ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাড়তির দিকে আদা ও মসলা

কমছে পেঁয়াজ রসুনের দাম

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

কমছে পেঁয়াজ রসুনের দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঈদ পরবর্তী সময়ে বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, রসুন, মুরগির মাংস ও সবজির দাম। তবে, আদা ও মসলা জাতীয় পণ্যের দাম এখনও বাড়তির দিকে। উপচে পড়া ভিড় রয়েছে মসলার দোকানগুলোতে। এছাড়া চালের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। অন্যদিকে, মাছ-মাংসের বাজারের মধ্যে ক্রেতাদের চোখ এখন ইলিশের দিকে। মৌসুম শুরুর প্রথম দিকে নগরীর অলি-গলিতে ইলিশ ছড়িয়ে না পড়লেও দাম রয়েছে হাতের নাগালেই। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে হাজার টাকায়। সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজার ঘুরে বিক্রিতদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম রয়েছে কমতির দিকে। কেজিতে অন্তত ৪ টাকা কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। ঈদের আগে ৫২ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২১ টাকা কেজিতে, যা গত ১৯ আগস্ট বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। এক্ষত্রে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমেছে অন্তত ১০ টাকা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজের পাইকারি বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম নিচের দিকে। ঈদের পর থেকেই বাজারে পেঁয়াজের দাম কম রয়েছে।’ আরেক বিক্রেতা খলিল বলেন, ‘আমদানি কিছুটা বেশি থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমছে। ফলে দেশী পেঁয়াজের দামও কিছুটা কমতির দিকে।’ পাইকারি বাজারে কমেছে রসুনের দামও। ঈদের আগে ৫৫ থেকে ৫৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা ৪৪ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে, দাম বেড়েছে আদার। ঈদের আগে যে আদা ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে। আদা ও রসুনের পাইকারি বিক্রেতা কামরুল এসব তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, পাইকারি বাজারে দাম কমলেও প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। দাম রয়েছে আগের মতোই। খোঁদ কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজারেও দেশী পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজিতে। এছাড়া, পাইকারি বাজারের পাশেই খুঁচরা বাজারে আদা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে। একই চিত্র পাওয়া গেছে মহাখালীর বউবাজারেও। বাজারে সবজির দামও রয়েছে কমতির দিকে। ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে সব ধরনের সবজি। ঢেরস কেজিতে ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, শশা ৪০ টাকা, টমোটো ৭০ টাকা ও পটল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা বাংলামোটরের বাসিন্দা আরাফাত রহমান বলেন, ‘পাইকারি বাজারে কিছু পণ্যের দাম কমলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব পড়েনি। দাম কমার সুফল আমরা কখনোই পাই না। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে।’ এদিকে, মসলার দোকানগুলোতে এখনও উপচে পড়া ভিড়। কোন কোন দোকান বন্ধ থাকায় বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতা মনোয়ার হোসেন। বাজারে দেখা গেছে, জিরা ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ টাকা, এলাচি ১ হাজার ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা, লবঙ্গ ১০০ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ টাকা, কিসমিস ৩৮০ থেকে ৪৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে মাছের বাজারে এখন ক্রেতা বেশি। তবে সবার চোখ এখন ইলিশের দিকে। অলিতে গলিতে ‘ইলিশ, পদ্মার ইলিশ’ এমন হাঁক-ডাক শোনা গেলেও বাজারে এখনও ভরা মৌসুমের প্রভাব পড়েনি। বিক্রেতারা বলছেন, আরও এক মাস থাকবে ইলিশের মৌসুম। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার এখনও সরবরাহ কম বলে বিক্রেতাদের দাবি। কারওয়ান বাজারে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০০ টাকা পিস, ৯০০ গ্রামের ৯০০ টাকা পিস, এক কেজি ওজনের ১,২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর এক কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
×