ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্ভোগের ঈদযাত্রাও আনন্দময়;###;অলিউর রহমান ফিরোজ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ মহাসড়কের কড়চা

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৩০ আগস্ট ২০১৮

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ মহাসড়কের কড়চা

জীবন চলার পথে আনন্দের ঈদ আসে। কর্মজীবী মানুষেরা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে শেকড়ের টানে ছোটে গ্রামের পথে। কিন্তু পথের মাঝে লুকানো থাকে অজ¯্র কাঁটাময় ফাঁদ। সড়কে একটু ভুল হলেই তা জীবন নিয়ে টান দেয়। ক্ষণিকের আনন্দ তখন বিষাদে রূপ নেয়। তারপরও কি থেমে থাকে ঈদ যাত্রা? শহরের ইট পাথরের জীবন থেকে একটু পরিত্রাণ পেতে মানুষের সেকি গ্রামে ফেরার অভিলাষ! নিরন্তন দুর্ভোগ আর কষ্ট যেন বাড়িতে পৌঁছতে পারলেই সব উবে যায়। প্রতি ঈদেই যাওয়া ও আসার পথটা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। তার কারণ, আমাদের পরিবহন ব্যবস্থাটা আধুনিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে এখনও গড়ে উঠতে পারেনি। যে পথে গাড়ি লাগবে ১০টা সেখানে সিন্ডিকেট করে গাড়ি রাখা হয়েছে ২ থেকে ৩টা। যে পথে লঞ্চ লাগবে ৪ টা সেখানে দেয়া হচ্ছে ২টা। সেখানেও রয়েছে ক্ষমতার দাপট। নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মালিকের লঞ্চ ছাড়া অন্য কোন নৌযান চলাচল করতে পারে না। আর চলাচল করলেও বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দেয়া হয়। ঈদযাত্রায় নৌপথও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ প্রসঙ্গেও কিছু বলা চাই। নৌযানে প্রতিযোগিতা থাকলে সার্ভিস ভাল পাওয়া যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে নির্ধারিত ভাড়া চেয়েও কম ভাড়ায় যাওয়া যায়। কিন্তু একই মালিকের লঞ্চ যদি যুগের পর যুগ ধরে একই লাইনে চলতে থাকে, তাহলে তাদের মানসিকতায় ভাল কোন সার্ভিস পাওয়া তখন দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। নানা ভোগান্তি থাকলেও ঈদের আনন্দ তো আর হাত ছাড়া করা যায় না। কর্মজীবী মানুষেরা প্রতি বছরই ঈদে সবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে। ঈদে সড়ক যাত্রার কথা চিন্তাও করতে পারি না। তার কারণ, ভয়াবহ যানজট এবং ফেরি বিড়ম্বনা সবচেয়ে জটিল করে তোলে। পদ্মায় পলি পড়ে ফেরিপথ রুদ্ধ হয়ে পড়ায় বড় বড় ফেরি চলতে পারে না। তার কারণ, কোটি কোটি টাকার খেলা চলে পদ্মা নদীতে ড্রেজিং করতে। ভানুমতির খেলার মতো। এভাবেই লুটেরাদের কারণে ফেরি পারাপারে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। তারপরও সড়কে মৃত্যু আশঙ্কাকে উপেক্ষা করে মানুষ ঈদের যাত্রায় ছুটে চলে। আবার ফিরেও আসে নিজ নিজ কর্মস্থলে। রিকাবীবাজার, মুন্সীগঞ্জ থেকে
×