ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চল্লিশেই ফুরিয়ে আসে বুঝি দম

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চল্লিশেই ফুরিয়ে আসে বুঝি দম

সদর্পে উচ্চারণ করতেন তিনি কালো চশমায় দু’চোখ ঢেকে, ‘মানি ইজ নো প্রবলেম।’ আসলেই অর্থ কোন সমস্যা ছিল না তার কালে। দেদার উড়িয়েছেন অর্থ। যেখানে, যে দেশেরই কাছে পাততেন দু’হাত, উজাড় করে পেতেন টাকাকড়ি। যেখানে বেড়ে উঠেছেন, গড়েছেন কর্মক্ষেত্র, সেই পাকিস্তান কাড়ি কাড়ি অর্থ ঢেলেছে তার বাহুবলকে শক্তিশালী করার জন্য। তাই দেখা গেছে, দন্ডমুন্ডের কর্তা থাকাকালে ‘টাকা কড়ির বন্যায়, ভাসিয়ে দিয়েছেন অন্যায়।’ ন্যায়ের বাতাবরণ থেকে সবকিছু দূরে সরিয়ে রেখে অন্যায়ের মুখোশ পরিয়ে দিতেন দুর্বৃত্ত, সন্ত্রাসী, খুনী, মোসাহেব, তোষামোদী, চাটুকার, লুটেরা, গৃধঘ্ন, লোভাতুরদের মুখে। মুখোশের মানুষের ভিড় বেড়ে গিয়েছিল সর্বত্র। তিনি পছন্দও করতেন তাই। আর নিজেকে পূত-পবিত্র রূপে উপস্থাপিত করার জন্য চালাতেন প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা। দুর্বৃত্তদের সঙ্গে বসবাস করে নিজের দুর্বৃত্তপনা আড়াল করার জাদুমন্ত্রটি জানা ছিল তার। কেউ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইলে কিংবা বিরোধিতার চেষ্টা মাত্র তাকে গিলোটিনে বধ অথবা গুম করার চর্চাটা বেশ ভালই রপ্ত ছিল তার। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সহকর্মী, সহযোদ্ধা, অনুগতদের মেরে ফেলার মধ্যে এক ধরনের পাশবিক উল্লাস যে রয়েছে, তা তিনি বেশ উপভোগই করতেন বলা যায়। তার সেই সুখপ্রদ অবস্থাটা আড়াল করত ওই কালো চশমা। একটু নড়চড় করলেই গুলি চালানোর কাজটিতে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাজ করত না। ধরে আনতে বললে পাইক পেয়াদারা বেঁধে নিয়ে আসত। শূলে চড়ানোর যুগ থাকলে তাই করতেন দেশপ্রেমিক এবং তার বিরোধী মনোভাবের মানুষজনকে। কত প্রশিক্ষিত অরুণ তরুণকে পাঠিয়েছেন অস্তাচলে। মেধাবীদের লোভাতুর করে বখে যাবার পথও করেছিলেন প্রশস্ত। হিজবুল বহরে চড়ে যারা পাড়ি দিয়েছিল নদী ও সাগরপথ ভ্রমণের গ্যাঁড়াকলে পড়ে, তাদের ভবিষ্যত ঝরঝরে করে দিতে বিলম্ব হয়নি। মোক্ষম বাণ হেনে তিনি ধরাশায়ী করেছেন মানুষ, জনপদ, জীবন জগত। অর্থের প্রবল দৌরাত্ম্যে দিনকে রাত, রাতকে দিন করার মাজেজা ছিল করায়ত্ত। হতদরিদ্র থেকে বিত্তবানে পরিণত হবার সহজ সুযোগটুকু তিনি এমন অনায়াসে করে দিয়েছিলেন যে, দিন এনে দিন খেত যারা, সেই পঙ্গপালরা ঝাঁকে ঝাঁকে তার পেছনে দৌড়ে বেড়াত। পঙ্গপাল থেকে অনেকে শেয়াল, বানর, ভল্লুক, নেকড়ে, হায়েনা, শকুনে পরিণত হতে পেরেছিল। বিত্তের তকমা পরিহিতরা তার লেজে বাঁধা পড়ে যায় আরও বিত্তের সন্ধানে। তার সেই ‘মহান বাণী’ কিন্তু সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার পরিবারের সদস্যদের জন্য। অর্থ হয়ে দাঁড়ায় তাদের কাছে বিত্ত থেকে বিপত্তির মূল কেন্দ্রবিন্দু। অর্থের গুদামগুলো চেনা হয়ে গেলে তারা সেই গুদাম লোপাট করতে দ্বিধা করেনি। ‘আরও আরও অর্থ চাই গো’ বলে নীতি-সুনীতির দরজা-জানালা এমনকি বাঙ্কার বন্ধ রেখে দুর্নীতির