ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্যান প্যাসিফিক সাঁতারে দুরন্ত ক্যাম্পবেল

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৯ আগস্ট ২০১৮

প্যান প্যাসিফিক সাঁতারে দুরন্ত ক্যাম্পবেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কেট ক্যাম্পবেল ২০১৬ সালের রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। অস্ট্রেলিয়ার এ মহিলা সাঁতারুর ক্যারিয়ার নিয়ে তাই সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু টোকিওতে প্যান প্যাসিফিক সাঁতারে আবারও নিজেকে ফিরে পেয়েছেন কেট। ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে দ্বিতীয় দ্রুততম গতিতে তিনি স্বর্ণপদক জিতেছেন। পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে কাইল চামার্স চ্যাম্পিয়ন হয়ে দিনটিতে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ডাবল বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। আর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের কালেব ড্রেসেলকে হারিয়ে পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ জিতেছেন অস্ট্রেলিয়ার কাইল চামার্স। গত প্যান প্যাসিফিক সাঁতারে স্বর্ণ জিতেছিলেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু এবার তার চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিয়ে ছিল সংশয়। কারণ গত অলিম্পিকে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা টাইমিং গড়েন ক্যাম্পবেল। দুঃস্বপ্নটা ভুলেছেন তিনি মহিলাদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে সর্বকালের দ্বিতীয় সেরা টাইমিং গড়েছেন ৫২.০৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে। মার্কিন সাঁতারু সিমোনি ম্যানুয়েল ৫২.৬৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য এবং কানাডার কিশোরী তারকা টেইলর রাক ৫২.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে শেষ করে জিতেছেন ব্রোঞ্জ। আগেরদিনই ২০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন রাক। এদিন আর পারেননি ক্যাম্পবেলের গতির তোপে। আর ম্যানুয়েল গত অলিম্পিকে স্বর্ণ এবং বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেও এবার হেরে গেছেন। সারাহ সিয়স্ট্রম এই ইভেন্টের বিশ্বরেকর্ড দখলে রেখেছেন ৫১.৭১ সেকেন্ড টাইমিংয়ে। গত বছর বিশ্ব আসরে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। শুরুতে মনে হয়েছিল সেই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলবেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তবে জয়ের পর ক্যাম্পবেল বলেন, ‘আমি নিজেকে নিয়ে গর্বিত। এটা প্রমাণ করে যে আমি নিজেকে মেলে ধরতে পারি এবং যখনই প্রয়োজন নৈপুণ্য দেখাতে পারি যদিও অনেক চাপের মধ্যে থাকি।’ রিও অলিম্পিকের ফাইনালে ষষ্ঠ হয়ে শেষ করার পর এক বছরের জন্য সবধরনের প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। এটাই হয়তো তারজন্য কার্যকর ভূমিকা রেখেছে পুনরায় জ্বলে ওঠার ক্ষেত্রে। ক্যাম্পবেল বলেন, ‘এ ধরনের মুহূর্তগুলো ক্রীড়ার জন্য ভালবাসাকে আরও প্রজ্বলিত করে। যে ফলাফলই হোক আমি সেটা নিয়ে এখন শান্তি ফিরে পেয়েছি। আমি আগেই মনস্থির করেছিলাম জয় কিংবা পরাজয় যেটাই হোক সেটাকে মেনে নিয়ে ভালভাবে বাঁচব।’ তার স্বদেশী চামার্স পুরুষদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে স্বর্ণ জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ডাবল সোনা পাইয়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সুপারস্টার কালেব ড্রেসেলকে হারিয়ে দেন তিন। মাত্র ৪৮.০০ সেকেন্ড টাইমিংয়ে চামার্স স্বর্ণপদক জয় করেন। আর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ড্রেসেল তার রৌপ্যপদক ভাগাভাগি করেন অস্ট্রেলিয়ার জ্যাক কার্টরাইটের সঙ্গে ৪৮.২২ সেকেন্ড টাইমিংয়ে। চামার্স জয়ের পর বলেন, ‘এ জয়টাকে বিশেষ কিছু মনে হচ্ছে এই কারণে যে যখন দেখা যায় প্রতিপক্ষ আমাকে প্রায় ধরতে ধরতে আর পারেনি এবং সে কারণে আমার রেসটা গতিপ্রাপ্ত হয়েছে এবং জিতে গেছি। দুই বছরের মধ্যে টোকিও অলিম্পিকের আগে এ জয় দারুণ ব্যাপার।’ আর এ পরাজয় ড্রেসেলের জন্য বেশ হতাশার। কারণ গত বিশ্ব আসরে তিনি ৭ স্বর্ণপদক জেতার রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলেন। ২০০৭ বিশ্ব সাঁতারে মার্কিন কিংবদন্তি মাইকেল ফেলপস ৭ স্বর্ণ জিতে রেকর্ড গড়েছিলেন। মহিলাদের ১০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে কানাডার কাইলি ম্যাসি ৫৮.৬১ সেকেন্ড টাইমিংয়ে স্বর্ণপদক জিতেছেন। গত বিশ্ব আসরে এবং কমনওয়েলথ গেমসেও স্বর্ণ জিতেছিলেন ম্যাসি। অস্ট্রেলিয়ার এমিলি সিবর্ন ৫৮.৭২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রৌপ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বরেকর্ডধারী ক্যাথলিন বেকার ৫৮.৮৩ সেকেন্ড টাইমিংয়ে ব্রোঞ্জ জয় করেন। আর পুরুষদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে দেশের সবাইকে গর্বিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন জাপানের দাইয়া সেতো। তিনি ১ মিনিট ৫৪.৩৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক জয় করেন। পুরুষদের ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে মার্কিন তারকা রায়ান মারফি ৫১.৯৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন।
×