ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তারাপুর-কৈটোলা সড়কের ৫০০ ফুট বিলীন

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 তারাপুর-কৈটোলা সড়কের ৫০০  ফুট বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১ সেপ্টেম্বর ॥ বেড়া উপজেলার তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়ক কাকেশ্বরী নদীর ভাঙ্গনে হয়েছে। ইতোমধ্যে কৈটোলা কুটিশ্বর ব্রিজ হতে তারাপুর রহিম মোল্লার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৫শ’ ফুট রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে ১০ হাজার লোক। বিপাকে পড়েছে গাড়ি চালকরা। গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। চারটি বাড়িতে ভূমিধস দেখা দিয়েছে। তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়ক দিয়ে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা স্কুল -কলেজে যেতে পারছে না। দীর্ঘদিন যাবত অবহেলা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতার কারণে তারাপুর-কৈটোলা সংযোগ সড়ক নদীভাঙ্গনে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে। গত ২৪ আগস্ট বেড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু সামা মোল্লা ও কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতালেব শেখ সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে নদী ভাঙ্গনের কথা জানালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের মোবাইল করে ভাঙ্গন রোধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্দেশের ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এলাকাবাসী জানান, এ রাস্তা দিয়ে কৈটোলা-পাচুরিয়া-তারাপুর- কুশিয়ারা-বাঘজানসহ বিভিন্ন এলাকার লোক যাতায়াত করে। নদী ভাঙ্গনের কারণে জনসাধারণ কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে যেতে কষ্ট হচ্ছে। কৈটোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতালেব শেখ জানান, রাস্তাটি কৈটোলা এবং চাকলা ইউনিয়নের মধ্যে পড়ায় কাজ দ্রুত করা যাচ্ছে না। তবে নদীভাঙ্গন রোধে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া উচিত। . পায়রা নদীর ব্লক সরে যাচ্ছে নিজস্ব সংবাদদাতা আমতলী, বরগুনা থেকে জানান, পায়রা নদীর ভাঙ্গনে শহর রক্ষা বাঁধের সিসি ব্লক সরে যাওয়ায় ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে বরগুনার আমতলী পৌর শহর। ভাঙ্গনের তীব্রতা বৃদ্ধিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বিলীন হয়ে যাবে পাউবো অফিস, খাদ্যগুদাম, মুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ বহু স্থাপনা। জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে আমতলী পৌর শহরকে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় ফেরিঘাট থেকে পাউবোর অফিস পর্যন্ত ১২০০ মিটার শহর রক্ষা বাঁধ প্রকল্পের অধীনে সিসি ব্লক ফেলে শহর রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করা হয়। ওই সময় নিম্নমানের কাজ করায় অল্পদিনে মধ্যেই ব্লক সরে যেতে থাকে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, মহাসেন ও রোয়ানুর প্রভাবে আমতলী পৌর শহর সংলগ্ন পায়রা নদীর সিসি ব্লক সরে ও ভেঙ্গে যায়। এতে ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, কাঠপট্টি, পুরাতন লঞ্চঘাট ও পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা নদীবক্ষে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৪ সালে সিডর প্রকল্পের আওতায় আমতলী পৌরশহরকে পায়রা নদীর ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষায় ১২০০ মিটার ব্লক মেরামতের কাজ অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমবিইএল ১১৫ মিটার পায়রা নদীর তীর সংরক্ষণে সিসি ব্লক সংস্কার করে অবশিষ্ট কাজ না করেই চলে যায়। এতে আরও হুমকির মুখে পড়ে পৌর শহর। শনিবার পায়রা নদীসংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পায়রা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারের স্রোতে ঢেউ তীরে আঘাত হানে। এতে ব্লকগুলো সরে যাচ্ছে এবং দুর্বল অনেক ব্লক ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হচ্ছে। আমতলী স্লুইসগেট এলাকায় দু’পাশের ব্লক সরে গেছে। বাড়িঘর ভেঙ্গে যাচ্ছে। ফেরিঘাট, শ্মশানঘাট, সবুজবাগ মুক্তিযোদ্ধা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট ও আমতলী পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পায়রা নদীর ভাঙ্গনে প্রতিদিনই পৌরশহরের আয়তন ছোট হচ্ছে। ভাঙ্গনে বহু স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
×