ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেক্সিটের মাসুল গুনতে হবে ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটিকেও

প্রকাশিত: ০৬:৪৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  ব্রেক্সিটের মাসুল গুনতে হবে  ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটিকেও

ব্রিটেন কোন চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও সহযোগিতার প্রকল্পগুলোতে ধস নামার ঝুঁকিতে পড়বে। উচ্চতর শিক্ষা কর্মীদের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নের এক নেতা এ হুঁশিয়ারি দেন। ইউনিভার্সিটি এ্যান্ড কলেজ ইউনিয়নের (ইউসিইউ) সাধারণ সম্পাদক স্যালি হানা বলেন, ব্রেক্সিট চুক্তি করতে ব্যর্থ হলে উচ্চতর শিক্ষা ব্যবস্থাতে সবচেয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ইউসিইউর এক লাখের বেশি সদস্য রয়েছে। ইউসিইউ সতর্ক করেছে, কোন চুক্তি না হলে গবেষণায় আর্থিক সঙ্কট উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে থাকবে। এতে ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ইইউর শিক্ষার্থীরা সবার আগে চলে যাবে। ব্রেক্সিট মন্ত্রী ডোমিনিক রাব বৃহস্পতিবার প্রথম প্রকাশ করেন যে, ইইউর সঙ্গে চুক্তি না করে সংস্থাটি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য তার বিভাগের সম্ভাব্য পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরই ইউসিইউর সাধারণ সম্পাদক হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সম্প্রতি ব্রিটিশ সরকার নিশ্চয়তা দিয়েছে তারা এই দশকের শেষ পর্যন্ত গবেষণা প্রকল্পে আর্থিক তহবিল দেবে। যা ইউরোপিয়ান তহবিল দ্বারা এতদিন সুরক্ষিত ছিল। তবে হান্ট সতর্ক করেছেন, এটি যথেষ্ট নয়। তিনি বলেন, তহবিলের প্রবাহে ঝুঁকি থাকবে। আমাদেরকে যুক্ত করা ছাড়া আর কোন মেয়াদে পরিকল্পনা করা হবে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। গবেষণা প্রকল্প ও সহযোগিতা ছেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি হবে আটকে রাখা বা একসঙ্গে ধস নামা। ব্রিটেনের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সুবিধা রয়েছে। হরাইজন ২০২০ প্রকল্পের প্রথম তিন বছরে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সংস্থা অন্য দেশের তুলনায় ইইউর আর্থিক তহবিল গবেষণা ও প্রকল্পে তাদের বিকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি স্পষ্ট করতে হবে যে, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের প্রভাব উল্লেখযোগ্য কোন কিছু হবে না। ইউনিয়ন নেত্রী প্রমাণ উপস্থাপন করে পরামর্শ দিয়েছেন যে, ব্যাপক সংখ্যক ইইউ কর্মী যারা ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষাদান ও গবেষণা কাজে নিয়োজিত রয়েছেন তারা ব্রেক্সিট ভোটের পর পদত্যাগ করে চলে গেছেন। এদের সংখ্যা ১৭ শতাংশ। এ বছরের শুরুতে দুই হাজার তিন শ’ ইইউ শিক্ষাবিদ ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের মধ্যে ব্রেক্সোডাস কাজ করেছে। তারা ছিলেন উচ্চশিক্ষায় সবচেয়ে মেধাবী। যাই হোক ইউগব জরিপ অনুযায়ী, তিন-চতুর্থাংশ ইইউ শিক্ষাবিদ ব্রিটেনের উচ্চশিক্ষা ত্যাগ করার কথা বিবেচনা করছে। আর্টিকেল ৫০কে লক্ষ্য করে ইউসিইউ জরিপটি পরিচালিত করেছিল। -ইন্ডিপেন্ডেন্ট
×