ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ওয়াশ’ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ‘হু’

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

‘ওয়াশ’ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে ‘হু’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ‘ওয়াশ’ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। রাজধানীতে সম্প্রতি বাংলাদেশে জাতিসংঘের পানীয়-জল সংশ্লিষ্ট সংস্থা (ইউএন-ওয়াটার) প্রণীত স্যানিটেশন ও খাবার পানির গুণগত মানের আন্তর্জাতিক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ (গ্লাস) কার্যক্রমের ২০১৮ সাইকেলে দু’দিনের এক কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা ভ্যালেরিয়া ডি অলিভিরা ক্রুজ এ কথা বলেন। উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ‘ট্রাকফিন’ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম হিসেবে সূচনা করা হয়। ‘ট্রাকফিন’ হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রণীত একটি পদ্ধতি। যার মাধ্যমে জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ)। এই খাতে অর্থায়নের বিষয়টি পর্যালোচনা করে পরবর্তী কর্মপন্থা নির্ধারণ করা হয়। ট্রাকফিন হবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম একটি সমন্বিত জাতীয় পানি ও স্যানিটেশন হিসাব। এর মাধ্যমে এই সেক্টরের বিভিন্ন উপখাত যেমন, অবকাঠামোগত কর্মসূচী, ব্যবস্থাপনা এবং ব্যবহারকারীদের নিজেদের পকেটের খরচের হিসাব মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণ করা হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের পলিসি সাপোর্ট ব্রাঞ্চ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউনিসেফ ও ওয়াটারএইড বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্তি সচিব বেগম রোকসানা কাদের ওয়াশ খাতে দরিদ্রবান্ধব, স্থায়িত্বশীল ও জবাবদিহিমূলক সেবা দেয়ার যথাযথ অর্থায়নের জন্য ‘ট্রাকফিন’ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। বাংলাদেশে সরকার ওয়াশ খাতের উন্নয়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ খাতে বিনিয়োগের প্রশংসনীয় দীর্ঘমেয়াদী ধারা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ‘ট্রাকফিন’ মাধ্যমে ওয়াশ’র বিভিন্ন খাত ও উপখাতসমূহে যেমন অবকাঠামো, রক্ষণাবেক্ষণ, শুল্কায়নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বরাদ্দ ও ব্যয়ের একটি সামগ্রিক চিত্র পাওয়া সম্ভব হবে। সকলের সহযোগিতায় ‘ট্রাকফিন’ পদ্ধতিটি অনুসরণে একটি ‘ন্যাশনাল ওয়াশ অ্যাকাউন্ট’ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে অতিরিক্ত সচিব বেগম রোকসানা বলেন। অনুষ্ঠানে ইউনসেফ বাংলাদেশে’র দেশীয় প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার কর্মশালার মাধ্যমে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ আগামীদিনে ওয়াশ খাতে বাজেট বরাদ্দ ও ব্যয় বিশ্লেষণে কাজে লাগাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডাঃ ভ্যালেরিয়া ডি অলিভিরা ক্রুজ বাংলাদেশে ‘ন্যাশনাল ওয়াশ এ্যাকাউন্ট’ তৈরির মতো সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থার পক্ষ থেকে আগামীদিনেও বাংলাদেশের ওয়াশ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে টেকসই উন্নয়নের (এসডিজি) আওতায় জাতীয় ওয়াশ লক্ষ্যমাত্রার অগ্রগতি পরিবীক্ষণের কোন আন্তর্জাতিক পদ্ধতি নেই। বিভিন্ন দেশসমূহ ওয়াশখাতে তাদের জাতীয় লক্ষমাত্রা অর্জনে কিভাবে কাজ করছে সে বিষয়েও যথাযথ দিক নির্দেশনার অভাব রয়েছে। গ্লাস’র ২০১৮-১৯ সাইকেলটি জাতীয় নীতি, পরিকল্পনা ও লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারলে এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা পাওয়া সহজ হবে।
×