স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাতে ঘটনার পর থেকেই ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতিবাদের মুখে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কলাবাগান থানা পুলিশ হাসপাতালে অবস্থান নেয়।
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ নিয়েছে। হাসপাতালে নিহত জাহাঙ্গীরের স্বজনরা ভিড় করেছেন। এ ঘটনায় হাসপাতালে থাকা অন্য রোগী ও তাদের স্বজনরাও শঙ্কা বোধ করছেন। জাহাঙ্গীরের ছেলের শ্বশুর সৈয়দ আব্দুর রহমান আরজু বলেন, পিত্তনালীতে পাথরের অপারেশন করতে জাহাঙ্গীর আলমকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেয়া হয়েছিল বিকেল ৪টায়। মিনিট বিশেক পর অপারেশন থিয়েটার থেকে একজন ডাক্তার এসে জানান, আপনাদের রোগীর অবস্থা বেশি ভাল নয়, আপনাদের বন্ড সই করতে হবে। এটা বলে জামাইয়ের (জাহাঙ্গীরের ছেলে) কাছ থেকে একটা কাগজে সই নেন। এরপর তারা সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে যান। তারপর আমরা ওটিতে গিয়ে দেখি, তিনি মারা গেছেন। পরে নিচে নেমে দেখি, হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সসহ কোন লোকই নেই। সবাই পালিয়ে গেছে।’
জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুর বিষয়ে তার মেয়ে সুমি সাংবাদিকদের বলেন, অপারেশন করার আগে এ্যানেসথেশিয়া করেন সিনিয়র ডাক্তাররা। অথচ তারা কোথায় থেকে স্টুডেন্ট খুঁজে এনে আমার বাবার অপারেশন করেছে। তারা যে এভাবে কত রোগী মেরে ফেলেছে, তা খোঁজ নিলে হয়ত জানা যাবে। তারা আমার বাবাকে মেরেছে। এখন যারা ভর্তি আছে, তাদেরও মেরে ফেলবে। আপনারা তাদেরকে বাঁচান, এ হাসপাতাল বন্ধ করেন। আমরা তো জানি না হাসপাতালের ভেতর পাষন্ড ঢুইকা রইছে। আমার জামাইও জানে না, আমার ভাইও জানে না। সকালেও বাবার সঙ্গে কথা হইছিল। বিকেলে বাবা আসছে অপারেশন করতে। আমরা মনে করেছি ভাল ডাক্তার। কিন্তু অপারেশনে নতুন স্টুডেন্ট আইসা এ্যানেসথেশিয়া (অজ্ঞান) করে? এ্যানেসথেশিয়া তো করে সিনিয়র ডাক্তাররা। আমরা তো জানি না এসব। ওরা যে পাষন্ড, তা আমরা কিভাবে জানব? এখনও আইসিইউতে যে রোগীগুলো আছে, সেগুলো মেরে ফেলবে। আরও রোগী মেরে ফেলবে তারা! তাদের বাঁচান।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, ঘটনা জানতে পেরে হাসপাতালটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে কেউ এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি।