ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আর্থিক খাতের মডেল

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

  মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক হাজার কোটি টাকার  বেশি লেনদেন

রহিম শেখ ॥ মর্জিনা বেগম রাজধানীর মিরপুর পল্লবী এলাকার একটি গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। চাকরির উপার্জিত অর্থের একটি অংশ প্রতিমাসের শুরুতেই বৃদ্ধা মা আমেনা বেগমকে পাঠাতে হয়। আগে দিন কয়েক সময় লাগলেও এখন নিজের মোবাইল থেকে মায়ের মোবাইলে টাকা পাঠান মুহূর্তেই। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রহমান টেলিকমে টাকা নিতে এসেছিলেন মর্জিনার বৃদ্ধা মা আমেনা বেগম। বলছিলেন, মেয়ে আগে পরিচিতজনদের কাছে টাকা পাঠাত। সেই টাকা পেতে কয়েকদিন সময় লেগে যেত। এখন মোবাইলে এ্যাকাউন্ট থাকায় মুহূর্তেই মেয়ের টাকা পেয়ে যাই। দেশে এই মুহূর্তে আমেনা বেগমের মতো মা কিংবা মর্জিনার মতো মেয়েদের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটিরও ওপরে, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩ ভাগ। সারাদেশে রহমান টেলিকমের মতো এজেন্টের সংখ্যা ৮ লাখ ২৯ হাজার। বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হচ্ছে। সে হিসেবে মোবাইলে মাসে আর্থিক লেনদেন হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা। এ তো শুধু দেশের কথা, প্রতিদিন বিদেশ থেকেও মোবাইলে আসছে টাকা। বাংলাদেশে থাকা আত্মীয় স্বজনের কাছে বৈধ উপায়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। তেমনি একজন বিল্লাল হোসেন। কাজ করছেন সৌদি আরবে। প্রতিমাসের সাংসারিক খরচ মেটাতে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে টাকা পাঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। মনোয়ারা বেগম জনকণ্ঠকে বলেন, আমার স্বামী আগে ৩/৪ মাস পর পর ডাকযোগে টাকা পাঠাত। তখন সাংসারিক খরচ মেটাতে সমস্যা হতো। এখন মোবাইল ব্যাংকিং থাকায় প্রতিমাসের টাকা প্রতিমাসেই পাই। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব মতে, চলতি বছরের জুন মাস শেষে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ১৮ লাখ ৬৩ হাজার, যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় ৫ লাখ বেশি। এর আগে গত বছরের মার্চ মাসে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শুধু টাকা পাঠানো বা উঠানো নয়, কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, বেতনভাতা বিতরণ, সরকারী অনুদানপ্রাপ্তি, মোবাইলে তাৎক্ষণিক ব্যালেন্স রিচার্জসহ বিভিন্ন সেবা এখন হাতের মুঠোয়। জানা গেছে, মূলত সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১১ সালের মার্চে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক প্রথমবারের মতো দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। দেশের সরকারী-বেসরকারী ৫৮টি ব্যাংকের মধ্যে ২৮টি ব্যাংককে এই সেবা চালুর অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে ২০টি ব্যাংক সেবা চালু করতে পারলেও পরবর্তী সময় দুটি ব্যাংক সেবাটি বন্ধ করে দেয়। ফলে বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা ব্যাংকের সংখ্যা ১৮টিতে নেমে এসেছে। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের ‘রকেট’ এ সেবায় এগিয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে। বর্তমানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের মাধ্যমে ৮ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এগুলো হলোÑ ইনওয়ার্ড রেমিটেন্স, ক্যাশ-ইন ট্রানজেকশন, ক্যাশ আউট ট্রানজেকশন, পিটুপি ট্রানজেকশন, বেতন বিতরণ (বিটুবি), ইউটিলিটি বিল (পিটুবি), মার্চেন্ট লেনদেন ও সরকারী বিভিন্ন বিল পরিশোধ। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা বলা হয়েছে, ২০২০ সাল নাগাদ দেশে মোবাইল ব্যাংকিং বিল পেমেন্ট সুবিধা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটি ২০ লাখ। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। খুব অল্পসময়ে ৬ কোটি গ্রাহক বিস্ময়ের ব্যাপার। তিনি বলেন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে ব্যাংকিং চ্যানেল এখন অনেক সজাগ। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর। এ ক্ষেত্রে যেসব আইন রয়েছে তার পরিপালন নিয়ে কাজ করছি আমরা। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম জনকণ্ঠকে বলেন, যাদের লক্ষ্য করে এই ব্যাংকিংয়ের কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ অল্প আয়ের মানুষ এবং স্বাভাবিকভাবেই স্বল্পশিক্ষিত মানুষ ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসতে পারে অনায়াসেই। তিনি বলেন, ব্যাংকের শাখা খুলে মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ বিষয়। যা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সহজে এরং স্বল্প খরচেই সম্ভব। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, দরিদ্র ও ব্যাংকিং সেবাবহির্ভূত জনগণকে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার লক্ষ্যে এবং প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত, সহজ ও নিরাপদে গ্রামীণ এলাকায় বসবাসরত উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ২০১০ সালে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে তফসিলি ব্যাংকগুলো। যার ফলে আজ মোবাইল ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা নতুন মাত্রা ছুঁয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলেও তিনি জানান। ড. আতিউর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তিনি বলেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় খোলা ব্যাংক হিসাবগুলোকে ধরলে গ্রাহকের দিক দিয়ে প্রথম দিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং বিল গেটস। