ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইউজিসিতে বৈঠক

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং বন্ধে একসঙ্গে কাজ করার তাগিদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাহাঙ্গীরনগরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সবচেয়ে বেশি র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার এক বৈঠকে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানসহ কমিশনের সদস্যরা বলেছেন, জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে র‌্যাগিং একটি গুরুতর সমস্যা। জাতীয় এ সমস্যাটি সমাধানে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। ইউজিসি অডিটোরিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ডিন, প্রক্টরিয়াল টিম, আবাসিক হলের প্রভোস্টদের সঙ্গে এ বৈঠক করে কমিশন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান। এতে জাহাঙ্গীরনগরসহ সব প্রতিষ্ঠানে র‌্যাগিং ও বেআইনী কাজ বন্ধে আলোচনা হয়। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং ও অন্যান্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের একটি চিঠি পেয়ে ইউজিসির চেয়ারম্যান কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে জাবির কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ মিজানুর রহমান একই বিভাগের শিক্ষার্থীর দ্বারা র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। মঙ্গলবারের বৈঠকে প্রফেসর ইউসুফ আলী মোল্লা তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও প্রফেসর ড. এম শাহ্ নওয়াজ আলি, ইউজিসির সচিব ড. মোঃ খালেদ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হল মুক্ত চিন্তা এবং জ্ঞানের আধার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সকলকে অপশক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে যাতে উচ্চশিক্ষার অর্জনগুলো ম্লান না হয়ে য়ায়। ইউসুফ আলী মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরনগরসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে র‌্যাগিং একটি গুরুতর সমস্যা। জাতীয় এ সমস্যাটি সমাধানে সকলকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা সবাই রাগিংয়ের বিরুদ্ধে। জাবি প্রশাসন ক্যাম্পাসে রাগিং এবং অন্যান্য বেআইনী কার্যক্রম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। বৈঠকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংসহ অন্যান্য অপ্রীতিকর ঘটনা নিরসনে জাবি উপাচার্য মনোনীত প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কমিটি দ্রুত সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করবে। ডাকসু নির্বাচন ইস্যুতে ঢাবি উপাচার্যসহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিস ॥ হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আক্তারুজ্জামানসহ তিনজনকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ডাকযোগে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ নোটিস পাঠান। অন্য দুইজন হলেন- ঢাবি প্রক্টর ড. একেএম গোলাম রাব্বানি ও ট্রেজারার ড. কামাল উদ্দিন। নোটিসে বলা হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে হাইকার্টে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে। এর আগে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ডাকসু নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়। এছাড়া ডাকসু নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন আদালত। এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মোঃ আতাউর রহমান খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। ১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ডাকসু নির্বাচনের পদক্ষেপ নিতে ৩১ শিক্ষার্থীর পক্ষে ২০১২ সালের ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টর ও ট্রেজারারকে লিগ্যাল নোটিস দেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নোটিসের কোন জবাব না দেয়ায় ওই বছরই ২৫ শিক্ষার্থীর পক্ষে রিট আবেদন করা হয়।
×