ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সড়ক পরিবহন আইন আসন্ন অধিবেশনে পাস হবে সংসদে

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সড়ক পরিবহন আইন আসন্ন অধিবেশনে পাস হবে সংসদে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বর্তমান ১০ম সংসদের ২২তম অধিবেশনে (৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে) পাস হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি একথা বলেন। বৈঠকে অংশ নেয়া বিশিষ্টজনরা সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন পরামর্শ দেন। কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের চেয়ারম্যান ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন খসড়া আইনে কিছু কিছু বিষয় সংশোধনের দাবি জানান। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনও পরিবর্তনের সুযোগ আছে। তিনি বলেন, সকলের সহযোগিতা নিয়ে সড়ক নিরাপত্তার জন্য নেয়া সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পাস হওয়ার আগে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া এই আইনটি আরও যাচাই-বাছাই করার সুযোগ রয়েছে। সংসদে উপস্থাপনের পরেও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও যাচাই-বাছাই হবে। সুতরাং মনে করার কোনও কারণ নেই যে মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন হওয়া মানেই চূড়ান্ত অনুমোদন হয়ে গেছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আমি স্যালুট করি, যে তারা এই বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। যে কারণে আইনটি আলোর মুখ দেখেছে।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সংসদের ২২তম অধিবেশনই হবে ১০ম জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন। এরপর সংসদের আর কোন অধিবেশন বসবে না। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত এই সংসদ ভাঙবে না। এমপিদেরও কোন পাওয়ার থাকবে না।’ নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ আগস্ট মন্ত্রিসভায় সড়ক পরিবহন আইনের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তিনি বলেন, সংসদ অনেক দিন হয়ত গ্যাপ দিয়ে চলবে। এটাই শেষ অধিবেশন। এরপরে আর অধিবেশন হবে না। পার্লামেন্ট ভাঙবে না, কিন্তু কোন অধিবেশনও হবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক পরিবহন আইনে শাস্তির বিধান কম থাকায় নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীরা সংযোজন-বিয়োজনের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। পার্লামেন্টে আমি (আইন) উপস্থাপন করব। এরপর এটা স্ট্যান্ডিং কমিটিতে যাবে। তিনি বলেন, আইনটি গ্রহণযোগ্য না হলে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন কঠিন হবে। আর বাস্তবায়ন না করা গেলে এমন আইন পাশ করে সুফল মিলবে না। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আবুল মকসুদ, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন এবং চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের উপস্থিতিতে মন্ত্রী বলেন, স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান আপনাদের কয়েকজনকে ডাকতে পারেন, পরামর্শ শুনতে পারেন। আপনারা সবাই পরামর্শ দেবেন। আমার মনে হয় এ নিয়ে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই।
×