ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইউএস ওপেনের তৃতীয়পর্ব থেকেই আজারেঙ্কা-মাকারোভার বিদায়

ভেনাসকে পাত্তাই দিলেন না সেরেনা

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 ভেনাসকে পাত্তাই দিলেন না সেরেনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ বছর আগে শুরু হয়েছিল তাদের দ্বৈরথ। ১৯৯৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা। সেই যে শুরু এরপর থেকেই অসংখ্যবার কোর্টের লড়াইয়ে টেনিসপ্রেমীদের মুগ্ধ-বিমোহিত করেছেন উইলিয়ামস পরিবারের দুই মেয়ে ভেনাস ও সেরেনা উইলিয়ামস। টেনিস দুনিয়ায় তাদের সেই লড়াই চলছে আজও। শুক্রবার ইউএস ওপেনের তৃতীয় রাউন্ডেও একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিলেন ভেনাস-সেরেনা। তবে এবারও ছোট বোনের কাছে হার মানলেন বড় বোন। টুর্নামেন্টের ১৭তম বাছাই সেরেনা উইলিয়ামস এদিন ৬-১ এবং ৬-২ গেমে ভেনাস উইলিয়ামসকে পরাজিত করে চতুর্থ রাউন্ডের টিকেট নিশ্চিত করেন। এর ফলে মুখোমুখি লড়াইয়ে বড় বোন ভেনাস উইলিয়ামসের বিপক্ষে নিজের ফলাফলটাকে নিয়ে গেলেন ১৮-১২তে। আবারও ভেনাসের বিপক্ষে জিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সেরেনা। তবে এবার বড় বোনের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সেরা ম্যাচটাই খেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন ছোট বোন। ম্যাচের পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কোর্টে ফেরার পর থেকে আজ রাতে অনেক বেশি ভাল খেলেছি আমি। আমি মনে করি তার বিপক্ষে খেলা এযাবতকালের ইতিহাসেই সবচেয়ে সেরা ম্যাচ। তবে এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ কিনা সেটা এখন নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।’ ভেনাসও স্বীকার করেছেন, ইউএস ওপেনের তৃতীয়পর্বে দুর্দান্ত খেলেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সে খুবই ভাল পারফর্ম করেছে। আমি তো কোন বল স্পর্শই করতে পারছিলাম না। আমি মনে করি না যে ম্যাচে বড় ধরনের কোন ভুল করেছি কিন্তু সে সবকিছুই একদম সঠিকভাবে করেছে।’ ভেনাসের বিপক্ষে এর আগে সেরেনার সেরা ফলাফলটা ছিল চার্লসটনে। ২০১৩ সালের সেই ম্যাচেও ভেনাস উইলিয়ামসকে ৬-১ এবং ৬-২ গেমে হারিয়েছেন সেরেনা উইলিয়ামস। তবে বড় বোনের বিপক্ষে খেলাটা কিন্তু মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। এটাও স্বীকার করেছেন সেরেনা। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘তার বিপক্ষে খেলাটা মোটেও সহজ নয়।’ সেরেনা এ সময় আরও বলেন, ‘সে আমার সেরা বন্ধু। আমার কাছে সেই পৃথিবী। সে যদি হারে মনে হয় হেরে গেছি আমি। এটা সবসময়ই মনে হয়।’সেরেনা উইলিয়ামসের সামনে এবার নতুন ইতিহাসের হাত-ছানি। আর মাত্র একটি গ্র্যান্ডস্লাম জিততে পারলেই ছুঁয়ে ফেলবেন স্টেফিগ্রাফের ২৪ গ্র্যান্ডস্লামের রেকর্ডকে। এই সুযোগ উইম্বলডনেই এসেছিল তার। কিন্তু সেবার ফাইনালে জার্মানির এ্যাঞ্জেলিক কারবারের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার। তবে ইউএস ওপেনে যেভাবে খেলছেন, মনে হয় স্টেফিগ্রাফকে ছোঁয়াটা এখন তার কেবলই সময়ের ব্যাপার। কেননা চতুর্থ রাউন্ডেও তার সামনে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ। যেখানে এস্তোনিয়ার কাইয়া কানেপির বিপক্ষে খেলবেন তিনি। এদিকে সেরেনা উইলিয়ামসের জয়ের দিনে তৃতীয় রাউন্ডের বাধা পেরিয়েছেন তার স্বদেশী স্লোয়ানে স্টিফেন্স, ইউক্রেনের এলিনা সিতলিনা, অস্ট্রেলিয়ার এ্যাশলে বার্টি, বেলজিয়ামের এলিস মার্টেন্সও। কিন্তু তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছেন রাশিয়ার একাটেরিনা মাকারোভা। লাটভিয়ার নবম বাছাই এ্যানাস্তাসিজা এদিন ৪-৬, ৬-১ এবং ৬-২ গেমে হারান রুশ তারকা মাকারোভাকে। ইউএস ওপেনের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন স্লোয়ানে স্টিফেন্স এদিন বিদায় করেছেন টুর্নামেন্টের হটফেবারিট ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কাকে। তৃতীয় বাছাই স্টিফেন্স তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ৬-৩ এবং ৬-৪ গেমে উড়িয়ে দেন বেলারুশ সুন্দরীকে। দুইবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জয়ী আজারেঙ্কাকে হারিয়ে দারুণ খুশি স্টিফেন্স। পারফর্মেন্সের এই ধারাবাহিকতা টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতেও ধরে রাখতে চান তিনি। দিনের অন্য ম্যাচে ইউক্রেনের সিতলিনা ৬-৪ এবং ৬-৪ গেমে হারান চীনের ওয়াং কিয়াংকে। এলিস মার্টেন্স ৬-৩ এবং ৭-৬ গেমে পরাজিত করেন চেক প্রজাতন্ত্রের বারবোরা স্ট্রাইকোভাকে। স্ট্রাইকোভার স্বদেশী ক্যারোলিনা মুচোভা ৬-৩ এবং ৬-৪ গেমে হার মানেন অস্ট্রেলিয়ার ১৮তম বাছাই এ্যাশলে বার্টির কাছে।
×