ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন স্বচ্ছ করতেই ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন ॥ নৌমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২১, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

   নির্বাচন স্বচ্ছ করতেই ইভিএম  ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে  কমিশন ॥ নৌমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর, ২ সেপ্টেম্বর ॥ নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান এমপি বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বচ্ছ, পরিচ্ছন্ন ও গ্রহণযোগ্য করতে ১শ’ আসনে ইলেক্ট্র্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইতোমধ্যে ইভিএম ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এক সময় মানুষ সীল দিতেও পারত না, সিল দেয়া শিখেছে। তেমনি ইভিএম পদ্ধতি একবার চালু হলে মানুষ আস্থা পাবে। একটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার হলেই মানুষের চর্চা হয়ে যাবে, জনগণ ভালভাবে এটি বুঝতে পারবে। রবিবার সকালে মাদারীপুর সার্কিট হাউসে জয় বাংলা উৎসের প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জনগণের উপর ভিত্তি করে। কোন চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন হয়নি। বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তে বিশ্বাস করে, তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারে বিএনপির বিরোধিতা কোন প্রভাব ফেলবে না। ইভিএম কেনার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান কালু খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার, সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, ‘৭১ এ খলিল বাহিনী প্রধান মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খান, নজরুল চর্চা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল গবেষক এইচএম সিরাজ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদারসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। পরে মাদারীপুরে ‘জয় বাংলা’ উৎসব উদযাপন উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপিকে পৃষ্ঠপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মিয়াজউদ্দিন খান, জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালাদার, সাবেক পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম বাবু চৌধুরী, ‘৭১ এ খলিল বাহিনী প্রধান মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান খানকে উপদেষ্টা, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান কালু খানকে আহ্বায়ক, নজরুল গবেষক এইচএম সিরাজকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদারকে সদস্য সচিব এবং জেলার নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
×