ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে সাজাপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিকের মুক্তি দাবি

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারে সাজাপ্রাপ্ত দুই সাংবাদিকের মুক্তি দাবি

মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের দায়ে দ-িত রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের নতুন মানবাধিকার বিষয়ক হাই-কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট। সেই সঙ্গে মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার যে সাংবাদিকদের আটক রাখা হয়েছে, তাদের সবাইকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেফতার রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সোয়ে ওওকে (২৮) সোমবার দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদ- দিয়েছে ইয়াঙ্গুনের একটি আদালত। রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন ওই দুই সাংবাদিক। বরাবরই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আসা এই দুই সাংবাদিক মামলার বিচারের সময় আদালতকে বলেছিলেন, গত ১২ ডিসেম্বর ইয়াঙ্গুনের এক রেস্তরাঁয় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে দুই পুলিশ সদস্য তাদের হাতে কিছু মোড়ানো কাগজ ধরিয়ে দেন এবং তার পরপরই সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার এক বিবৃতিতে মিশেল ব্যাশেলেট বলেন, যে আইনী প্রক্রিয়ায় ওই দুই সাংবাদিককে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাতে স্পষ্টতই আন্তর্জাতিক মানের ব্যত্যয় ঘটেছে। ‘এই রায় মিয়ানমারে দায়িত্বরত সব সাংবাদিককে এটাই বলছে- তারা সেখানে নির্ভয়ে কাজ করতে পারবেন না। হয় তাদের ঘটনা চেপে যেতে হবে, নইলে কারাগারে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে হবে।’ গত বছরের ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েক ডজন নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার জবাবে সেনাবাহিনী ওই নির্মম দমন অভিযান শুরু করে। জাতিসংঘ বলছে, সেনাবাহিনীর ওই অভিযানে এ পর্যন্ত দশ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই দমন-পীড়নের মুখে গতবছর আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেখা হচ্ছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে ওঠা শরণার্থী সঙ্কট হিসেবে।
×