ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়াতে আপত্তি নেই ॥ মুহিত

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৩০ আগস্ট ২০১৮

সরকারী চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়াতে আপত্তি নেই ॥ মুহিত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ালে তাতে নিজের আপত্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যে কোন বয়সে সরকারী চাকরি দেয়া উচিত বলেও মনে করেন তিনি। তিনি জানান, অবসরের বয়স বাড়ানোর পরিকল্পনা আমার ছিল, আমি প্রস্তাবও দিয়েছিলাম, কিন্তু তা হয়নি। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী অক্টোবরে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হতে পারে। ওই সরকারে নিজের থাকার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেন অর্থমন্ত্রী। বুধবার সচিবালয়ে সরকারী ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। আর তার তিন মাস আগে নির্বাচনকালীন সরকার হতেই হয়। প্রসঙ্গত, বর্তমানে সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর। আর অবসরের বয়স ৫৯ বছর নির্ধারিত আছে। আগে সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৭ বছর থাকলেও ১৯৯১ সালের মাঝামাঝিতে তা বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়। আর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সরকারী চাকরিতে অবসরের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়স এক বছর বাড়িয়ে ৬০ বছর করে সরকার। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে আলোচনা শুরু করেছে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে চাকরিতে ঢোকার সময়সীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে গত মার্চে শিক্ষার্থীরা সমাবেশ করে ঢাকায়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ বছর করার প্রস্তাব তৈরি করছেন তারা। বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বয়স বাড়ানোর ঘোষণা আসবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার মতে চাকরি হওয়া উচিত চুক্তি বেসিসে। যে কেউ যেকোন বয়সে চাকরি পাবেন। ‘এভরিওয়ান সুড বি গিভেন এ জব ফর টেন ইয়ার্স, ফিনটিন ইয়ার্স এনি বয়সে’। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী জানান, নিউইয়র্কে মামলা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। নির্বাচনকালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা কত হবে জানতে চাইলে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এ বিষয়ে আমার ধারণা নেই। তবে আমি ইন্টেরিউম সরকার পর্যন্ত আছি।
×