ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চীনে উইঘুরদের আটক নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জাতিসংঘের

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  চীনে উইঘুরদের আটক নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জাতিসংঘের

জাতিসংঘ বলেছে, সংস্থা চীনে উইঘুরদের ব্যাপক হারে আটক রাখার রিপোর্টে উদ্বিগ্ন এবং সন্ত্রাস দমনের অজুহাতে যাদের আটক রাখা হয়েছে তাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে। খবর বিবিসি অনলাইনের। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে জাতিসংঘের একটি কমিটি অবহিত হয়েছে যে, জিনজিয়াং অঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মুসলিম উইঘুরকে পুনঃশিক্ষা শিবিরে আটকে রাখা হয়েছে। বেজিং এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে, কিন্তু এটা স্বীকার করেছে যে, কিছুসংখ্যক ধর্মীয় উগ্রপন্থীকে নতুন পাঠ দেয়া হচ্ছে। চীন এ প্রদেশে অসন্তোষের জন্য ইসলামপন্থী জঙ্গী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দায়ী করে আসছে। বর্ণ বৈষম্য নির্মূল বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটির সদস্যরা এ মাসের প্রথম দিকে এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, বেশকিছু বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে, যেগুলোতে বলা হয়েছে, বেজিং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল উইঘুরকে এমন কিছুতে পরিণত করেছে যা একটি অন্তরীণ শিবিরের মতোই। চীন বলেছে যে, উইঘুররা সম্পূর্ণ অধিকার ভোগ করে। কিন্তু বেজিং এক বিরল স্বীকৃতিতে বলেছে, যারা ধর্মীয় সন্ত্রাসে বিভ্রান্ত তাদের পুনঃবাসন ও পুনঃশিক্ষা গ্রহণে সহযোগিতা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ কমিটি বৃহস্পতিবার এর পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে। কমিটি বিচারাধীন ও দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ছাড়া বর্তমানে আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য বেজিংয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কমিটি সব জাতিগত নিপীড়নের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্তের জন্যও আহ্বান জানিয়েছে। এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ মানবাধিকার গ্রুপগুলো গণঅন্তরীণ রাখার দাবির পক্ষে প্রমাণসহ বেশ কয়েকটি রিপোর্ট জাতিসংঘ কমিটিতে উপস্থাপন করেছে। রিপোর্টগুলোতে বলা হয়েছে, শিবিরগুলোতে আটক উইঘুরদের চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতি অনুগত থাকার শপথ গ্রহণে বাধ্য করা হয়। ওয়ার্ল্ড উইঘুর কংগ্রেসের রিপোর্টে বলেছে যে, আটক ব্যক্তিদের অভিযোগ ছাড়া অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক রাখা হয়েছে এবং কমিউনিস্ট পার্টির স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়। তাদের অপর্যাপ্ত খাবার দেয়া হয় এবং তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয় বলেও রিপোর্ট রয়েছে। কংগ্রেস বলে, অধিকাংশ বন্দীদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগ নেই এবং তাদের আইনী প্রতিনিধিত্ব গ্রহণ করতে দেয়া হয় না। জিনজিয়াং প্রদেশে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ হচ্ছে উইঘুর।
×