ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ২০:৩৮, ৩১ আগস্ট ২০১৮

বরিশালে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ প্রমত্তা সুগন্ধা ও সন্ধ্যা নদীর ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আজ শুক্রবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। জাতীয় কৃষক সমিতি বরিশাল জেলা কমিটির আয়োজনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুর ওপরে এ কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে জাতীয় কৃষক সমিতির জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দদের পাশাপাশি নদী গর্ভে ভবন বিলীন হয়ে যাওয়া সৈয়দ মোশারফ-রশিদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্থানীয় সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যালয় ভবন, কৃষি জমি, বসত ঘরসহ বহু স্থাপনা সুগন্ধা ও সন্ধ্যা নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙ্গনের কারনে এখন দক্ষিণাঞ্চলের সাথে সড়কপথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু হুমকির মুখে রয়েছে। একইসাথে চরম হুমকিতে রয়েছে বরিশালে বিমান বন্দর এলাকার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বসত বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও একরের পর একর কৃষি জমি। বক্তারা স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেন। ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে কৃষক সমিতির জেলা শাখার সভাপতি কমরেড বজলুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা সম্পাদক অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, কৃষক নেতা কমরেড মোজাম্মেল হক ফিরোজ, এনায়েত করিম ফারুক মাস্টার, ওয়ার্কার্স পার্টির উপজেলা সম্পাদক টিএম শাহজাহান, ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নুরুল বাসার সোহেল, উপজেলা যুবমৈত্রী সম্পাদক হাসানুর রহমান পান্নু, প্রভাষক সেলিম মাহমুদ, প্রধানশিক্ষক সেলিম রেজা, রফিকুল ইসলাম, সাইদুর রহমান তালেব প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করেন, দক্ষিণাঞ্চলে সড়কপথে প্রবেশদ্বারে বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতুটি ২০০৩ সালে উদ্বোধণ করার পর থেকে এর রক্ষণাবেক্ষণে চরম উদাসীনতার পরিচয় দিয়ে আসছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। সেতুতে ল্যাম্পপোস্ট ও সড়ক বাতি লাগানো হলেও দীর্ঘ ১৫ বছরেও এতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি। ফলে সেতুতে চুরি-ছিনতাই ও মাদকের অবাধ বাণিজ্য চলছে প্রতিদিন। অপরদিকে সেতুর পাদদেশের গাইড ওয়াল, ব্লক পাইলিং ও স্কুল ভবন নদী ভাঙনের শিকার হলেও সওজ কিংবা পাউবো কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি। ফলে ইতোমধ্যে সুগন্ধা নদীর ভাঙনে সৈয়দ মোশারফ-রশিদা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ওই বিদ্যালয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে থাকা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু এখন রয়েছে চরম ঝুঁকির মুখে। এছাড়াও নদীর তীরবর্তী সরকারী আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজ, রাকুদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জামেনা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মহিষাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
×