ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইদলিব অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইদলিব অভিযানের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশে সর্বাত্মক অভিযান না চালাতে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এবং তার মিত্র ইরান ও রাশিয়াকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ধরনের অভিযানে লাখ লাখ লোক নিহত হতে পারে বলে সোমবার সতর্ক করেছেন তিনি। বিবিসি। এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘রুশরা ও ইরানিরা সম্ভাব্য এই মানবিক বিপর্যয়ে অংশ নিতে গিয়ে গুরুতর মানবিক ভুল করতে যাচ্ছে। লাখ লাখ লোক নিহত হতে পারে। এটি হতে দেয়া যায় না!’ সম্প্রতি একটি সূত্র জানিয়েছে, ইদলিব পুনরুদ্ধার করতে ধাপে ধাপে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন আসাদ। সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এই প্রদেশটি ও এর আশপাশের এলাকাগুলো আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহীদের দখলে থাকা শেষ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকাগুলোতে প্রায় ৩০ লাখ বেসামরিক লোক বসবাস করে। সাত বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট আসাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে মিত্র রাশিয়া ও ইরানের বাহিনীগুলো। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ইদলিবে যে কোন সরকারী আক্রমণকে সিরিয়া যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধি হিসেবে দেখে ওয়াশিংটন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করছে যে, দামেস্ক কোন রাসায়নিক হামলা চালালে ওয়াশিংটন তার জবাব দিবে। সোমবার রাতে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি টুইটারে লিখেছেন, ‘সব চোখ এখন ইদলিবে আসাদ, রাশিয়া ও ইরানের পদক্ষেপের দিকে।’ সিরিয়ার অধিকাংশ স্থানে বিদ্রোহীরা পরাজিত হয়েছে। ইদলিবে সরকারী বাহিনীর এই অভিযানই সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সর্বশেষ বড় লড়াই হতে পারে। জাতিসংঘের হিসাব মতে ইদলিবের বাইরে প্রায় ১০ হাজার আল-নুসরা ও আল-কায়েদা জিহাদী যোদ্ধা অবস্থান করছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ইদলিবে সন্ত্রাসীদের অবশ্যই নিঃশেষ হতে হবে। তারা সাধারণ নাগরিকদের মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি ও তার সিরিয়ান সমকক্ষ ওয়ালিদ মুয়ালেম সরকার সমর্থিত বাহিনীকে দোষারোপ করতে এবং নতুন মার্কিন হামলা চালানো তরান্বিত করতে সাজানো রাসায়নিক আক্রমণের প্রস্তুতি নেয়ার জন্য বিদ্রোহীদের অভিযোগ করেছেন। সিরিয়ায় নিযুক্ত জাতিসংঘ দূত স্তাফান ডি মিস্তুরা ইদলিবে আসন্ন মানবিক সঙ্কটের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। সাধারণ নাগরিকরা যাতে সরে পড়তে পারে সে জন্য তিনি মানবিক পথ খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, জিহাদীদের অবশ্যই পরাজিত হতে হবে, তবে সেটা হাজারও সাধারণ নাগরিকের জীবনের মূল্যে নয়। জাতিসংঘ আলেপ্পো, রাকা ও পূর্ব গৌতাসহ সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের মতো সাধারণ নাগরিকদের মৃত্যু এড়াতে মরিয়া। সংস্থাটির কূটনীতিকরা সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছেন। দেশটিতে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধে চার লাখেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে এবং অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
×