বিষে জর্জরিত হয়ে, স্ত্রী-পুত্র আজ দন্ডিত। এতিমের অর্থও শকুনীর দৃষ্টি এড়াতে পারেনি। তাই ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের জীবনে ‘মানি ইজ প্রবলেম’। তারাও অবশ্য মনে করে আসছিল সংস্কৃত সেই প্রবাদ-‘অর্থই কেবলম’। অর্থই যে সবকিছু, তার বাইরে সবই অনর্থ বলে প্রতীয়মান হয় তাদের কাছে। অর্থ মাধুর্যের সুবাসে পল্লবিত হয়ে তারা অর্থের গুরুত্ব ও মর্যাদা অনুধাবন করে বুঝতে পারে কথিত ‘ছেঁড়া গেঞ্জি, ছেঁড়া প্যান্ট আর ভাঙা স্যুটকেসের’ রূপকথা থেকে বেরিয়ে আসার পর। অনিয়ম-দুর্নীতির ক্ষেত্র বিস্তার করেও তারা কোন সমস্যার মোকাবেলা করতে পারেনি। রাষ্ট্র ক্ষমতায় সমাসীন হয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ এমনই করেছে যে, ধরাও এক সময় হয়ে যায় উধাও। অর্থ উপার্জনের জন্য বাতাসে ভর করে হাওয়াভবন খুলে কেবলই অর্থের গুদাম ঘর পূর্ণ করেছেন নানা উপায়ে। উপচেপড়া অর্থ পাচার করতে হয়েছে বিদেশে। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কমিশন আদায় করার মতোন সুখ উপভোগ করার আনন্দই তো অন্যরকম আমেজ এনে দিয়েছে। ‘মিস্টার টেন পারসেন্ট’ খেতাব অর্জন করার মতো গৌরব করেছে শাণিত। তাই প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের হয়রানি থেকে হত্যার সব পৈশাচিকতাকে কোশেশ করতে বেগ পেতে হয়নি। যেখানেই টাকাপয়সা, সেখানেই লম্বা হাত চলে যেত অনায়াসে সেসব তুলে আনতে। জনগণমনবন্দিত হবার জন্য একটা মুখোশ ধারণ করতে অপারগ ছিল, তা নয়। হুমকি-ধমকির নিয়ত চর্চায় যে কাউকে ভস্মীভূত করতে বেগ পেতে হয়নি। প্রতিপক্ষ শুধু নয়, জনগণকে শায়েস্তা করার জন্য জঙ্গীদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে গ্রেনেড আর বোমার শব্দে পুরো দেশকে প্রকম্পিত করে তোলার মধ্য দিয়ে ‘হিটলার’কে পুনর্জন্ম দিতে অতিউৎসাহী হতে দেখা গিয়েছে হাওয়াভবন কেন্দ্রিক সরকার ব্যবস্থাকে। অর্থের মানদ- মাতাপুত্রকে দন্ডিত করেছে অর্থ আত্মসাত আর অর্থ পাচারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায়। জিয়ার ‘ভুল’ বাণীর পাঁকে পড়ে খাবি খেতে খেতে মা এখন কারাগারে আর পুত্র পগাড়পাড়ে পলাতক জীবনে পালকহীন পাখির মতো মুখ থুবড়ে। যতই বিলাসবহুল জীবনযাপনে থাকুক মত্ত ততই মানি ইজ প্রবলেম হয়ে ছোবল মারে। সেই বিষে জর্জরিত হয়ে দেশজুড়ে নাশকতার নির্দেশনামা পাঠাতে থাকে। জনবিচ্ছিন্নতার মরাল গ্রীবায় চড়ে কেবলই উন্মাদনা ছড়াতে সক্ষম হয়ে উঠেছে তারা। ক্ষমতার শক্তির অপব্যবহার ঘটিয়েছে। ক্ষমতাহীন শক্তি প্রদর্শনে তাই বারবার বিফল হচ্ছে। এমনই এক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে যে, সুবুদ্ধির কাজ দুর্বুদ্ধিতে নষ্ট করতে পিছপা হয়নি। শক্তির অপব্যবহারের নামই দস্যুবৃত্তি। সেই চর্চাই করেছে দন্ডমুন্ডের কর্তা থাকাকালে। সমাজপতি সেজে তারা সমাজবিরোধী হয়ে উঠেছিল এমনভাবে যে, জনগণ তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছিল। জনগণ বুঝতে পেরেছিল যে, তাদের ভেতরে পচন ধরেছে। নীতিবিহীন দুর্নীতির করালগ্রাসে আক্রান্ত হয়ে তারা দেশজুড়ে মারামারি, হানাহানি, খুনখারাবির এমনই