ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

না’গঞ্জে ঝুট ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি

প্রকাশিত: ০৭:১০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

না’গঞ্জে ঝুট ব্যবসায়ী হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় পাওনা টাকা চাওয়ার অপরাধে ঝুট ব্যবসায়ী সুমনকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে ও খুনীদের ফাঁসির দাবিতে নগরীর চাষাঢ়ার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে নিহতের স্বজন ছাড়াও এলাকার কয়েকশ নারী-পুরুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে তারা নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- নিহত সুমনের বাবা আব্দুল জলিল, মা কিসমত বেগম, স্ত্রী শিমু বেগম ও ছোট বোন সোনিয়া বেগম। মানবন্ধনে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, হত্যাকা-ের তিনদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোন আসামিকেই গ্রেফতার করতে পারেনি। যার কারণে আসামিরা আত্মগোপনে থেকে মামলা তুলে নিতে পরিবারের স্বজনদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ অবস্থায় তারা চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। নৃশংস এ হত্যাকা-ের ঘটনায় পুলিশের কার্যক্রমের ধীরগতি ও আসামিদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ তোলেন তারা। স্বজনরা খুনীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান প্রশাসনের কাছে। গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টায় পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ঝুট ব্যবসায়ী সুমনকে মোবাইল ফোনে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে যায় একই এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা বিপ্লব। সুমন সেই বাসায় গেলে বিপ্লবের স্ত্রী শায়লা বেগম, হোটেল মাসুদ ও সোহেল মন্ডল সুমনের হাত পা ধরে রাখে আর বিপ্লব গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। সুমনের শরীরের ৭৫ শতাংশ আগুনে দগ্ধ হয়ে ঝলসে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরদিন শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যায়। মৃত্যুর আগে সুমন এই চারজনের নাম উল্লেখ করে তাকে হত্যার বর্ণনা দিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা কিসমত বেগম শনিবার রাতে অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।
×