ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫৯

প্রকাশিত: ০৫:০৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

 ঈদের ১৩ দিনে  সড়ক দুর্ঘটনায়  নিহত ২৫৯

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে পরিবহন দুর্ঘটনা রোধ ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমিয়ে আনতে ১০ দফা সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। গত ৪ বছর ধরে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে সাতটি বিষয় পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতার আলোকে এ সুপারিশ করেছে সংগঠনটি। ঈদ-উল-আজহায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন ’১৮ প্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরার পর যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সুপারিশগুলোও উপস্থাপন করেন। শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে ঈদ-উল-আজহায় দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, ঈদ-উল-আজহায় ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২৫৯, আহত ৯৬০। গত ঈদ-উল-আজহার তুলনায় এবার সড়কে মৃত্যুর সংখ্যা ১৩.৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেজন্য যাত্রীকল্যাণ সমিতির নিজস্ব গবেষণায় সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন করা, বিরতিহীন যানবাহন চালানো, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালক-হেলপার দিয়ে যানবাহন চালানো, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অটোরিক্সা, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল, বেপরোয়া গতিতে যানবাহন চালানো, সড়ক-মহাসড়কে ফুটপাথ না থাকা ও বেহাল সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ। একইভাবে সড়কে দুর্ঘটনা রোধে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সুপারিশগুলো হচ্ছেÑ সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে রোড সেফটি ইউনিট গঠন করে নিয়মিত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রশিক্ষিত চালক গড়ে তোলার জন্য সরকারী খরচে ‘চালক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ চালু, নিয়মিত রাস্তার রোড সেফটি অডিট করা, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ, ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে মানসম্মত পর্যাপ্ত গণপরিবহনের ব্যবস্থা করা, মহাসড়কে ধীরগতির যান ও দ্রুত গতির যানের জন্য আলাদা আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা, মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, অটোরিক্সা বন্ধে সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্ত শতভাগ বাস্তবায়ন, ভাঙ্গা রাস্তার সংস্কার, ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় ও ঝুঁকিপূর্ণ যানবাহন চলাচল বন্ধে উদ্যোগ এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ফুটপাথ, আন্ডারপাস, ওভারপাস তৈরি করে পথচারীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা। সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সেফ রোড এ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট এলায়েন্সের আহ্বায়ক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান খান ও এফবিসিআইর সাবেক পরিচালক আব্দুল হক।
×