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিংয়ে তথ্য-প্রযুক্তি যুক্ত হওয়ায় আর্থিক সেবা এখন গরিবের কাছে পৌঁছে গেছে। ধনীরা ঋণ মঞ্জুর এবং ইন্স্যুরেন্সসহ অন্যান্য আর্থিক সেবা ব্যাংক থেকে নিতে পারেন, কিন্তু গরিবদের সেখানে সুযোগ একেবারে কম। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান আর্থিক সেবার ব্যয় কমায়। মোবাইল ব্যাংকিং বিপ্লব, আছে ঝুঁকি ও প্রতারণা ॥ মোবাইল ফোন থাকলেই যে কেউ ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন আর টাকা লেনদেন করতে পারেন বাংলাদেশের যে কোন স্থান থেকে। তাকে ব্যাংকের শাখায় যেতে হয় না। মোবাইল ফোনের কল রিচার্জ বা ‘ফ্লেক্সিলোড’ করেন যারা, তারাই এ্যাকাউন্ট খুলে দেন, ব্যাংকের হয়ে তারাই টাকা-পয়সা লেনদেন করেন। মোবাইল ফোন নম্বরটিই গ্রাহকের এ্যাকাউন্ট নম্বর। এই এ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই অন্য কোন মোবাইল ব্যাংক এ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন তিনি। নগদ টাকা তুলতে মাঝখানে থাকেন একজন এজেন্ট। তারা মূলত ছোট ব্যবসায়ী, যারা নিজের দোকান-ঘরেই লাইসেন্স নিয়ে থাকেন ব্যাংকের কাছ থেকে। অর্থাৎ মোবাইল ব্যাংকিং মানুষের সময় বাঁচিয়ে দিয়েছে, কমিয়েছে ভোগান্তি। এ কারণেই এ পদ্ধতি এত দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। তবে যারা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করেন, তাদের বেশিরভাগেরই নিজেদের কোন এ্যাকাউন্ট নেই। তারা এজেন্টদের মাধ্যমেই টাকা লেনদেন করেন। এক হিসেবে দেখা গেছে ৬০/৭০ শতাংশ টাকা লেনদেন নিজস্ব এ্যাকাউন্ট ছাড়া। গড় হিসেবে দেখা যায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু পাঁচ হাজার টাকার লেনদেনই বেশি। সাধারণত যারা অল্প আয়ের মানুষ এবং যারা ব্যাংকে গিয়ে এ্যাকাউন্ট খোলার মতো দক্ষ নন, তাদের একটি বড় অংশ এই ব্যাংকিং সেবার দিকে ঝুঁকছেন। তাছাড়া এই সেবায় যখন তখন টাকা পাঠানো এবং গ্রহণ করা যায়, যা এই সেবা জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা লেনদেনে শতকরা দুই টাকা খরচ হয়। এতে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লেনদেন করা যায়। তবে কেউ চাইলে একাধিক এজেন্ট বা এ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও টাকা লেনদেন করতে পারেন। এছাড়া এই লেনদেনের তেমন কোন তথ্য থাকে না। এজেন্টের মাধ্যমে করলে যার কাছে টাকা পাঠান হয়, তার মোবাইল নম্বর ছাড়া আর কোন তথ্যই থাকে না। একটি বেসরকারী ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ কাজে টাকা ব্যবহার অনেক সহজ হয়েছে। কারণ কে টাকা পাঠাচ্ছেন, কার কাছে পাঠাচ্ছেন এবং কেন পাঠাচ্ছেন তা জানা সম্ভব নয়। তিনি জানান, এর বাইরে এই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণার অভিযোগও আজকাল পাওয়া যাচ্ছে। ভুয়া মেসেজের মাধ্যমে এজেন্টরা যেমন টাকা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন, তেমনি গ্রাহকের টাকাও তুলে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। নতুন নীতিমালায় এজেন্ট ও এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে আইন মানার নির্দেশনা ॥ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস’র (এমএফএস) নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের এ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলন ছাড়া অন্য কোন ধরনের লেনদেন করতে পারবেন না এজেন্টরা। এজেন্টদের তৃতীয় পক্ষ হিসেবে টাকা পাঠানো বা গ্রহণ করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ এমএফএসের লাইসেন্স দেবে। গ্রাহকের স্বার্থহানিকর কোন কাজ বা গুরুতর অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক। মানিলন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও হুন্ডি প্রতিরোধে প্রচলিত মানিলন্ডারিং আইন মেনে চলতে হবে এমএমএফগুলোকে। এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর এ্যাকাউন্টে টাকা জমাতে পারবেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় অংশীদার হতে পারবে না অপারেটর কোম্পানিগুলো ॥ মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মুঠোফোনে আর্থিক সেবা প্রদানের জন্য অংশীদার হতে পারছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমএনও)। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো এ সংক্রান্ত নীতিমালা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই নীতিমালায় ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানকেও এ সেবার অনুমতি দেয়া হয়। ওই নীতিমালার পর কয়েকটি অপারেটর আর্থিক সেবা চালু করলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপের মুখে তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। এরপর থেকেই তারা এ সেবার মালিকানায় অংশগ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমএফএস প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আসার সুযোগ পাচ্ছে না গ্রামীণফোন ও রবির মতো মোবাইল অপারেটররা। তবে এসব অপারেটরের নেটওয়ার্কেরর ওপর নির্ভর করেই চলবে সেবাটি। এমএফএস প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে শতকরা ৫১ ভাগের মালিকানা থাকবে ব্যাংকের হাতে এবং সেবাটি ব্যাংকের নেতৃত্বেই চলবে। বাকি ৪৯ শতাংশ অংশের মালিকানায় আসতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাসহ অন্যরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গবর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ জনকণ্ঠকে বলেন, মুঠোফোন অপারেটরদের এ সেবায় অংশীদার করলে ঝুঁকি বাড়ত। কারণ, তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে নয়। আর্থিক ব্যবস্থাপনা সব সময়ই ব্যাংকের হাতে থাকা উচিত।
×