ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

-রোশান

আমার আইকন সালমান শাহ

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৩০ আগস্ট ২০১৮

আমার আইকন সালমান শাহ

আনন্দকণ্ঠ : ঈদ কেমন কাটল? রোশান : খুবই ভাল কেটেছে। তবে বাড়িতে মা বাবার সঙ্গে গিয়ে ঈদ করতে পারিনি। ঢাকাতে একাই ঈদ করতে হয়েছে। এবং ছবি রিলিজের প্রস্তুতি ছিল। আনন্দকণ্ঠ : মাত্র একটি হলে ‘বেপরোয়া’ মুক্তি দেওয়া হলো কেন? রোশান : সেন্সর নিয়ে জটিলতার কারনে ছবিটি রিলিজ দিতে পারিনি। গত ১৯ তারিখ সেন্সর পাওয়ার কথা ছিল সিনেমাটির। কিন্তু সেইদিন শাকিব ভাইয়ের ‘ক্যাপ্টেন খান’সহ আরও একটি ছবির প্রদর্শনী শেষ করে সেন্সর প্রদান করা হয়। সেইদিন সেন্সর বোর্ড আর ছবি না দেখার সিদ্ধান্ত নেন। মানে গত ২০ তারিখ সেন্সর বোর্ডের সম্মানিত সদস্যরা কোন ছবি দেখবেন না সেটাই কনফার্ম ছিল।’ ‘যার কারণে আমরা সেন্সর নিয়ে সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম এবং ‘বেপরোয়া’ ছবিটা নেয়ার জন্য অপেক্ষমাণ সম্মানিত হল মালিকরা যখন ১৯ তারিখ রাতে আমাদের কাছে লাস্ট আপডেট জানতে চান এবং ‘বেপরোয়া’ ছবিটার বুকিং নিতে চান তখন জাজ মাল্টিমিডিয়ার চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ ভাই তাদেরকে জোর দিয়ে পজিটিভ কিছু শুনাতে পারেননি এবং ছবিটাও দিতে পারেননি। আনন্দকণ্ঠ : অনেকেই বলছেন-শাকিব খানের মতো বড়মাপের অভিনেতার ছবি থাকায়; ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে ছবিটি সরে দাঁড়িয়েছে? রোশান : না সে রকম কিছু না। সেন্সর জটিলতার জন্য সরে দাঁড়াতে হয়েছে। আমাদের ছবিটি মেকিং অনেক ভাল হয়েছে। মেকিংয়ের ধারে কাছে এবারের ঈদের কোন ছবি যেতে পারবে না। ‘আব্দুল আজিজ ভাই চাননি কেউ ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হোক। তাই কাউকে অনিশ্চয়তার মধ্যে না রেখে হল মালিকদের মুক্ত করে দেন কারণ যদি আমরা সেন্সর না পেতাম তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতেন। একজন ব্যবসায়ী হয়ে তিনি কাউকে অনিশ্চয়তার মধ্যে রাখতে চাননি। গত ২০ তারিখ রাতে সেন্সর পাওয়ার আগেই তারা যার যার মতো করে অন্য ছবির বুকিং নিয়ে নেন। তাই আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করি। তবে ১টি হলে নামমাত্র দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র কমিটমেন্ট রক্ষার জন্য। কারণ আমরা মুক্তি দিব বলে কথা দিয়েছিলাম।’ আমাদের হাতে বলাকা, ব্লাক বাস্টারসহ বেশ কিছু হল ছিল। তবে আমরা চিন্তা করে দেখলাম এভাবে রিলিজ দেব না। এ ছবিটি ৪ কোটি প্লাস বাজেটের ছবি। মুক্তি দিলে বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি হলেই ছবিটি মুক্তি দিতে হবে। ছবিটিকে ব্যবসায়িকভাবে ছোট করতে পারব না। অন্য কোন কারণ ইস্যু ছিল না। আমরা হল ছেড়ে দিয়েছি। যার কারণে ‘মনে রেখো’ হল পেয়েছে। আমি রেডি ছিলাম শাকিব ভাইয়ের সঙ্গে ছবি রিলিজ দেওয়ার জন্য। শাকিব ভাইও চেয়েছিল ছবিটি রিলিজ হোক। আনন্দকণ্ঠ : পরবর্তী রিলিজ প্লান? রোশান : ‘আরও প্রচারণার এবং প্রস্তুতি নিয়ে আমরা অল্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ছবিটা রিলিজ দিচ্ছি। আশা করব আপনাদের সাপোর্ট আমার জন্য সব সময় থাকবে। ইনশাআল্লাহ বেপরোয়া বিন্দুমাত্র হতাশ আপনাদের করবে না। আনন্দকণ্ঠ : ‘বেপরোয়া’ নিয়ে প্রত্যাশা? রোশান : প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। বাংলাদেশে বেপরোয়ার মতো এ রকম ছবি আগে কখনও হয়নি। মিউজিক মেকিং, এডিটিং, এ্যাকশন সব কিছু মিলিয়ে চমৎকার হয়েছে। ববির সঙ্গে আমার সিন কম থাকলেও আমাদের রসায়ন দারুণ ছিল। ট্রেলারে আমাদের সবাই খুব প্রশংসা করেছেন। বেপরোয়া দেশীয় ছবি হিসেবে অনেক বড় বাজেটের (৪ কোটি প্লাস) ছবি। ব্যক্তিগতভাবে যদি বলি অনেক প্রত্যাশা আমার এই ছবিটিকে ঘিরে। কারণ এর আগে আমি কোন ছবিতে আমার মতো করে আপনাদের সামনে নিজেকে তুলে ধরতে পারিনি। আমি এবং আমরা চাই ছবিটি অনেক হলে মুক্তি দিতে। আনন্দকণ্ঠ : জাজের ছবি ছাড়া অন্য কোন হাউসের সঙ্গে কাজ করবেন? রোশান : অবশ্যই করব। আমি যেহেতু একজন অভিনেতা তাই সবার সঙ্গে কাজ করব। আমি জাজ মাল্টিমিডিয়ার তৈরি নায়ক। এর মাধ্যমেই মিডিয়ায় আসার সুযোগ পাই। তাদের সঙ্গে একটি চুক্তিও রয়েছে। তবে এর বাইরে অবশ্যই দেখা যাবে। জাজ অনুমতি দিয়েছে গত দুই বছর আগেই। ভাল ছবি পেলে অবশ্যই জাজের বাইরে কাজ করব। চুক্তি আছে তবে জাজ আমাকে স্বাধীনতা দিয়েছে কাজ করার। সেটা দেশে বিদেশে যেখানেই হোক না কেন কাজ করতে পারব। এটা নিয়ে জাজের কোন বাধা নেই। আনন্দকণ্ঠ : বাংলা চলচ্চিত্রের আইকন হিসেবে কাকে মানেন? রোশান : বাংলা চলচ্চিত্রের আইকন হিসেবে সালমান শাহকে মানি। ‘আমি সবসময় সবাইকে বলি আমার আইকন সালমান শাহ। তবে একজনের কথা না বললেই নয়, যার কাছ থেকে প্রতিনিয়ত আমি অনেক কিছু শিখি এবং যার গান, যার অভিনয় প্রতিনিয়ত আমি দেখি দ্য বিগ সুপারস্টার শাকিব খান। ‘শাকিব ভাই আমার প্রিয় অভিনেতা। সোমবার রাতে তার অভিনীত ক্যাপ্টেন খান ছবিটি বন্ধুদের নিয়ে হলে গিয়ে দেখেছি।
×