ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

২০ সেপ্টেম্বর ইসি ও ১১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী বাম গণতান্ত্রিক জোটের

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ৩০ আগস্ট ২০১৮

২০ সেপ্টেম্বর ইসি ও ১১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী বাম গণতান্ত্রিক জোটের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ১১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচী ঘোষণা করেছে আট রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাম গণতান্ত্রিক জোট’। বুধবার পুরানা পল্টনের সিপিবি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসের কর্মসূচী তুলে ধরেন বামজোটের শীর্ষ নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও বিদ্যমান নির্বাচন ব্যবস্থা আমূল সংস্কারের দাবিতে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করা হবে। এছাড়া জেলা পর্যায়ে জেলা নির্বাচন অফিস অভিমুখে বিক্ষোভ, সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসন প্রতিরোধে এবং ব্যাংক ডাকাতির লুটপাটের প্রতিবাদে ১১ অক্টোবর সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে জোটের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবি আদায়ে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসজুড়ে দেশব্যাপী জনসভা করার কথাও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক জানান, চার দফা দাবির প্রেক্ষিতে জোটটি দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে। ৩০ আগস্ট ৪টায় মুক্তিভবনের মৈত্রী হলে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হবে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টায় মুক্তিভবনের প্রগতি সম্মেলন কক্ষে বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকাসহ দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে দাবি দিবস পালন করবে বামজোট। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দেয়ার দাবি করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তদারকি সরকার গঠন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, টাকার খেলা ও পেশিশক্তি নির্ভর বিদ্যমান গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি করে জোটটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জোটের সমন্বয়কারী সাইফুল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশে যত নির্বাচন হয়েছে তার প্রতিটি সুষ্ঠু হয়নি। বিতর্কিত ইভিএম ব্যবস্থাসহ আরপিওতে আরও অগণতান্ত্রিক সংশোধনী আনার পাঁয়তারা চলছে। আমরা স্পষ্ট করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই, আরপিওর অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাতিল করা যেখানে দেশবাসীর দাবি, সেখানে উল্টো আরপিওতে নতুন অগণতান্ত্রিক ধারার সংযুক্তি কোনভাবেই আমরা বরদাশত করব না। দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সুযোগ নেই।’ এক প্রশ্নের জবাবে সাইফুল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর দেশের মানুষ কোনভাবেই বিশ্বাস করতে চায় না যে, শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে। যেখানে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ইভিএম প্রত্যাখ্যান করেছে সেখানে ইসি সচিব ১০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছেন। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। সরকারী দলকে বাড়তি সুবিধা দিতেই এটা করেছে ইসি।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়ে এক তরফা নির্বাচন করা অতীতের সরকারের মতো এই সরকারও ১৬ আনা দায়ী। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ছাড়া এদেশে আর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কাজেই তোফায়েল আহমেদ কি বলেছেন তা জানি না। তবে তোফায়েল আহমেদকে বলতে চাই, আপনারা তামাশার নির্বাচন বন্ধ করবেন। সেলিম বলেন, ‘৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, এ নির্বাচন ভাল হয়নি। এটা নিয়ম রক্ষার নির্বাচন। পরবর্তীতে সব দলের অংশগ্রহণে একটি ভাল নির্বাচন করা হবে। কিন্তু গত ৫ বছরেও সেই নির্বাচন হয়নি। তাই এখনও বলছি, আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার স্বার্থে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
×