ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

তিস্তার ভাঙ্গনের মুখে নাগড়াকুড়া টি-বাঁধ

প্রকাশিত: ০৭:০২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 তিস্তার ভাঙ্গনের মুখে  নাগড়াকুড়া  টি-বাঁধ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ উলিপুরে প্রায় ৮ কোটি ব্যয়ে এক বছর আগে নির্মিত টি-বাঁধটি (গ্রোয়েন) তিস্তার ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়েছে। যেকোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে টি-বাঁধটি। কুড়িগ্রাম পাউবো কর্তৃপক্ষ জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছেন। এদিকে অভিযোগ উঠেছে, সম্প্রতি একটি চক্র ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বাঁধের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় টি-বাঁধটি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের তিস্তার বাম তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় টি-হেড গ্রোয়েনটি নির্মাণ করা হয়। গত ২০১৭ সালের জুন মাসে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। কিন্তু এর কিছুদিন পরেই বাঁধের একপাশে ভাঙ্গন শুরু হয়। টি-বাঁধটি রক্ষায় কুড়িগ্রাম পাউবোর এমন ধীর গতির কারণে উষ্মা প্রকাশ করেন উলিপুরবাসী। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে উলিপুর শহর হুমকির মুখে পড়বে। কুড়িগ্রাম পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম জানান, আমরা জিও ব্যাগে বালু ভর্তি করে ভাঙ্গন থেকে রক্ষার চেষ্টা করছি। তবে হঠাৎ করে ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় আপৎকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হচ্ছে। স্থানীদের অভিযোগ, তিস্তা নদীর ডান তীরে অন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পানি গতিপথ পরিবর্তন করায় গ্রোয়েনটি ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে। এছাড়া টি-বাঁধটির সামনে আরও কয়েকটি গ্রোয়েন নির্মাণ করা হলে টি-বাঁধটি রক্ষা করা সম্ভব হবে। এদিকে বাঁধটির সৌন্দর্য বর্ধন ও সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করতে কুড়িগ্রাম পাউবো কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রোয়েনটির উপরিভাগ পাকাকরণের কাজ শুরু করেছে। গ্রোয়েনটি যেখানে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সেখানে এ মুহূর্তে পাকাকরণের অর্থ পানিতে যাবে বলে অনেকের অভিযোগ। টি-বাঁধের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন রক্ষায় এখন পর্যন্ত ১৭৫ কেজি ওজনের বালু ভর্তি ৬শ’ জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে। টি-বাঁধটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা গ্রোয়েনটি রক্ষা করে আগামী শুষ্ক মৌসুমে সংস্কার কাজ করব। তিস্তা ব্রিজের কাছ থেকে চিলমারী পর্যন্ত বাম তীর রক্ষায় আমরা আরও কিছু গ্রোয়েন নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
×