বিস্তার ঘটিয়েছিল যে, বিদেশী কূটনৈতিক তাদের হামলার শিকার যেমন হয়েছে তেমনি প্রাণহরণ হয়েছে জনপ্রতিনিধিদেরও। কালো চশমার জেনারেলের উদ্দাম ঔদ্ধত্য ব্যবহারের দরুনই কালস্রোত ক্ষণে ক্ষণে উত্তাল হয়ে মানব সমাজের ওপর আছড়ে পড়েছিল। জান্তা শাসকের আগ্রাসী মনোভাব দেশকে শান্তিতে সোয়াস্তিতে থাকতে দেয়নি। বিষম উত্তেজিত, বলতে গেলে উন্মত্ত আচরণের ফলে সমাজের শান্তি বিঘিœত, দেশকাল বিপদগ্রস্ত, বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। জেনারেলের গতিবিধি, ক্রিয়াকলাপ সমস্তই ছিল অতিমাত্রায় সশব্দ। আস্তে ধীরে, আলগোছে কিছুই করতে পারেনি। যার ধারাবাহিকতা স্ত্রী-পুত্রের মধ্যেও সঞ্চারিত হয়ে এখন তারা বিপাকে পড়েছে। অস্থিরমতি, উন্মত্ত এই ত্রয়ীর হাতে পড়ে কালের গতিতে বাংলাদেশের কী দুর্গতি ঘটেছে তা দেশবাসী চোখের সুমুখেই দেখেছে। মনে হয়েছে, মুখোশের আড়ালে দেশ যেন কালগ্রাসে পড়েছে। ক্রোধোন্মত্ত, রক্তচক্ষু, প্রহরণধারী, ভয়ঙ্কর অবয়ব তাদের। কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে সদম্ভে দৃপ্তপদে হেঁটে চলছিল ছড়ি ঘোরাতে ঘোরাতে। আমাদের গৌরবের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে অগৌরবে পরিণত করার জন্য যা যা আয়োজন প্রয়োজন, সবই করেছে তারা, দেশের চেয়ে দল, দলের চেয়ে ক্ষমতাকে বড় করে দেখেছে শুধু নয়, তার চর্চাও করেছে। রাজনীতিকে করেছে দলাদলিতে পর্যবসিত। দাপট প্রমাণের জন্য নিত্য মারামারি, কাটাকাটি, খুন, জখম, দেশময় অশান্তি অব্যাহত রেখেছে। অহিংসার দেশে হিংসা-বিদ্বেষ এমনভাবে ছড়িয়েছে যে, মানুষের প্রতি মানুষের আস্থা হ্রাস পেয়েছে। সমাজের ওপর তলায় কোটি কোটি টাকা লুট পাটের এমনই আনজাম করেছে যে, শেষতক এতিমদের অর্থ লোপাট করতে বিবেকে বাধেনি। রাজনীতিকে তারা করেছে সর্বপ্রকার দুর্নীতির পরিপোষক। সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতির বিস্তার ঘটানো হয়েছে এমনভাবে যে, অনেক ভবনের ইট কাঠগুলো পর্যন্ত ঘুষ দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ছিল নিমজ্জিত। ধর্মীয় মৌলবাদকে উস্কে দিয়ে এমন অবস্থা করেছে যে, ধর্মের নামে মানুষ মানুষকে হত্যা করেছে, দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। জন্তু জানোয়ারের মতো একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তাদের মনের বিকার সব জিনিসকেই বিকৃত করে দেখেছে। যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকাজুড়ে দিয়েছিল। রাজাকার পুনর্বাসন ও পাকিস্তানী ভাবধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য পঁচাত্তর পরবর্তী তৎপরতার ‘নায়ক’ জেনারেল জিয়া সভ্যতার লাগাম টেনে ধরেছিলেন। বিদেশী প্রভুদের কাছে নিজেকে উৎসর্গ করতে সর্বাঙ্গে অনুগত ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তার লোকেরাই তাকে হত্যা করেছে, গুলি ফুটিয়ে। সেদিন ঘৃণার পাহাড় থেকে মানুষের অভিশাপগুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরেছিল। তাদের মনুষ্য চরিত্রে দূষণ এমন হয়েছিল যে, দেশবাসীর মধ্যে তা সঞ্চারিত করে অনেককেই কলুষিত করে তুলেছিল। সভ্যতার চাইতেও