ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ঐক্যের নামে সহিংসতা হলে কঠিন জবাব ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০১৮

জাতীয় ঐক্যের নামে সহিংসতা হলে কঠিন জবাব ॥ কাদের

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি বলেছেন, বিএনপি যদি জাতীয় ঐক্যের নামে, আন্দোলনের নামে আবারও সহিংসতার দিকে পা বাড়ায়; তাহলে দেশের জনগণকে নিয়ে আমরা এর কঠিন জবাব দেব। এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করব। বিএনপি নেতাদের মধ্যে যারা আজ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করছে, যারা দেশে একটা অস্থিতিশীল নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে চান তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ২০০১ ও ২০১৪ সাল আর ফিরে আসবে না। সে খোয়াব দেখলে তা অচিরেই তাদের কপূরের মতো উবে যাবে। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সড়ক পরিস্থিতি দেখতে এসে ঢাকা বাইপাস সড়কের ভোগড়া মোড়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। দেশে বিরোধী দল আছে শুধু সমালোচনার জন্য। সংবিধান অনুযায়ী সরকার দেশ চালাবে। সংবিধানের বাইরে আমরা কোথায় অবস্থান নিয়েছি সেটা তাদের পরিষ্কার করে বলতে হবে। নির্বাচন হবে সেটা সংবিধানের মধ্য দিয়ে। তারা আন্দোলন করবে কেন আমি জানি না। এ মুহূর্তে আন্দোলনের কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। নির্বাচন সামনে। জনগণ নির্বাচনের মুডে আছে। ভোটের মুডে আছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ অথবা নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যদি নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে তাহলে আমাদের হাতে দুই মাসের মতো সময় আছে। এখন যারা হেরে যাওয়ার আশঙ্কায়, নির্বাচন থেকে সরে আসার নানা অজুহাত খুঁজে বেড়াচ্ছে তাদের ব্যাপার আলাদা। তারা মনে করেছে, ২০১৪ সালের মতো দেশে একটা সহিংসতার বাতাবরণ তারা তৈরি করবে। কিন্তু সে সহিংস আন্দোলনও তাদের কিছু দেইনি। বরং তারা জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জনগণের কোন সাড়া তারা গত ৯ বছরে পায়নি। ২০১৪ সাল থেকে গত চার বছরেও বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেয়নি। কারণ, মানুষ মনে করে বিএনপির আন্দোলন মানেই হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস। যে আগুন সন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে মারা, সরকারী অফিস পুড়িয়ে ফেলা, স্কুল পুড়িয়ে ফেলা, রাস্তার গাছ কেটে ফেলা, ট্রেনের ফিশপ্লেট উড়িয়ে দেয়াই হচ্ছে বিএনপির আন্দোলন। কাজেই গত চার বছরে তাদের গণতন্ত্র রক্ষার নামে বোমা সন্ত্রাসের রাজনীতি ব্যর্থ হওয়ার পর জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যে কারণে তারা এখন নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন বলেও যদি আন্দোলনের ডাক দেয় গত চার বছরে দেখলাম একটা ডাকেও জনগণ সাড়া দেয়নি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর, বয়কটের পর পাবলিক তাদের ডাকে সাড়া না দেয়ার অর্থই হচ্ছে জনগণ নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন করে এবং নির্বাচিত সরকারের উন্নয়ন-অর্জন জনগণকে খুশি করেছে। শেখ হাসিনার সৎ, পরিশ্রমী নেতৃত্ব জনগণ আস্থায় নিয়েছে। যে কারণে বিএনপির আন্দোলনে জনগণের কোন সায় নেই। তিনি বলেন, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, রাস্তায় জায়গায় জায়গায় গর্ত, বিআরটি কর্তৃপক্ষের দুই পিডির গাফিলতি আছে। সড়কের ছোট ছোট সমস্যা সমাধান করা যেত সে জন্য আমি দুজনকে শোকজ করব। পরে মন্ত্রী সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
×