ে। এরপর থেকে শুরু হয় জনদুর্ভোগ। খালটির উত্তর দিকে উপজেলা পরিষদ, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং দক্ষিণ দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ও একটি এতিমখানা রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, রায়েন্দা ইউনিয়নের খাদা, মালিয়া, দক্ষিণ রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর, রসুলপুর, ভোলারপাড়, সোনাতলা, উত্তর তাফালবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের উপজেলা পরিষদে দাফতরিক কাজে আসতে হয়। এছাড়া প্রাণিসম্পদ দফতরটি ভাঙ্গা ব্রিজের দক্ষিণ পাশে হওয়ায় গবাদি পশু চিকিৎসার জন্য আনা-নেয়া করতে পারছে না স্থানীয়রা। খোন্তাকাটা ইউপি সদস্য আহমদুল্লাহ সানি বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় ৩ বছর ধরে ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো পার না হয়ে এখন এক কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা সদরে আসছেন। দীর্ঘ তিন বছরেও ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খোন্তাকাটা ইউপির চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে। এখানে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ না হলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলার প্রকৌশলী চন্দন চক্রবর্তী বলেন, ৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজটি আরসিসি ব্রিজ হিসেবে পুনঃনির্মাণে ডিপিপিভুক্ত করার প্রস্তাব এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু সেটি এখনও ডিপিপিভুক্ত না হওয়ায় ব্রিজটি নির্মাণ করা যাচ্ছে না। তবে শীঘ্রই এটি অনুমোদন হবে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রিজটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
×