ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল পটুয়াখালী;###;সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ৩-এর পাতায়

আওয়ামী লীগ চাইছে তিন আসনেই বিজয় নিশ্চিত করতে ॥ ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগ চাইছে তিন আসনেই বিজয় নিশ্চিত করতে ॥ ঠাকুরগাঁও

এসএম জসিম উদ্দিন, ঠাকুরগাঁও ॥ হাতে মাত্র আর চারটি মাস। এর পর নির্বাচন। হাতে মোটেই সময় নেই। তাই ঠাকুরগাঁও জেলাতে বইছে নির্বাচনের হাওয়া। একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা জল্পনাকল্পনা। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়েও প্রতিদিন চায়ের কাপে ঝড় উঠছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট এবং সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজ নিজ সংসদীয় আসনে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনের মধ্যে দুটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এবং অপরটি শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির দখলে রয়েছে। তবে একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রায় এক ডজন নেতা মনোনয়ন বাগাতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ চাইছে তিনটি আসনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে। অন্যদিকে বিএনপি চাইছে আওয়ামী লীগের বিভেদকে কাজে লাগিয়ে আসনগুলোতে ভাগ বসাতে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় কর্মীসমর্থকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে আসনগুলোতে যোগ্য ও সৎ প্রার্থী মনোনয়নে ব্যর্থ হলে সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে বিএনপি। আর দ্রুতই দলের মধ্যে সৃষ্ট সমস্যা ও বিভেদগুলো দূর করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারলে আগামী নির্বাচনেও তিনটি আসনই আওয়ামী লীগের ঘরে আসবে। ঠাকুরগাঁও-১ (সদর) ॥ এ আসনটি বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমানে দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের মধ্যে নির্বাচনী লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের ঘাঁটি বলে পরিচিত। বর্তমান এমপি ও সাবেক মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন না করায় তার প্রতি দলটির একাংশের নেতাকর্মীর ক্ষোভ রয়েছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও বিএনপিতে রয়েছে একক প্রার্থী। এ আসনের বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিম-লীর সদস্য নির্বাচিত করার পর থেকে দলের নেতাকর্মীর মধ্যে চাঙ্গাভাব চলে এসেছে। তবে দলের মধ্যে দলীয় কোন্দল, বর্তমান এমপি ও তার কাছের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় নেতাকর্মীর মধ্যে কিছুটা বিভক্তি দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি রয়েছে অনেকটাই নির্ভার। দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ বিএনপি চাইছে বিভক্ত আওয়ামী লীগকে হারিয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। এ আসনে বরাবরই ফ্যাক্টর প্রায় ২৩ ভাগ হিন্দু ভোটার। এক লাখ ২০ হাজার হিন্দু ভোটারই এ আসনে ফল নির্ধারণের মূল নিয়ামক। এই বিপুল সংখ্যক হিন্দু ভোটারকে কাছে টানতে মির্জা ফখরুল নানা কৌশলে কাজ করছেন। ১৯৯১ সালে ঠাকুরগাঁও সদর আসনটিতে প্রথম নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খাদেমুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের একই প্রার্থীর কাছে হারার পর ২০০১ সালে বর্তমান এমপি রমেশ চন্দ্র সেনকে হারিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। অবশ্য ২০০৮ সালে রমেশ চন্দ্র সেনের কাছে পুনরায় পরাজিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিম-লীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের নানা কারণে দলেরই কিছু অংশের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনৈতিক নানা দুর্নীতি এবং আড়ালে থেকে উপজেলা ও পৌর নির্বাচনে নিজ দল সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করায় ভেতরে ভেতরে নিজ দলেরই একাংশ কর্মীদের কাছে অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছেন তিনি। তার প্রাতিষ্ঠানিক প্রমাণ মিলেছে আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে হেরে গিয়ে এখন কেবলই জেলা কমিটির একজন সদস্য মাত্র। