ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরির আশায় ঢাকায় এসে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী

প্রকাশিত: ০৬:১৪, ২৮ আগস্ট ২০১৮

চাকরির আশায় ঢাকায় এসে গণধর্ষণের শিকার এক তরুণী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে চাকরির আশায় সৎ বোনের বাসায় এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক তরুণী (২৫)। সোমবার সকালে কে বা কারা ওই তরুণীকে রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। পরে ওই তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শরীরে ছিল গেঞ্জি ও চাদর। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) বাবুল মিয়া জানান, তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণীর চিকিৎসার জন্য ওসিসিতে নেয়া হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালের ওসিসির সমন্বয়ক ডাক্তার বিলকিস বেগম জানান, ওই তরুণীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সে নিজেই তার নাম ঠিকানা জানিয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দুপুরে গাইনি ওয়ার্ডে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। ধর্ষিতা ওই তরুণী জানায়, কিছুদিন আগে ওই তরুণীর স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে এক ছেলে সন্তানের জননী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায়। ওই তরুণী আরও জানায়, রবিবার লঞ্চে করে সে সদরঘাট আসে। পরে গুলিস্তানে তার সৎ বোনের বাসায় ওঠে। সেখানে তার সৎ বোনের সহযোগিতায় চার-পাঁচ জন সারা রাত তাকে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষকদের একজন তাকে সঙ্গে করে নিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় হাসপাতালে ফেলে যায়। ওই মেয়েটি চাকরির জন্য সৎ বোনের বাসায় আসে। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই বাবুল মিয়া জানান, ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলে মনে হয়নি সে মানসিক রোগী। এএসআই বাবুল মিয়া জানান, ওই তরুণীর সংবাদ শুনে শাহবাগ ও চকবাজার থানা পুলিশের টিম ঢামেক হাসপাতালে এসে ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলছে। ধর্ষণের ঘটনাস্থল কোথায় সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। এদিকে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ওই মেয়েকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে ফেলে রেখে গেছে। তবে কে ফেলে রেখে গেছে ভুক্তভোগী ওই নারী সেটি বলতে পারছে না।
×