মহাকাশের জন্য লিফট

স্পেস স্টেশনের সঙ্গে ভূপৃষ্ঠের যোগাযোগ তৈরিতে লিফট ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে জাপান। ভূপৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ স্টেশন পর্যন্ত লিফট বানানোর লক্ষ্যে চলতি মাসেই পরীক্ষা চালাবে দেশটির একদল গবেষক। কেবলযুক্ত এই লিফটে পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে মহাকাশ কেন্দ্রে যাত্রী ও মালামাল পাঠানো যাবে। মহাকাশে লিফট বানানোর লক্ষ্যে চলতি মাসে পরীক্ষা চালাবে জাপানের শিজুকা ইউনিভার্সিটি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের একদল গবেষক। মহাকাশে এটিই হবে কেবল দিয়ে কন্টেনার পরিবহনের প্রথম পরীক্ষা। ১১ সেপ্টেম্বর এই পরীক্ষায় ১০ মিটার দীর্ঘ কেবলের দুপাশে যুক্ত ১০ সেন্টিমিটার আকারের দুটি ক্ষুদ্র কিউবিক স্যাটেলাইট কাগোশিমা টানেগাশিমা স্পেস সেন্টার থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। মহাকাশ কেন্দ্র থেকে সংযুক্ত স্যাটেলাইটটি উন্মুক্ত করা হবে। কেবল দিয়ে ওঠানামা করার জন্য একটি মোটরচালিত কন্টেনার লিফট গাড়ির মতো কাজ করবে এবং স্যাটেলাইটে যুক্ত ক্যামেরা দিয়ে এর যাত্রা ভিডিও করা হবে। এই প্রকল্পের প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ওবায়াশি কর্পোরেশন একই ধরনের আরেকটি প্রকল্পে ইতোমধ্যেই কাজ করছে। ২০৫০ সালের মধ্যে তারা একটি মহাকাশ লিফট সরবরাহের প্রত্যাশা করছে বলে এর আগে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রকল্পে বেশ কিছু বাধা পেয়েছেন গবেষকরা। এর মধ্যে উচ্চ-শক্তির কসমিক রশ্মি নিরোধী বিশেষ কেবল তৈরি, পৃথিবী থেকে মহাকাশে বিদ্যুত পরিবহনের মতো বিষয়গুলো ছিল। মহাকাশে যাতায়াতের লিফট তৈরি করা গেলে এটি খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি মহাকাশ ভ্রমণের ঝুঁঁকিও অনেকটা কমাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে শাটলের মাধ্যমে মহাকাশে প্রতি কেজি কার্গো পাঠাতে খরচ হয় প্রায় ২২ হাজার মার্কিন ডলার। এ ক্ষেত্রে লিফটের মাধ্যমে খরচ পড়বে প্রায় ২০০ ডলার। গবেষকদের ধারণা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারবে লিফটটি। এতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছাতে এটির সময় লাগবে আট দিন। -সিনেট