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে জামায়াতের লোকজনকেও কনস্টেবলসহ নানা জায়গায় চাকরি প্রদানের অভিযোগ করেছেন তার বিরোধী অংশ। এই অংশটি আগামী নির্বাচনে এ আসনে নতুন কোন যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সামশুল নামে এক নেতার অভিযোগ, ঠাকুরগাঁও পৌর নির্বাচনে নেত্রী (শেখ হাসিনা) মনোনয়ন দিয়েছিলেন তাহমিনা মোল্লাকে। কিন্তু তাহমিনা মোল্লার কাছ থেকে যেহেতু এমপি টাকা নিতে পারবেন না, তাই পক্ষ নেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সালের। এমপি তার লোকজনকে গোপনে নির্দেশনা দেন তাহমিনা মোল্লার বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য। আর জেলার এমপি যদি কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজ করেন তাহলে তার পক্ষে কাজ করা কঠিন। তাই শেষ পর্যন্ত হেরে যান তাহমিনা মোল্লা। জিতে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই মির্জা ফয়সাল। শুধু তাই নয়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে খোদ এমপি রমেশ চন্দ্র সেন অঘোষিতভাবে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে উপজেলা নির্বাচনেও ঠাকুরগাঁওয়ে হেরে যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটো। বর্তমান এমপির যোগসাজশের কারণে উপজেলায় ক্ষমতায় আসে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর রহমান। অবশ্য এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাস্তাঘাট ও বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে যে উন্নয়ন করেছেন এর পূর্বে কেউ এত উন্নয়ন করতে পারেননি বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যাদের কাজ করার ইচ্ছা তারাই এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে আমার ভাল যোগাযোগ রয়েছে। মনোনয়নপত্র অনেকেই জমা দিতে পারেন। এতে কিছু আসে-যায় না। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। এ হিসেবে তিনি মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে জয়লাভের আশা করছেন। এই বিভক্তির কারণে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাংককে সামনে রেখে জনপ্রিয়তার দৌড়ে রয়েছেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুণাংশু দত্ত টিটো। এছাড়া আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী, সহসভাপতি এ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন বাবু, আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ রায়, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী ও জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও প্রাক্তন উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাহমিনা আক্তার মোল্লার নাম শোনা যাচ্ছে। তবে দলের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই সব মনোনয়ন প্রত্যাশীর কাছে সর্বোচ্চ নির্দেশনা হবে বলেই জানান তারা। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা আমির আলী জানান, রমেশ সেন এলাকায় অন্যান্য জেলার মতো উন্নয়ন করেছেন সত্যি। কিন্তু কর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভাল নয়। যেহেতু তার বয়স হয়েছে, তাই নতুনদের আসার সুযোগ করে দেয়া তার দায়িত্ব বলে মনে করছি। নতুনরাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার কারিগর। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মুহম্মদ সাদেক কুরাইশী, মকবুল হোসেন বাবু, ইন্দ্রনাথ রায়, রাজিউর রেজা খোকন চৌধুরী, তাহমিনা আক্তার মোল্লা পৃথকভাবে প্রায় একই কথা বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ এখন জেলায় অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দলে কোন কোন্দল নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়নের তারা আবেদন করবেন। কিন্তু নেত্রী (শেখ হাসিনা) যা বলবেন তার ওপর আমাদের কোন কথা নেই। নেত্রী যাকেই মনোনয়ন দেবেন, তার জন্য নির্বাচনে কাজ করতে ঝাঁপিয়ে পড়ব। এ আসনে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে এগিয়ে থাকা মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাংস্কৃতিককর্মী অরুণাংশু দত্ত টিটো বলেন, তিনি ১৯৯৬ সালে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু নিজ দলের কয়েক নেতা গোপনে তার বিরোধিতা ও ষড়যন্ত্র করায় তিনি হেরে যান। নির্বাচনে ভোট পেয়েছিলেন এক লাখ ১৯ হাজার। মনোনয়নের ক্ষেত্রে জেলা পর্যায়ে তৃণমূলে নির্বাচনের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই হলে তিনি বিপুল সমর্থন পাবেন। মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে এ আসনে একক প্রার্থী হচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিকল্প কোন প্রার্থীর নামও শোনা যাচ্ছে না। জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কোন প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ আসনে বিজয়ী হবে বিএনপি। এ আসনে জাসদ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি মনসুর আলী ও জাতীয় পার্টি থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক তরুণ নেতা রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী। গত ২০ বছরে জাতীয় পার্টির ভোটার কমলেও বেড়েছে জামায়াতের ভোটার। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর আসনটিতে জামায়াতের ৪৫ থেকে ৫০ হাজার ভোট রয়েছে। তবে হিন্দু ভোটারকে কাছে না টানতে পারলে বিএনপির আসনটি উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে অভিমত স্থানীয় বিশ্লেষকদের। তবে এই আসনে ভোটের লড়াইয়ে চোখ থাকবে সারা দেশের। ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর-রানীশংকৈলের একাংশ) ॥ এই আসনটিও আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। প্রায় ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য হয়ে আসা বর্তমান সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে কিছুটা বেগ পেতে হবে বলে তৃণমূল নেতাকর্মীরা মনে করছেন। দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ছাড়াও অন্তত তিনজন মনোনয়ন চাইতে পারেন। তারা সে লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে কাজও করছেন। এ আসনটি দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ ধরে রেখেছেন আওয়ামী লীগের এমপি দবিরুল ইসলাম। সব নির্বাচনেই সেখানে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে জামায়াতের সঙ্গে। কিন্তু কখনও নির্বাচিত হতে পারেনি জামায়াত। আওয়ামী লীগের অনেকেই বলেছেন, যতবার দবিরুল এই আসনে প্রার্থী হয়েছেন ততবারই তিনি বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তিনি ওই এলাকায় ভোটের জাদুকর হিসেবে পরিচিত। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, সীমান্ত নদীর বাঁধ নির্মাণ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। বিশেষ করে দারিদ্র্যপীড়িত ওই এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেও অবদান অব্যাহত রেখেছেন। তবে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগের কারণে বারংবার নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য কিছুটা ইমেজ সঙ্কটে ভুগছেন বলে দলের কিছু নেতা মনে করছেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার রায়ের আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সামনের পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে মনোনয়ন পেতে জোরালো জনসংযোগ চালাচ্ছেন ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আলম টুলু। এছাড়া তৃণমূল আওয়ামী লীগের কর্মীরা মনোনয়নের জন্য বর্তমান এমপি দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তরুণ নেতা মাজহারুল ইসলাম সুজনকে দেয়ার জন্য প্রত্যাশা ব্যক্ত করছেন। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা আওয়ামী লীগের কয়েক সদস্য বলেন, সংখ্যালঘুরা হচ্ছেন আওয়ামী লীগের ভোট ব্যাংক। অন্য দলে ওরা কোন দিনও ভোট দেবে না। কিন্তু একটি গ্রুপ বর্তমান এমপি’র বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের জমি দখলের অভিযোগ তুলেছেন তাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেতে বাধাগ্রস্ত করার জন্য। আর সেই কারণে সংখ্যালঘুরা অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবীর কুমার রায়ের দিকে ঝুঁকতে পারেন। এ ব্যাপারে বর্তমান এমপি দবিরুল ইসলাম বলেন, বিরোধী কিছু কুচক্রী আমার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় অপকর্ম করছে শুধু আমার দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার জন্য। অনেক ষড়যন্ত্রের মধ্যেও আমি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্থানীয় নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে এ আসনে আমি প্রার্থী হলে নৌকা প্রতীক আবারও বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। এ ব্যাপারে প্রবীর কুমার রায় বলেন, নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই কাজ করব। তবে এলাকার প্রকৃত চিত্র যদি জানতে পারেন, তাহলে আমাকে নেত্রী মনোনয়ন দেবেন বলে আমার বিশ্বাস। আমি গেজেটভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার চাচা বালিয়াডাঙ্গী এলাকার প্রথম শহীদ। ২০০৯ সালে আমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়লাভ করি। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে আবারও বিজয়ী হব। অপরদিকে বর্তমান এমপির ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ঠাকুরগাঁও-২ আসনের আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সুসংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার বাবা দীর্ঘদিন এই আসনে উন্নয়ন অব্যাহত রেখেছেন। তাই জাতির পিতা ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণ নেতা হিসেবে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে চাই। মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাক আলম টুলু বলেন, আমি এ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ ও নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন আপদ-বিপদে পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তারা তাদের ভাগ্য উন্নয়নে সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন চায়, চায় উন্নত জীবন যাপন। আর তাই স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে আগামী নির্বাচনে আমি মনোনয়ন