ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ইট বালুর ব্যবসা

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

শ্রীনগরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ইট বালুর ব্যবসা

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ শ্রীনগরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, আবাসিক এলাকায় উন্মুক্তভাবে গড়ে তোলা হয়েছে ইট বালুর একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক শ’ কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ মসজিদের মুসল্লি ও এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগরের ভাগ্যকুল ইউনিয়নের মান্দ্রা এলাকার ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তার দক্ষিণ পাশের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ইট বালু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানের সামনে বিশাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে বালু, থরে থরে সাজানো রয়েছে ইট। দক্ষিণমুখী মান্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করছে বাতাসের সঙ্গে সেই স্তুপ করা বালু ও ইটের ধুলো। এতে করে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছেন স্কুলের উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। আশপাশে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোগান্তির কারণে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতিও কম হয়। এতে করে বিঘিœত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। অপর দিকে সামান্য দূরত্বে দুইটি মসজিদের মুসল্লিরা একই সমস্যার ভুক্তভোগী। নামাজ পড়তে আসা জাহিদ শেখ, সুজন, সজিবসহ একাধিক মুসল্লি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা এলাকার বাসিন্দা। তবুও এ বালু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মী। একাধিকবার আমরা মৌখিকভাবে তাদের বলেছিলাম স্কুল ও মসজিদের সামনে এধরনের ব্যবসার করার কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ আমরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছি। এতে কোন কাজ তো হয়নি বরং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরও বেড়েছে। এ বিষয়ে ইট বালু ব্যবসায়ী সামসুজ্জামান মুন্সী বলেন, আমার নিজস্ব জায়গায় ইট বালু ব্যবসা করছি, এতে করে কারও সমস্যার হওয়ার কথা নয়। তিনি আরও জানান, হালিম বেপারি, ডিএম হাওলাদার, সেন্টু সরদারসহ অনেকেই ভাড়া করা জায়গায় এই ব্যবসা করে আসছে। ভাগ্যকুল মান্দ্রা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান জানান, গত তিন বছর পূর্বে ইট বালুর ব্যবসায় কারণে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছিল। তৎকালীন সময়ে তদন্তও হয়েছিল এতে করেও ব্যবসা বন্ধ হয়নি। স্কুল সম্মুখে ইট বালুর ব্যবসার কারণে ধুলো বালি ময়লায়যুক্ত বাতাসে আমাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহিদুল ইসলামের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, আমি বেশি দিন হয়নি এখানে এসেছি। তাই বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×