ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার আবারও বিরোধিতা করলেন জনসন

প্রকাশিত: ০৭:০১, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার আবারও বিরোধিতা করলেন জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছেন তার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। জনসন বলেছেন, ইইউ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় মে তার পরিকল্পনা থেকে কিছুই অর্জন করতে পারবে না। ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সমঝোতা নয় বলে মে টেলিগ্রাফে একটি নিবন্ধ লেখার পর জনসন পাল্টা আরেকটি নিবন্ধ লিখে তার মত প্রকাশ করেন। গার্ডিয়ান। ব্রেক্সিট নিয়ে মে জুলাই মাসে যে পরিকল্পনাটি প্রকাশ করেন চেকার্স এগ্রিমেন্ট বা ডিল নামে পরিচিত। পরিকল্পনাটি তার অবকাশকালীন বাসভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিতও হয়। তবে সেটি দলের মধ্যেই ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দেয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জনসন দ্রুতই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। এ নিয়ে নিজের দলের মধ্যেই অনেক বিরোধিতার সম্মুখীন হন মে। পরিকল্পনাটি নিয়ে তিনি শীঘ্রই ব্রাসেলসে ইইউ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কোন সংবাদপত্রে লেখা প্রথম নিবন্ধে জনসন মে’র চেকার্স পরিকল্পনাকে ‘আত্মসমর্পণের প্রস্তাব’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আলোচনার সময় ইইউ স্বাভাবিকভাবেই তাদের দিক থেকে সবচেয়ে সুবিধা আদায় করে নেয়ার চেষ্টা করবে। যুক্তরাজ্য ইতোমধ্যেই কোন বিনিময় ছাড়া ইইউকে করদাতাদের দেয়া ৪০ বিলিয়ন পাউন্ডের দুই তৃতীয়াংশ দিতে রাজি হয়েছে। চেকার্স পরিকল্পনায় খাদ্য ও পণ্য সামগ্রীর জন্য অভিন্ন বিধি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে যা জনসনের ভাষায় সাদা পতাকা হাতে নিয়ে যুদ্ধে নেমে যাওয়ার মতো। এ পরিকল্পনায় মুক্ত বাণিজ্যের মতো যুক্তরাজ্যের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সুযোগগুলো হাতছাড়া করা হয়েছে। ব্রিটেন আগামী বছর ২৯ মার্চ ইইউ ত্যাগ করবে। এটি এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সানডে টেলিগ্রাফ পত্রিকায় মে লিখেছেন, তিনি যে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা দিয়েছেন সেটি বাতিল করার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা ঠিক নয়। কারণ তা জাতীয় স্বার্থের অনুকূল হবে না। তিনি আরও বলেছেন, এ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি দ্বিতীয় গণভোট দেবেন না। কারণ সেটি হবে গণতন্ত্রের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা ও অনাস্থা। ইইউর প্রধান আলোচক মাইকেল বার্নিয়ার চেকার্স পরিকল্পনার অংশ বিশেষের প্রতি তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, ইইউর সঙ্গে কমন রুলবুক থাকলে যুক্তরাজ্যের পক্ষে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ থাকবে না। কাগজে কলমে অক্টোবরে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি নবেম্বরে হতে পারে। সরকারের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদ ছাড়ার পর জনসন এই প্রথম ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন। তিনি ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে ইইউর প্রধান আলোচক বার্নিয়ারে মধ্যে আলোচনাকে একটি মল্লযুদ্ধ বলে মন্তব্য করেন।
×