বর্বরতার চর্চা পিতা, মাতা হয়ে পুত্রেও বর্তেছিল। যার চর্চা এখনও বিদ্যমান। ফলে মানুষের অধিকার হয়েছে সঙ্কুচিত। সমাজের পরিবেশ হয়েছে দূষিত। জনগণ ভেবেছিল তাদের চরিত্র শোধিত হলে পরিবেশ দূষণ মুক্ত হবে, মানবাধিকার সংরক্ষিত হবে, দুর্নীতিহীন সমাজ গড়ে উঠবে। কিন্তু হা হতোস্মি! তারা তা চায়নি। তাদের আমলে দুর্বৃত্তরা জানত যে, যে কোন কাজেরই সমর্থন পাওয়া যাবে জিয়া, খালেদা ও তারেকের কাছে। গিয়েছেও তাই। অনুগতরা জানত, যে কোন অন্যায় কাজে প্রশ্রয় দেবেন দলীয় নেতারা। যতই অন্যায় করা হোক না কেন, সব মাফ হয়ে যাবে মাতা-পুতের বদৌলতে। এদের অন্যায়কে অন্যায় বলা হতো না মাতা-পুত্রের নিঃসৃত বাণীতে। বরং তারা আরও পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছে। যে কোন অপকর্মের অপরাধ থেকে মাতা-পুত্রের জোরে রেহাই পেয়ে যাওয়ায় জঙ্গীরা প্রকাশ্যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। এসব কারণে সমাজের সকল বাঁধন শিথিল হয়েছে। সমাজ বলতে দেশের জীবন। সেই জীবনের মধ্যে জাতীয় চরিত্রের প্রকাশ। সে চরিত্রটাকে তারা এমন ক্ষণ ভঙ্গুর অবস্থায় পতিত করেছিল যে, জাতির চরিত্রে তারা ভাঙন ধরিয়েছে বৈকি। তাই দেশের গায়ে একে একে ফাটল দেখা দিয়েছিল। ভাবতে অবাক লাগে, জিয়া ও তার স্ত্রী-পুত্র মিলে দেশটাকে এমন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল যে, স্বাধীনতার সকল অর্জন ধূলায় হারাতে বসেছিল। তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডে সবই রসাতলে যেতে বসেছিল। তাই দেখা যায় বাস, ট্রেন যাত্রীদের পুড়িয়ে, রেললাইন উপড়ে ফেলে শুধু নয়, পেট্রোল বোমা মেরে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করতে আটঘাট বেঁধে নেমেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে দু’ডজন মানুষকে হত্যা করেছে। দেশের শত শত কোটি টাকার সম্পদ ও সম্পত্তিকে বিনষ্ট করেছে। দেশকে শত্রু বানিয়ে দেশের বিরুদ্ধে তারা সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছিল। ১৯৭৮ সালে সামরিক জান্তা শাসক জিয়া বিভিন্ন দল ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে বহুদল গঠন করে ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র’ চালু করেছিল। নিজে ভাসানী ন্যাপ, মুসলিম লীগ, জাগদলসহ আরও দলকে কব্জায় এনে গঠন করেছিলেন বিএনপি। দলীয় মূলনীতিতে ইসলামী শরীয়াহর উল্লেখ করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দলগুলোকে রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় নিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়া নিজেই উচ্চারণ করেছিলেন, ‘আই উইল মেক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট।’ তার সেই দুষ্টচক্রের বাণীর যাঁতাকলে পড়ে তার দল আজ দল হারানোর পথে। ১৯৭৮ সালে গঠিত দলটি চার দশক তথা চল্লিশ বছর পার হয়ে, দেশের রাজনীতিকে এমনই কঠিনতর করেছে যে, মাতা-পুত্র দন্ডিত হবার পর দলটি খাবি খাচ্ছে। কেউ আর এগিয়ে আসে না তাদের পক্ষে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী ছাড়া। দম ফুরুনোর পথে ধাবিত হচ্ছে।
×