ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ

স্ত্রীর মামলায় চাকরিচ্যুত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 স্ত্রীর মামলায় চাকরিচ্যুত বিমানবাহিনী কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা দিয়েছেন এক চিকিৎসক স্ত্রী। মামলার পর চাকরি হারিয়েছেন স্বামী। স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী তাকে কৌশলে ফাঁসিয়ে দিয়েছেন। স্ত্রীর সকল অভিযোগ মিথ্যা। বিমানবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত এ কর্মকর্তার নাম মোঃ মাহবুব আলম। আর তার স্ত্রীর নাম ডাঃ হাসিনা মমতাজ হীরা। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মাহবুব আলম দাবি করেন, তার স্ত্রী ডাঃ হাসিনা মমতাজ হীরা তার সাবেক স্বামী ও শ্বশুরের চাপে এই মামলা করে তাকে ফাঁসিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ ডাঃ হাসিনার আগের ঘরের সন্তান ফিরে পেতে আগ্রহী। এই সুযোগ নিয়ে আগের স্বামী ও শ্বশুর কৌশলে এই মামলা সাজিয়েছেন। মাহবুব আলম অভিযোগ করেন, তিনি এখন পদে পদে হয়রানির শিকার। মামলাতো হয়েছে। বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরিচ্যুতও করেছে। মাহবুব আলম দাবি করেন, তারা দুজনে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছে। বিয়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। এখন স্ত্রী ডাঃ হাসিনা মমতাজ চট্টগ্রাম আদালতে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো। ডাঃ হাসিনা মমতাজ আদালতে যে মামলা করেছেন তাতে উল্লেখ রয়েছে, গত ১৫ মে তাকে জোর করে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে মাহবুব আলম আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। মাহবুব আলমের মতে, তারা দুজনই স্বেচ্ছায় বিয়ে কেেরছন। অপহরণের প্রশ্নই আসে না। ১৫ মে একসঙ্গে কারযোগে ঢাকায় যান। ঢাকা থেকে ফ্লাইটে যশোর যান। ১৬ মে বিয়ে করেন। পরে ঢাকায় গিয়ে একসঙ্গে শপিং করেন। এখানে অপহণের ঘটনা কিভাবে আসে। তিনি সুনির্দিষ্টভাবে জানান, ডাঃ হাসিনা মমতাজ হীরার আগের স্বামী ডাঃ ওয়াহিদ চৌধুরী ও সাবেক শ্বশুর মোঃ মাহবুব চৌধুরী। আগের ঘরে এক সন্তান রয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে বিমানবাহিনীতে অভিযোগের পর এর তদন্ত হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তা প্রত্যাহারিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে হাসিনা মমতাজের সাবেক স্বামী ও শ্বশুরের চাপে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার কারণে তার চাকরি গেছে।
×