ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইরাকে সরকার গঠনে সদর ও আবাদির নেতৃত্বে বৃহৎ জোট

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইরাকে সরকার গঠনে সদর ও আবাদির নেতৃত্বে বৃহৎ জোট

ইরাকে ১৬টি রাজনৈতিক দল নিয়ে সবচেয়ে বড় পার্লামেন্ট জোট গঠিত হয়েছে। এতে জাতীয়তাবাদী শিয়া ধর্মীয় নেতা মুকতাদা আল সদর ও সদ্য বিলুপ্ত সরকারের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদিও রয়েছেন। নেতৃবৃন্দ রবিবার গভীর রাতে পার্লামেন্টে সবচেয়ে বড় জোট গঠনের বিষয়ে মতৈক্যে পৌঁছান। এই জোট নতুন সরকার গঠনে সক্ষম। -খবর এএফপির। আবদির এক ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেন, এই জোটে ১৭৭ জন ডেপুটি রয়েছেন। যারা সংখ্যার দিক থেকে পার্লামেন্টে নির্বাচিত ৩২৯ সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি। এই বৃহৎ জোট সরকার গঠনের জন্য প্রথমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। পার্লামেন্টেন প্রথম অধিবেশন শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে জোট গঠন নিয়ে এই মতৈক্য হলো। ধারণা করা হচ্ছে পশ্চিমা সমর্থিত আবাদি প্রধানমন্ত্রী থেকে যাবেন। নতুন জোট গঠন নিয়ে মতৈক্য হওয়ার পর স্বাক্ষরকারীদের তালিকার অনুলিপিতে দেখা গেছে, সমাজতন্ত্রের সঙ্গে জোটভুক্ত শিয়ানেতা সদরের দল সবচেয়ে বড়। নির্বাচনে তার জোট ৫৪টি আসন পেয়ে প্রথম স্থানে রয়েছে। সাদ্দাম-উত্তর ইরাকের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এমনভাবে গড়া হয়েছে যাতে কোন এক ব্যক্তি বা দল এককভাবে কর্তৃত্ব করতে পারবে না। এতে একনায়কত্ব এড়ানোর যাবতীয় সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গত মে মাসে দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আবাদির দল নির্বাচনে ৪২টি আসন নিয়ে তৃতীয় হয়। সোমবার পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রথম দিনে একজন স্পীকার নির্বাচন করা হয়েছে। ঐতিহ্যগতভাবে তিনি একজন সুন্নি মুসলমান সম্প্রদায়ের। পরে পার্লামেন্ট সদস্যরা ৩০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন। যিনি প্রেসিডেন্ট হবেন তাকে সংখ্যালঘু কুর্দী সম্প্রদায়ের হতে হবে। পার্লামেন্টের অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে তিনি নির্বাচিত হবেন। যদিও কুর্দী দলগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট পদটি মূলত প্রতীকী। নতুন প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টের সবচেয়ে বড় জোটকে সরকার গঠন করতে বলবেন। নতুন জোটে সদ্য বিলুপ্ত ধর্মনিরপেক্ষ ভাইস প্রেসিডেন্ট আইয়াদ আলাউয়ির দল ওয়াতানিয়াও রয়েছে। তার দল পার্লামেন্টে ২১টি আসন পেয়েছে।
×