ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাব্বির, নাসির, সৈকতের শুনানি আজ

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 সাব্বির, নাসির, সৈকতের  শুনানি আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার \ তিনজনের বিরুদ্ধেই কোন না কোনভাবে নারী কেলেঙ্কারি যুক্ত। কারও বিরুদ্ধে আবার আছে ভক্ত-সমর্থকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করাও। কেউ কেউ আবার মামলায় পড়েছেন। একজন সাব্বির রহমান রুম্মন। আরেকজন নাসির হোসেন। তৃতীয়জন হচ্ছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তিনজনই ক্রিকেটার। তিনজনই হিসেবে অলরাউন্ডার। এ তিন ক্রিকেটারেরই আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) শুনানি রয়েছে। তিনজনকেই আজ বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটির সামনে হাজির হতে হবে। নিজেদের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে নিজেদের রক্ষা করার কাজ করতে হবে। সাব্বিরের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি তো আছেই। সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তের কথার প্রতিবাদ করা এবং অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করার বিষয়টিও যুক্ত হয়েছে। এখনও কোন মামলার জালে পড়েননি সাব্বির। কোন নারীও বিসিবিতে অভিযোগ নিয়ে আসেননি। তবুও সাব্বিরের নামের পাশে ‘ব্যাড বয়’ খেতাবটি যুক্ত হয়ে গেছে। বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে নারীঘটিত বিষয়টি আলোচনা হলেই সাব্বিরের নামটি এসে পড়ে। সবশেষে এক ভক্তকে অশোভন গালিগালাজ করেন সাব্বির। আর নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টিও বিভিন্ন মিডিয়াতে এরই মধ্যে এসেছে। সাব্বিরের তাই শাস্তি হওয়া নিশ্চিতই। সেই শাস্তি কি পরিমাণ তা হয়তো আজই বোঝা যাবে। নাসিরের বিরুদ্ধে এখনও কোন মামলা হয়নি। তবে নাসিরের নারীসঙ্গও এখন সবার মুখে মুখে। বিশেষ করে নাসিরের মোবাইল সিম ও বান্ধবীর সংখ্যা নিয়ে বিসিবি সভাপতিই একবার মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি তার এক কথিত মডেল বান্ধবী ইউটিউবে নাসিরের নারী কেলেঙ্কারির বিষয়টি তুলে ধরেছেন। যে বিষয়টিতে বিসিবিও স্বাভাবিকভাবেই বিব্রত। নাসিরেরও যে শাস্তি হতে পারে তা বোঝাই যাচ্ছে। সর্বশেষ সাব্বির, নাসিরদের কাতারে এসেছেন সৈকত। তবে তার বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির কোন সত্যতা এখনও মিলেনি। তবে তিনি যৌতুক মামলায় পড়েছেন। সৈকতের স্ত্রী নিজেই মামলা করেছেন। আর বিস্তর অভিযোগ তো আছেই। মোসাদ্দেকের স্ত্রী সামিনা শারমীন ২৬ আগস্ট রবিবার ময়মনসিংহের আদালতে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন। মোসাদ্দেকও আজ হাজির হবেন শুনানিতে। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বৃহস্পতিবার যা বলেছেন, তাতে সৈকত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ভালভাবেই পাচ্ছেন। তাতে বোঝাও যাচ্ছে, এশিয়া কাপের দলে থাকা সৈকত শুনানিতে হাজির হলেও এখনই কিছু হচ্ছে না। যেহেতু তার বিষয়টি আদালতের হিসেবে আছে। পারিবারিক বিষয়। তাই আদালতই এর ফয়সালা করবে। আদালতে যদি দোষী সাব্যস্ত হন সৈকত, তখন বিসিবিও সৈকতকে শাস্তি দেবে। বিসিবি সভাপতি বৃহস্পতিবার ক্রিকেটারদের আচরণ নিয়ে বলেছেন, ‘এখানে নাম্বার অব ইস্যুজ আছে। হচ্ছে কি প্রাইভেট অনেক সমস্যা আছে। সেটা থাকতে পারে। সবকিছুর মধ্যে বিসিবিকে জড়ালে হবে না। সব বিসিবির পক্ষে করাও সম্ভব না। উদাহরণ- ডিভোর্স হয় না বাংলাদেশে? কেউ যদি কাউকে ডিভোর্স করতে চায় এটা নিয়ে আমরা কি করব। কেউ যদি একাধিক বিয়ে করে, সেটাও আমাদের কিছু করার নেই। এখন তো আমরা বলতে পারি না, ক্রিকেট যারা খেলে তারা একাধিক বিয়ে করতে পারবে না। আমরা মনে করি ক্রিকেট প্লেয়াররা ডেফিনিটলি আইডল। তাদের অনেকে অনুসরণ করে। অবশ্যই তাদের ভাল মানুষ হতে হবে। এটার জন্য যা যা করা দরকার করতে হবে। কিছু মানুষ আছে, যাদের আমরা শাস্তি দিচ্ছি। যদি দেখি তা দিয়েও কোন ইম্পেক্ট হচ্ছে না, তখন তো আমাদের কড়া শাস্তি দিতেই হবে। যদি আমরা মনে করি একটা জিনিস করা উচিত না কোন খেলোয়াড়ের, সে যদি বারবার তা করতে থাকে। তখন কড়া সিদ্ধান্ত নিতেই হয়, নিব। আবার কিছু জিনিস আছে না জেনেও নিতে পারি না। একটা হচ্ছে অভিযোগ করতেই পারে একজন। অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার আগেই যদি বিচার করে বসি। তারপর দেখা গেল আদালতে এটা ঠিক না, তাহলে তো অন্যায় হয়ে গেল। কাজেই নিশ্চিত হতে হবে। প্রমাণ হলে চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। চ‚ড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমার কাছে একটাই ন্যাশনাল টিমে নাই। সে জাতীয় দলে খেলতে পারবে না। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যদি কেউ খেলতে না পারে এরচেয়ে বেশি আর কি করতে পারব বলেন।’ সাব্বির, নাসির, সৈকতের আজ শুনানি হবে। এরপর দেখা যাক, বিসিবির শৃঙ্খলা কমিটি কি সিদ্ধান্ত নেয়।
×