চাইব। এ আসনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা প্রয়াত মির্জা রুহুল আমিন (চোখা মিয়া) এক সময় সংসদ সদস্য ছিলেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ধারণা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আসনেও নির্বাচন করতে পারেন। তবে এ ব্যাপারে মির্জা ফখরুল কোন সিদ্ধান্ত জানাননি। আর এখন পর্যন্ত এ আসনে বিএনপির কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে দলীয় কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। এ আসনে মির্জা ফখরুল ছাড়াও দু’জন মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। তারা হলেন- দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা ও জেলা জামায়াতের আমির মৌলানা আব্দুল হাকিম। মনোনয়ন প্রত্যাশী জেড মর্তুজা চৌধুরী তুলা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৯২ সালে তিনি ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। এ ছাড়া ১৯৯৬ সালে এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন, যে সংসদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পাস করার পর ভেঙ্গে দেয়া হয়। তিনি ঢাকায় থাকলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে সবর্ক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে তার। তাদের আপদে-বিপদেও তিনি সহযোগিতা করে আসছেন। ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা জামায়াতের আমির আব্দুল হাকিম জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগের এমপির সঙ্গে আমি দুই বার নির্বাচন করেছি। কিছু ভোটের ব্যবধানে হেরেছি আমি। ভোটের মাঠ আমার গোছানো। তাই ২০ দলীয় জোট থেকে মনোনয়ন আমিই পাব। ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল উপজেলার একাংশ) ॥ এ আসনে দলের শক্ত ভিত ও ঘাঁটি হলেও বারংবার জোট-মহাজোটের হিসাবের কারণে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে থাকলেও মহাজোটের কারণে দলটির সমর্থনে কখনও জাতীয় পার্টি, কখনও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী নির্বাচনেও আসনটিতে জোট বা মহাজোটের সমীকরণ সামনে চলে আসতে পারে। সেই ক্ষেত্রে মনোনয়নের জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কার্যত লড়াই হবে বিএনপির। অন্যদিকে বিএনপি এ আসনে কখনই জয়ী হতে পারেনি। তবু আশা ছাড়ছে না দলটি। এখন পর্যন্ত দলের একজন নেতাকে মাঠে তৎপর থাকতে দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে এই আসনের সংসদ সদস্য হচ্ছেন ১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী। উত্তরের সীমান্তবর্তী ঠাকুরগাঁও-৩ আসনেও ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। আওয়ামী লীগ ও জাপা জোটগত নির্বাচন করলে প্রার্থী নির্বাচনে কিছুটা বেকায়দায় পড়তে পারে জোটের কেন্দ্রীয় টিম। তবে জোটগত নির্বাচন হলে মনোনয়ন পাওয়ার তালিকায় এ পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক। সাম্প্রতিক তার প্রচারও ইতিবাচকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সমাজসেবাসহ সকল ক্ষেত্রেই তার উপস্থিতি এলাকাবাসী পজিটিভ চোখে দেখে আসছে। পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, নৌকা উন্নয়নের মার্কা। সাম্প্রতিক সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের জন্য মানুষ নৌকা মার্কা খুঁজে ভোট দেবেন। এ আসনে সাবেক এমপি ইমদাদুল হকের বিকল্প নেই, তাই আগামী নির্বাচনে তাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে দলকে আরও এগিয়ে নেয়া দরকার। জানা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হককে পরাজিত করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ। আর তখন থেকেই আসনটি হাতছাড়া হয় নৌকা প্রতীকের। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক, জাতীয় পার্টি থেকে হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ এবং ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল্লাহ শহীদ। কিন্তু মহাজোট হওয়ার কারণে সেবার কেন্দ্রের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইমদাদুল হককে। মাঠে থেকে সরে যান ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী। ওই নির্বাচনে বিএনপিকে পরাজিত করে নির্বাচিত হন মহাজোটের প্রার্থী হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চান ইমদাদুল হক, জাতীয় পার্টি থেকে হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ আর ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে অধ্যাপক ইয়াসিন আলী। আবারও কেন্দ্রের নির্দেশে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে হয় ইমদাদুল হককে। আবারও মাঠে থেকে যান ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলী। নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী হাফিজ উদ্দীনের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ান ইয়াসিন আলী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা সমর্থন দেয়ায় জয়লাভ করেন তিনি। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী রাজনীতিতে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ও রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা জাহান লিটা, সাবেক কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবির নামও শোনা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক আবার দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় এলাকার তেমন উন্নয়ন হচ্ছে না। তাই আওয়ামী লীগের হাতকে আরও শক্তিশালী ও এলাকার উন্নয়ন করতে সাধারণ মানুষ তাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। তিনি প্রার্থী হলে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলেও আশাবাদী ইমদাদুল হক। মাঠে বসে নেই ওয়ার্কার্স পার্টির বর্তমান সংসদ সদস্য ইয়াসিন আলী। যদিও তার বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের রয়েছে নানা অভিযোগ। দলটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক নেতার দাবি, ইয়াসিন আলী স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এলাকার উন্নয়ন কর্মকা- করেন। নিজের আখের গোছাতে তিনি আওয়ামী লীগের ক্ষতি করে যাচ্ছেন। আর তাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তার প্রতি অসন্তুষ্ট। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি ইয়াসিন আলী বলেন, সততার সঙ্গে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। এ জন্য ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রভাবশালী নেতা ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা করতে না পেরে তার নামে বিভিন্নভাবে কুৎসা রটাচ্ছেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে তিনি এলাকার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পর রাজনৈতিকভাবে গোপনে অনেকেই তার বিরোধিতা করে আসছে। তার সুনাম নষ্ট করার জন্য অনেকে বিভিন্ন সময় কৌশলে চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তবে তিনি সাধারণ মানুষের পাশেই রয়েছেন এবং তাদের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামীতে দলীয়ভাবে মনোনয়ন পেলে তিনি আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবেন বলে আশা করছেন। অন্যদিকে এ আসনটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে তেমন দলীয় কোন্দল ও বিভেদ না থাকায় সাংগঠনিক অবস্থান বেশ মজবুত। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেক আগে থেকেই মাঠ গুছিয়ে রেখেছে দলটি। দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা জাহান লিটা বলেন, তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তিনি দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে বিপুল সমর্থন নিয়ে তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর একই সময় তিনি ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। তিনি নিজ এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। সাধারণ মানুষের আপদে-বিপদে সর্বক্ষণিক সহযোগিতা করে আসছেন। আর এ কারণেই নিজ দলের নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষের সমর্থনে আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। অন্যদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জাহিদুর রহমান জাহিদকে মাঠে তৎপর থাকতে দেখা যাচ্ছে। দলীয় কর্মীদের নিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা থেকে শুরু করে এলাকার বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, তিনি পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি। অনেক কষ্ট করে এই উপজেলায় তিনি দলকে সুসংগঠিত করে রেখেছেন। তৃণমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ এবার তার হয়ে নির্বাচন করবে। গ্রামে অনেক ভোট রয়েছে বিএনপির। বিএনপি থেকে তিনি মনোনয়ন পেলে এবার এ আসনে দলের বিজয় সুনিশ্চিত বলে দাবি করেন তিনি। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার একটু আগে থেকেই দলকে সুসংগঠিত ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ। এবার তিনি এ আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। সাবেক এমপি হাফিজ উদ্দীন আহম্মদ বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির জন্য নিবেদিতপ্রাণ। দলের ও সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে আসছেন তিনি। সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় তিনি তার এ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও এ অঞ্চলের মানুষ তাকে অত্যন্ত ভালবাসেন। এ আসনে তিনি জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচিত হলে আবারও এ এলাকার শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসাসহ সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।
×