ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে শোকসভায় নাসিম

আগামী নির্বাচনে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষকেই বিজয়ী করবে

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ৩০ আগস্ট ২০১৮

আগামী নির্বাচনে জনগণ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষকেই বিজয়ী করবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির সামনে নির্বাচনে আসা ছাড়া কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, ’৭১ ও ’৭৫ এবং জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যাকারীদের (বিএনপি-জামায়াত) সঙ্গে কোন ধরনের সংলাপ হতে পারে না। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে বিদায় দিবে দেশের জনগণ। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় দেশ ও জনগণের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ শেখ হাসিনা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকেই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসাবে। বুধবার রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, নিউরো সায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে শাখার সভাপতি ডাঃ এম এফ জহিরুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখে এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, এমপি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ কাজী দীন মোহাম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক পরিচালক ডাঃ জুলফিকার আলী লেলিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান ও মহাসচিব ডাঃ এম এ আজিজ, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রমুখ। উন্নয়ন কর্মকা- বিবেচনা করে দেশের জনগণ আবার আওয়ামী লীগকেই ভোট দিবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সব সেক্টরেই উন্নয়ন ঘটিয়েছে সরকার। জঙ্গী ও অপরাধ দমনে সফলতা দেখিয়ে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা নেই। বিরোধীরাও অনুধাবন করতে পেরেছে যে, জ্বালাও-পোড়াও, হত্যাকা- ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়ের বিকল্প নেই। আর আওয়ামী লীগকেই ভোট দিবে জনগণ। ২০৩০ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত হবে বাংলাদেশÑ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ॥ বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মামুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের রয়েছে মজবুত অবকাঠামো। কয়েক বছর আগেও দেশে প্রতি লাখে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ছিল ৪০০ জন। আর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী তা নেমে এসেছে ২৬০ জনে। পোলিও, ধনুষ্টংকার মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, খুব শীঘ্রই যক্ষ্মাও মুক্ত হবে। বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে যক্ষ্মা রোগের ওপর পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক , এমপি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ এম ইকবাল আর্সলান, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডাঃ সামিউল ইসলাম সাদি, আইইডিসিআর’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদুর রহমান প্রমুখ। যক্ষ্মা নির্মূলের দৃঢ়তা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে সফলতা পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে জনগণের মধ্যে আরও সচেনতা বাড়াতে হবে। যক্ষ্মা আক্রান্তের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীদেরও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। যক্ষ্মা শনাক্তের জন্য সারাদেশে জিন এক্সপার্ট মেশিন সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে। হাসপাতালসহ সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, নিজ নিজ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান রোগীবান্ধব করে গড়ে তুলতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সচেতন হলেই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব। প্রতিষ্ঠানের পরিচ্ছন্নতা অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর সুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখে। চিকিৎসকদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিন হাজারের বেশি চিকিৎসক কাজ না করেও বেতন গ্রহণ করে থাকেন। এমন রিপোর্ট পাওয়ার পর তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ধরা পড়ার ভয়ে এখন তারা আর বেতন গ্রহণ করতেও যান না। এমন মানসিকতা থেকে উত্তরণ হতে হবে।
×