ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক পারাপার

প্রকাশিত: ০৬:৫৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম  মহাসড়ক পারাপার

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুর চৌরাস্তা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটওভার ব্রিজ না থাকায় পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছে। এতে বহু পথচারী সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে। পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা উক্ত স্থানে জরুরী ভিত্তিতে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণের জোর দাবি জানান। জানা যায়, মদনপুর চৌরাস্তা অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি বাসস্ট্যান্ড। কেননা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছাড়াও মদনপুর থেকে শুরু হয়েছে এশিয়া মহাসড়ক (ঢাকা পাইপাস)। ঢাকা পাইপাস সড়ক দিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ গাজীপুর ও উত্তরবঙ্গের গাড়িগুলো যাওয়া-আসা করছে। এছাড়াও মদনপুর-মদনগঞ্জ সড়কটিও এখান থেকে শুরু হয়েছে। এ কারণে বাসস্ট্যান্ডটি সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকছে। প্রতিদিন হাজারো পথচারী এ চৌরাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। এ সব এলাকার বহু ছাত্র-ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত। ফলে প্রতিদিনই তাদের এ বাসস্ট্যান্ড দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও মহিলাদের মহাসড়ক পার হতে গিয়ে নানা ভোগান্তি করতে হয়। শুক্রবার দুপুরে মদনপুর চৌরাস্তায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হতে দেখা গেছে। এ সময় মহিলা পথচারী সাবিকুন নাহার জানান, আমি দুই শিশুকে নিয়ে ১৫ মিনিট ধরে মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু সাহস পাচ্ছি না। কারণ মহাসড়কটি কয়েক সেকেন্ডের জন্যও ফাঁকা থাকছে না। যদি এখানে একটি ফুটওভার ব্রিজ থাকত তবে ঝুঁকি ছাড়াই রাস্তা পার হওয়া যেত। পথচারী আলাউদ্দিন জানান, মনদপুর চৌরাস্তাটি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। কারণ এখানে চারদিক দেখে-শুনে রাস্তা পার হতে হয়। একটু হেরফের হলেই মৃত্যু। কলেজ ছাত্রী সায়লা আক্তার জানান, শুক্রবার কলেজ বন্ধ থাকলেও প্রাইভেট পড়তে বের হয়েছি। কিন্তু মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে মহাসড়ক পার হতে থমকে দাঁড়াতে হয়। যখন অনেক মানুষ একত্রে মহাসড়ক পার হয় তখন পার হওয়ার চেষ্টা করি। স্থানীয় দোকানি মোবারক হোসেন জানান, মদনপুর চৌরাস্তায় রাস্তা পার হতে গিয়ে মা-ছেলে, মা-মেয়ে, নানি-নাতনি ও বাবা-ছেলেসহ একসঙ্গে কয়েক বছরে বহু পথচারী প্রাণ দিয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর গড়িয়ে যায় তবুও এখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ হয় না।এ বিষয়ে মদনপুর এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর (টিআই) রাফিকুল ইসলাম মৃধা জানান, এখানে জরুরী ভিত্তিতে একটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। কারণ এ মহাসড়কের প্রতি মিনিটে শতাধিক গাড়ি আসা-যাওয়া করে। এখানে পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছে। মাঝে মাঝে পথচারীদের সিগন্যাল দিয়েও মহাসড়ক পার করাতে হচ্ছে। বিশেষ করে সকালে ও বিকেলে পথচারীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফুটওভার ব্রিজ না থাকার এখানে পথচারীদের মহাসড়ক পার হওয়ার কারণেও মাঝে মাঝে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অনেক পথচারী জীবন রক্ষার্থে ট্রাফিক পুলিশের সহায়তা নিয়েও মহাসড়ক পার হচ্ছে।
×