ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাচ্ছে ৩ কোম্পানি ॥ ভোজ্যতেল আমদানির শূন্যশুল্ক সুবিধা

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পাচ্ছে ৩ কোম্পানি ॥ ভোজ্যতেল আমদানির শূন্যশুল্ক সুবিধা

কাওসার রহমান ॥ ভোজ্যতেলে ভোক্তাদের জন্য দেয়া সরকারের শুল্কমুক্ত সুবিধা যাচ্ছে ব্যক্তি পকেটে। অভ্যন্তরীণ বাজারে তেলের দাম কম রাখার জন্য সরকার প্রতি বছর বাজেটে ভোজ্যতেল আমদানির ওপর শুল্ক সুবিধা দিচ্ছে। শূন্য শুল্কে আমদানি করা এই তেল পরিশোধন করে প্রতিবেশী দেশে রফতানির মাধ্যমে ভোক্তাদের দেয়া এই সুবিধা খেয়ে ফেলছে তিনটি তেল কোম্পানি। ভারত সরকার সম্প্রতি ভোজ্যতেল আমদানির ওপর শুল্ক অনেকটা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু সাফটার আওতায় শূন্য শুল্কে ওই তেল রফতানি কেন্দ্র করে ভারতেও শুরু হয়েছে তোলপাড়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো তেল রফতানির জন্য বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার। কিন্তু ভোক্তাদের দেয়া শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা তেল ওই বাজারে রফতানির কারণে শুধু দেশের ভোক্তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। কেবল লাভবান হচ্ছে দেশের তিনটি ভোজ্যতেল কোম্পানি। তাই ভোজ্যতেল আমদানিতে সরকার ভোক্তাদের জন্য যে ১০ শতাংশ শুল্ক ছাড় দিচ্ছে, তা রফতানির ক্ষেত্রে আরোপের মাধ্যমে সরকার ওই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিগত বিএনপি সরকারের আমলে ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেলে নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ী এবং গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর দাবি ওঠে। ফলে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভোক্তাদের কম দামে ভোজ্যতেল খাওয়ানোর জন্য ওই ১০ শতাংশ আমদানি শুল্কও তুলে দেয় এবং প্রতি বছর বাজেটে এই সুবিধা অব্যাহত রাখে। এতে বাজারে ভোজ্যতেলের দাম অনেকটা কমে আসে এবং ভোক্তারা তুলনামূলক কম দামে ভোজ্যতেল খেতে পারছে। বর্তমানে বাল্ক আকারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানির ওপর কোন আমদানি শুল্ক নেই। শুধু ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বিদ্যমান। তবে পরিশোধিত ভোজ্যতেল কনজ্যুমার প্যাকে আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন করের সঙ্গে ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপিত আছে। কিন্তু এই শূন্য শুল্ক সুবিধা এখন যাচ্ছে ব্যক্তি পকেটে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক বাড়ায় দেশের তিনটি শিল্প গ্রুপ শূন্য শুল্কে আমদানিকৃত ভোজ্যতেল প্রক্রিয়াজাত করে সাফটার আওতায় সেদেশে রফতানি করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে এ তিনটি গ্রুপ মাসে প্রায় ১৫ থেকে ২৫ হাজার টন ভোজ্যতেল ভারতে রফতানি করছে। বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ড্রামে ও ট্যাঙ্ক লরিতে করে এসব তেল ভারতে রফতানি হচ্ছে। ইদানীং চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে জাহাজে করেও বোতলজাত সয়াবিন ও পাম অয়েল যাচ্ছে ভারতে। জানা গেছে, ভারত সরকার তাদের দেশের তেলবীজ উৎপাদনকারী কৃষকদের সুবিধার জন্য এক বছর আগে বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেলের শুল্ক বৃদ্ধি করে। এতে ভারতে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধি পায় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ভোজ্যতেলের মূল্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনকারী দেশের তিন বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ মেঘনা, সিটি ও টিকে গ্রুপ সুযোগটি গ্রহণ করে। তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন জানায়, ভোজ্যতেল পরিশোধনের তাদের অতিরিক্ত ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা অতিরিক্ত তেল উৎপাদন করে ভারতে রফতানি করতে চায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও শুল্ক সুবিধার বিষয়টি বিবেচনা