স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ স্ত্রী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় নীলফামারীতে আটক হয়েছেন ঢাকাস্থ পান্থপথ শাখা অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন (৩২)। সোমবার ওই মামলায় জামিন নিতে এলে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালত(১) এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ পরেশ চন্দ্র শর্ম্মা তার জামিন নাকচ করে দিয়ে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। এই মামলার অপর দুই আসামি উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাবা জয়নাল আবেদিন, মা শাহেরা খাতুনকে আদালত জামিন প্রদান করে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, জলঢাকা উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের দক্ষিণ দেশীবাই ধনতলা গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা সাহাদাৎ হোসেন। তার সঙ্গে এ জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তরদুরাকুটি গ্রামের সাংবাদিক উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেনের মেয়ে মোনালিসা আক্তারের বিয়ে হয়। ২০১৬ সালের ৫ জুলাই ১২ লাখ ১০১ টাকা দেনমোহরে বিয়ের সময় মেয়ের সুখের সংসারের জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকার আসবাবপত্রসহ উপঢৌকন প্রদান করা হয়। বিয়ের পর সুখের সংসার চলাকালীন হঠাৎ করে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। ওই টাকা না পেয়ে স্বামীসহ স্বামীর বাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই মামলার বাদীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। স্থানীয়ভাবে কিশোরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলামসহ উভয় পরিবারের লোকজন বৈঠক করে বিষয়টি সমাধান করে। এরপরও পুনরায় আসামিরা একই কারণে নির্যাতন চালিয়ে মোনালিসাকে তাদের বাড়ি হতে বের করে দেয়। ঘটনাটি পুনরায় সমাধানের চেষ্টা করা হলে আসামি পক্ষ বিয়ে বিচ্ছেদের হুমকি প্রদান করে ব্যাংক কর্মকর্তার অন্যত্র বিয়ের আয়োজনের অপচেষ্টা চালায়। ফলে বাধ্য হয়ে চলতি বছরের ১২ জুন সাংবাদিক কন্যা নীলফামারী আদালতে উক্ত মামলা দায়ের করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: