ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শহিদুল ইসলাম

ওমেন ওয়াবাবেল চার তরুণের উদ্ভাবন

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ওমেন ওয়াবাবেল চার তরুণের উদ্ভাবন

নারীর ওপর যৌন হামলা ঠেকাতে অভিনব জ্যাকেট উদ্ভাবন করেছেন মেক্সিকোর চারজন শিক্ষার্থী। বলা হচ্ছে, এই জ্যাকেট পড়া অবস্থায় কেউ যখন তার উপর হামলা করতে আসবে তখন জ্যাকেটের হাতা থেকে হামলাকারীর গায়ে বৈদ্যুতিক শক লাগবে। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা যে শহরে বসবাস করেন। সেই শহরে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় তারা এ রকম একটি জ্যাকেট তৈরি করতে উৎসাহিত হয়েছেন। তারা বলেছেন, এই বৈদ্যুতিক শকের তীব্রতা এতই কম যে, এর ফলে জ্যাকেটটিকে কোন ধরনের অস্ত্র হিসেবেও গণ্য করার সুযোগ নেই। তবে এর মাধ্যমে যে কোন ধরনের যৌন হামলা ঠেকানো সম্ভব। পরীক্ষামূলকভাবে তৈরি এই জ্যাকেটের নাম দেয়া হয়েছে “ওমেন ওয়াবাবেল” প্রকৌশল, আইন ও রোবটিক্স বিভাগের চারজন শিক্ষার্থী মিলে এই জ্যাকেটটি তৈরি করেছেন। তারা সবাই পুয়েবলা শহরের মন্টেরি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এ্যান্ড হায়ার এডুকেশনে পড়াশোনা করেন। নতুন নতুন পণ্যের বাণিজ্য নিয়ে ক্লাসে পরীক্ষামূলক কাজের অংশ হিসেবেই তারা এটি উদ্ভাবন করেছেন। চারজন শিক্ষার্থীর একজন ‘পারা কুইরোজ’ বলেন, আমাদের অনেক বান্ধবী ও পরিচিতদের কাছে শুনেছি। তাদের উপর নানা ধরনের যৌন হামলা হচ্ছে। এ ধরনের সহিংসতার উপর গবেষণার পর আমরা এই জ্যাকেটের ধারণা নিয়ে আসি। কীভাবে কাজ করে এই জ্যাকেট? শিক্ষার্থীরা প্রথমে সুতার তৈরি একটি ট্যাকসুট কিনে আনেন। তারপর তার লাইনিং এর ভেতরে ৯ ভোল্টের একটি ব্যাটারি একটি ট্রান্সফর্মার ও কিছু তার ঢুকিয়ে দেন। এগুলো এমনভাবে প্যাচানো অবস্থায় থাকে যে, যিনি এই জ্যাকেট পড়বেন তার গায়ে বিদ্যুতের শক লাগবে না। বিদ্যুৎ চালু ও বন্ধ করার জন্য সেখানে একটি সুইচ বা বোতাম লাগানো আছে। আছে একটি এলইডি বাতিও। এই জ্যাকেটটির সার্কিটের নকশা তৈরি করেছেন রোবটিক্সের শিক্ষার্থী ‘গিওয়ান পার্ক’। তিনি বলেন, জ্যাকেটের একটি বোতামের মাধ্যমে এর বিদ্যুত চালু হয়। লাইট জ্বলে উঠলে বুঝতে হবে যে, নিজেকে রক্ষা করার জন্য জামাটি তৈরি হয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় কেউ যখন জ্যাকেটের হাতার ইলেকট্রেডকে স্পর্শ করবে তখন সার্কিটটি বন্ধ হয়ে যাবে এবং যিনি স্পর্শ করবে তার গায়ে বিদ্যুতের শক লাগবে। তখন হামলাকারী হতভম্ব হয়ে যাবে এবং তখনই নির্যাতিত নারী দৌড়ে পালাতে পারবেন এবং তিনি যে হামলার শিকার হয়েছেন তা আশেপাশের লোকদের জানানোর সুযোগ পাবেন। ** এটা কি বৈধ? আইনের শিক্ষার্থী ‘গুয়াদালোপ হাতিনেজ” বলেছেন, এর ফলে আইনের লঙ্ঘন হবে না। কারণ এটি আত্মরক্ষার একটি হাতিয়ার। বৈদ্যুতিক শক অনেক কম হওয়াতে জামাটিকে অস্ত্র হিসেবেও গন্য করার সুযোগ নেই। ** দাম কত পারে? পরীক্ষামূলকভাবে এটি তৈরি করতে সময় লেগেছে তিন মাসের মত। উদ্ভাবক শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা এটির আরও উন্নয়ন করতে চান। চান জ্যাকেটের হাতা ছাড়াও অন্যান্য জায়গাতেও ইলেকট্রেড বসাতে। তারা বলেছেন, এই প্রযুক্তি হযতো পরে ব্লাউজ. স্কার্ট এবং ট্রাউজারের মত পোশাকেও লাগানো যেতে পারে। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা প্রায় ৫০ ডলার দামে তাদের তৈরি জ্যাকেটটি বিক্রি করবেন। [সূত্র : ইন্টারনেট]
×