ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বাণিজ্যে ব্যবধান বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বাণিজ্যে ব্যবধান বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিন দিন ব্যবধান বাড়ছে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ বাণিজ্যের। একসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ বেশি থাকলেও এখন আমদানির পরিমাণ ৬ গুণেরও বেশি। ব্যবসার সহজীকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার প্রসারসহ নানা ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। ফলে বিদেশী বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হচ্ছেন সেখানে বিনিয়োগে। বিশ্লেষকদের অভিমত, বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকেও। ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেও ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধে জড়িয়ে ছিল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। তবে নিজেদের পরিবর্তন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এক সময়ের যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশ এখন অনেকের কাছেই রোল মডেল। বিশ্ববাণিজ্যে ভিয়েতনামকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী হিসেবে দেখা হলেও বিভিন্ন সূচকেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশটি। জনসংখ্যা বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক হলেও রফতানি আয় বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় পাঁচগুণ বেশি। ব্যবসার সহজীকরণ, তথ্য-প্রযুক্তি, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতার প্রসারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেই ঈর্ষণীয় পরিবর্তন ভিয়েতনামের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিদেশী বিনিয়োগকারীরা ছুটছেন সেখানে বিনিয়োগ করতে। দিন দিন ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যের তফাতও বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বাংলাদেশ রফতানি করেছে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলারের পণ্য। বিপরীতে আমদানি করেছে ৪১ কোটি ডলারের পণ্য। অথচ, একসময় সেখানে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ আমদানির চেয়ে বেশি ছিল। অর্থনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীদের অভিমত, বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো, পরিকল্পিত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন, বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের উন্নয়নসহ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।
×