ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলোচনায় দীপু হাজরার দুই নাটক

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ৩০ আগস্ট ২০১৮

আলোচনায় দীপু হাজরার দুই নাটক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে অন্যতম জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা দীপু হাজরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু নাটক নির্মাণ করে তিনি এসেছেন আলোচনায়, রয়েছেন শীর্ষে। গত পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরে তিনি নির্মাণ করেন ‘মেন্টাল ফেমিলি’ নামের একটি নাটক। যেটি ইউটিউবে স্বল্প সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দর্শক দেখেছেন। নাটকটি আলোচনায় এসেছে। এর পর ঈদ-উল-আজহায় নির্মাণ করেন ‘ভাগের মা’ নামের একটি নাটক। যেটিও কিনা ‘মেন্টাল ফেমিলি’র মতো দর্শক সাড়া ফেলেছে। ‘মেন্টাল ফেমিলি’ নাটকটির মূল গল্পের প্রেক্ষাপট ছিল আমাদের পরিবারের কন্যা সন্তানদের বিয়ের পর তাদের পিতা-মাতার মৃত্যু ঘটলে বাবার বাড়ির কদও অনেক অংশেই কমে যায়। খুব সহজ ও সরল সমীকরণে বৃন্দাবন দাসের সুনিপুণ লেখনিতে নাটকটি ভিন্ন মাত্রা পায়। নাটকের গল্প আবহমান বাংলার প্রায় প্রতিটি ঘরের প্রতিচ্ছবি। অপরদিকে ‘ভাগের মা’ নাটকের গল্পে দেখা যায়, দুই ছেলের সংসারে প্রায় প্রতিদিনই ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকে। অগত্যা বাধ্য হয়ে গ্রামের লোকজন দুই ভাইয়ের মধ্যে সকল জমিজমা ভাগ করে দেন। একই সালিশী সভায় সিদ্ধান্ত দেয়া হয়, তাদের মাকে ‘ভাগের মা’ হিসেবে দুই ছেলের মধ্যে ছ’মাস-ছ’মাস করে বসবাস করবার জন্য। কিন্তু এতে বাধসাধেন মা। তিনি এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। মনের কষ্টে বলে ওঠেন, যখন ১০ মাস পেটে ধরেছিলাম রক্ত-মাংস খাইয়ে বড় করেছিলাম তোদের, থকন ভাবি নাই যে এই বয়সে এসে আমার ভাগের মা হয়ে বাঁচতে হবে। নাটকগুলোর সংলাপ মানুষের মনে থাকবে দীর্ঘদিন- এমনটাই জানান নির্মাতা দীপু হাজরা। এ প্রসঙ্গে দীপু হাজরা বলেন, ভাল নাটকের জন্য প্রথমেই দরকার একটি ভাল গল্প। আর তা বরাবরই লেখেন শ্রদ্ধেয় বৃন্দাবন দাদা। তবে হ্যাঁ, আমি বেশি নাটক নির্মাণ করি না বা করতে চাইও না। তবে যে যার জায়গা থেকে যদি সমাজের দায়বদ্ধতা নিয়ে যে কোন কাজ করি তাহলে আমাদের এই দেশ, এই সমাজ বদলাতে বেশি দিন আর লাগবে না। বলতে পারেন এটিই আমার কাজের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা।
×