না করেই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের স্বার্থে কোম্পানি তিনটিকে ভারতে তেল রফতানির অনুমতি দেয়। এ তেল রফতানিতে শুধু একটি শর্তই আছে তা হলো প্রতিমাসে কী পরিমাণ ভোজ্যতেল ভারতে রফতানি হচ্ছে তার একটি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে। এই বছরের এপ্রিল থেকে কোম্পানি তিনটি ভারতে ভোজ্যতেল রফতানি করে আসছে। গত কয়েক মাসে এ তিনটি কোম্পানি ভারতে প্রায় ৫০ হাজার টন ভোজ্যতেল রফতানি করেছে। বর্তমানে প্রতিমাসে পরিমাণ ভেদে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ১০ থেকে ২০ হাজার টন ভোজ্যতেল রফতানি হচ্ছে। কিন্তু এই রফতানির বিপরীতে সরকার কোন রাজস্ব পাচ্ছে না বরং ভোক্তাদের নামে শূন্য শুল্কে আমদানি করা অপরিশোধিত ভোজ্যতেল ভারতে রফতানি করে ওই শূন্য শুল্ক সুবিধার পুরো ফায়দা পাচ্ছে কোম্পানি ৩টি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু শূন্য শুল্কে আমদানি করা তেল কোম্পানি তিনটি রফতানি করছে, তাই এই তেল রফতানির ওপর সরকারের উচিত হবে শুল্কারোপ করা। এতে সরকার অন্তত কিছুটা রাজস্ব পাবে। অন্যথায় শূন্য শুল্কের পুরো সুবিধাই চলে যাবে কোম্পানি তিনটির পকেটে। উল্লেখ্য, ভারতে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় দুই কোটি ২৫ লাখ টন। এই চাহিদা পূরণে ২০১৭-১৮ সালে ভোজ্যতেল আমদানি হয় এক কোটি ৫০ লাখ টন। এর মধ্যে ৮০ লাখ টনই হচ্ছে পাম অয়েল। বাকিটা সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, অলিভ অয়েল, সরিষা প্রভৃতি। এছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় ৭৫ লাখ টন। বর্তমানে ভারতে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের ওপর ৩৫ থেকে ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপিত আছে। অন্যদিকে, পরিশোধিত ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক আরোপিত আছে ৪৫ থেকে ৫৪ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়া রিফাইন্ড পাম অয়েলের ওপর ৫৯.৪ শতাংশ ও সয়াবিন তেলের ওপর ৪৯.৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত আছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত আছে। তবে তা প্রতিবছরই বাজেটে অব্যাহতি দেয়া হয়। যে কারণে অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের ওপর কোন শুল্ক নেই। শুধু ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর বিদ্যমান আছে। সার্ক দেশগুলোর মধ্যে বিদ্যমান মুক্তবাণিজ্য চুক্তির আওতায় বিনা শুল্কে সিটি, মেঘনা ও টিকে গ্রুপ ভারতে ভোজ্যতেল রফতানি করছে। ভারতে ভোজ্যতেলের ওপর উচ্চপর্যায়ের শুল্ক আরোপিত থাকায় এ তিনটি গ্রুপ ভারতে তেল রফতানি করে বেশ ভাল লাভ পাচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের ব্যবসায়ীরাও এ সুযোগটি গ্রহণ করছেন। তারা বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও পূর্ব ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি করে তা অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিক্রি করছে। উল্লেখ্য, সাউথ এশিয়ান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টের (সাফটা) আওতায় ভারতে শূন্য শুল্কে ভোজ্যতেল আমদানিযোগ্য। তবে শর্ত হচ্ছে, যে দেশ থেকে এই তেল আমদানি হবে, সেদেশে এই তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করতে হবে। সাফটার আওতায় শূন্য শুল্কে বাংলাদেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানি নিয়ে ভারতেও তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভারতের পত্র-পত্রিকা ফলাও করে এই খবর প্রকাশ করছে। ভারতে তেল আমদানি নিয়ে তোলপাড়ের কারণ হচ্ছে শুধু বাংলাদেশই নয়, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটান থেকেও সেদেশে বিনাশুল্কে ভোজ্যতেল আমদানি হচ্ছে। এছাড়া, আগে শুধু সীমান্ত দিয়ে সড়কপথে এই তেল আসত, এখন সমুদ্রপথেও ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি হচ্ছে। দ্য সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া বলছে, সাফটার আওতায় প্রতিবেশী দেশ থেকে সস্তায় তেল আমদানিতে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্প ও কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত প্রতিকার চেয়ে ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সার্ক সদস্য দেশ শ্রীলঙ্কা, নেপাল, বাংলাদেশ ও ভুটান থেকে শূন্য শুল্কে ভারতে ভোজ্যতেল আমদানি হচ্ছে। যা ভারতের অভ্যন্তরীণ শস্য উৎপাদন ও কৃষকদের আয়কে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সলভেন্ট এক্সট্রাকটরস এ্যাসোসিয়েশন সার্ক দেশ থেকে সাফটার আওতায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ‘নেগেটিভ লিস্টে’ ভোজ্যতেল অন্তর্ভুক্তির করার দাবি জানিয়েছে। দ্য সলভেন্ট এক্সট্রাকটরস এ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা বলছেন, ‘আগে শুধু স্থলপথে প্রতিবেশী দেশ থেকে ভোজ্যতেল আসত। এখন সমুদ্রপথে আসছে। জুলাইর শেষ সপ্তাহে হলদিয়াভিত্তিক আমদানিকারকরা ১০ হাজার মেট্রিক টন ভোজ্যতেল এসেছে। এই তেল শুধু পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেই নয়, অন্যান্য রাজ্যেও সরবরাহ করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বিপুল তেল নিয়ে আরও জাহাজ বন্দরে আসছে। বড় অঙ্কের মুনাফা থাকায় কিছু আমদানিকারক শ্রীলঙ্কা থেকে সাফটারও আওতায় ভোজ্যতেল আমদানি করছে। আগে সীমান্তপথে শুধু বাংলাদেশ থেকে দৈনিক এক হাজার টন করে ভোজ্যতেল আমদানি হতো। এখন সমুদ্রপথে বিপুল পরিমাণ আসছে।’ বাংলাদেশে মূলত বাল্ক আকারে অপরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি হয়। প্রতিবছর এই আমদানির পরিমাণ প্রায় ২৫ লাখ টন, যা পরিশোধন করে রিফাইনারিগুলো বিভিন্ন ব্র্যান্ডে বাজারজাত করছে। এর মধ্যে পাম অয়েল আমদানি হয় ১৫ লাখ টন এবং সয়াবিন ৮ লাখ টন। অবশিষ্ট দুই লাখ টন ভোজ্যতেল সরিষা ও ক্যানোলা বীজ আমদানির মাধ্যমে দেশে উৎপাদন করা হয়। সরিষার বীজ আসে যুক্তরাজ্য থেকে এবং ক্যানোলার বীজ আসে কানাডা থেকে। এছাড়া আরও ১২ থেকে ১৩ হাজার টন পরিশোধিত ভোজ্যতেল আমদানি করা হয় কনজ্যুমার প্যাকে। এর মধ্যে ৫/৬ হাজার টন আসে সয়াবিন, সানফ্লাওয়ার, ক্যানোলা ও অলিভ অয়েল। আর পরিশোধিত পাম তেল আমদানি হয় ৬-৭ হাজার টন। যা ম্যাগি, চিপস প্রভৃতি খাদ্যপণ্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। প্রায় যে কোন ধরনের খাবার রান্নার জন্য প্রয়োজন ভোজ্যতেলের। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি চাহিদা পূরণে তাই এ বাজার প্রসারিত হচ্ছে। বিশ্লেষণ বলছে, নতুন করে বাজার টালমাটাল হওয়া তো দূরের কথা, উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিশ্বে আগামী ৩ থেকে ৫ বছর স্বাভাবিকই থাকবে রান্নার তেলের বাজার। বর্তমানে সমগ্র বিশ্বে ১৭ ভোজ্যতেল ডব্লিউএইচও এবং ফুড এ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন কর্তৃক অনুমোদিত। এর মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় সরিষা, পাম ও সয়াবিন তেলের বাজার। বিশ্ব-বাজারে বছরে প্রায় ২০ কোটি টন তেল বেচা-কেনা হয়। পাম ও সয়াবিনের পাশাপাশি জলপাই, সূর্যমুখী, ভুট্টা, ক্যানোলা তেল এখন বিশ্ববাজারে। তবে এখনও বিশ্ববাজারের প্রায় ৩০ ভাগ পাম তেলের দখলে, প্রায় ২৪ ভাগ সয়াবিন, ১৩ ভাগ সূর্যমুখী ও ১১ ভাগ সরিষা/ রেপসিড তেলের দখলে। মহাদেশ ভিত্তিতে ৪১ দশমিক ২ শতাংশ তেল ব্যবহার হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। গ্লোবাল মার্কেন্টিং স্ট্যাডির এডিবলয়েল অয়েল ইন্ডাস্ট্রি এ্যানালাইসিস এ্যান্ড ফোরকাস্ট ২০১৬-২০২৪ বলছে, আগামীতে ভারত ও চীনের জনসংখ্যা এ বাজার আরও প্রসারিত করতে সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে বিশ্ব বাজার ভোজ্যতেলের হবে ১৩০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। সংস্থাটি আরও জানায়, এশিয়া অঞ্চলে ভোজ্যতেলের বাজার বড় হলেও ব্যবহারে এগিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মাথাপিছু খরচ হয় ৬১ লিটার। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ৫০, চীনে ২৫, ভারত ও পাকিস্তানে ১৬ লিটার এবং বাংলাদেশে ১৫ লিটার।
×