ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩১ আগস্ট ২০১৮

উবাচ

তাসের ঘর স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন এলেই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল স্বপ্ন দেখে তারাই ক্ষমতায় যাচ্ছে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ছোট ছোট রাজনৈতিক দলের নেতারাও সংসদ নির্বাচন করবেন। সভা-সমাবেশ-মিছিল-স্লোগানে মানুষের কাছে ভোট চান। সংবাদ সম্মেলন ডেকে বলেন অবাধ, সুষ্ঠ আর নিরপেক্ষ ভোট হলে তার বিজয় ঠেকায় কে। এই হচ্ছে আশা। এই আশা বুকে নিয়েই রাজনীতিবিদরা বেঁচে থাকেন। বিএনপিও দেশের ক্ষমতায় ছিল। তারা এই প্রত্যাশা আরও জোরালভাবে করতেই পারে। এটি অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু এবার নির্বাচনের আগে আগের বিএনপিকে ঠিক খুঁজে পাওয়া কঠিন হচ্ছে। দলীয়প্রধান কারাগারে। যাকে দলীয় প্রধানের অবর্তমানে প্রধান ধরা হচ্ছে তিনি বিদেশে। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে দলটি যখন একের পর এক মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করতে লাগল তখন সেই আন্দোলন চলে গেল দেশের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে। ফলশ্রুতিতে মানুষের মনে বিএনপির প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে তা থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি দলটি। ফলে গণজোয়ারে গণআন্দোলন এমন কোন কিছু বিএনপির নেতৃত্বে ঘটানো সম্ভব নয় বলেই মনে করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির ক্ষমতার স্বপ্ন অচিরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে। কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাকেন্দ্রিক উচ্চাভিলাষী কোন সৌধ নেই, স্বপ্নের কোন প্রাসাদ নেই, যেটা তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে। আমাদের ভিত বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে দৃঢ়ভাবে প্রথিত, এটা তাসের ঘর নয় যে ভেঙ্গে যাবে, এটা জনগণের ভিত, এটা গণভিত। কাজ দিয়ে, কর্ম দিয়ে, আদর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু, আমাদের পূর্বপুরুষরা এই সৌধ, এই স্ট্রাকচার নির্মাণ করেছেন। আমি বিএনপিকে বলতে চাই, আপনারা আজ ক্ষমতাকেন্দ্রিক যে ময়ূর সিংহাসনের স্বপ্ন দেখছেন, অচিরেই এই স্বপ্ন তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়বে। দুষ্টামি করছে স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। এ কারণে যত রকমের দুষ্টামি আছে, তা করছে সরকার। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জনগণ আবারও রাস্তায় নামবে। এই সরকারের দুঃশাসন এবং অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনগণ আবার রাস্তায় নামবে; তখন সরকারের তাসের ঘর ভেঙ্গে যাবে। বাংলাদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। এই সরকারের পতন হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা রাখতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিদিনই কর্মসূচী দেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সময়মতো দেখতে পাবেন কেমন কর্মসূচী দেয়া হচ্ছে। ফখরুল ইসলাম বলেন, অনেকেই বলে বিএনপি সঙ্কটে রয়েছে, বিএনপি ধ্বংস হয়ে যাবে। বিএনপি ধ্বংস হবে না। গণতন্ত্রের সৎমা স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি চেয়াপার্সন খালেদা জিয়াকে গণতন্ত্রের ‘সৎমা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। বলেছেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মা নন, তিনি আসলে জঙ্গী ও রাজাকারতন্ত্রের মা আর গণতন্ত্রের সৎ মা। বিএনপি গণতন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। আসলে দ-িত ও সাজাপ্রাপ্ত খালেদার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে হইচই করছে বিএনপি। এটি এমন একটি দল যে দলের সঙ্গে গণতন্ত্র শব্দটি যায় না। তথ্যমন্ত্রী বলেন গণতন্ত্র হত্যা, নির্বাচন বানচাল করা ও খুনীদের রক্ষা করাই বিএনপির একমাত্র কাজ।
×