ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল চুয়াডাঙ্গা;###;সম্ভাব্য প্রার্থীদের ছবি ৩-এর পাতায়

আওয়ামী লীগ চায় সব আসনই ধরে রাখতে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে ॥ কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২৮ আগস্ট ২০১৮

আওয়ামী লীগ চায় সব আসনই ধরে রাখতে, বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে ॥ কিশোরগঞ্জ

মাজহার মান্না, কিশোরগঞ্জ ॥ নির্বাচনী রাজনীতি জমজমাট হয়ে উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনেই। সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই যেন ছড়িয়ে পড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। বড় বড় দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ছয়টি আসনেই নিজের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঘন ঘন যাতায়াত সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি ও সাংগঠনিকভাবে খুবই শক্তিশালী অবস্থানে থাকা জেলার ছয়টি আসনেই নির্বাচনী প্রচারেও এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। অন্যদিকে বসে নেই বিএনপি। হাতছাড়া হওয়া আসনগুলোতে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় সাবেক ক্ষমতাসীন এই দলটি। গত দশম জাতীয় নির্বাচনে জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে একটিতে কেবল মহাজোটের কারণে জাতীয় পার্টি আর অন্য সব ক’টিতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ‘নৌকা’ নিয়ে নির্বাচিত হন। কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি হলেও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের অভ্যন্তরে ক্যান্সারের মতো গেঁড়ে বসা কোন্দল-দ্বন্দ্ব ও আত্মঘাতী কার্যকলাপ সবচেয়ে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অভিমত আওয়ামী লীগ সমর্থক ও স্বাধীনতা পক্ষের সব সচেতন মানুষের। সময় থাকতে দলের অভ্যন্তরে থাকা এসব আত্মঘাতী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করা না যায়, তাহলে মাঠভর্তি আওয়ামী ফসল আগামী নির্বাচনে অন্যের গোলায় ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞরা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়। বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকার কিশোরগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। দলীয় হাইকমান্ড এবার প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করে মনোনয়ন দিলে আওয়ামী লীগ এ জেলার সব ক’টি আসনেই নিশ্চিত জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি চাচ্ছে তাদের হারানো আসনগুলো পুনরুদ্ধার করতে। বিএনপিতে প্রার্থিতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দল-দ্বন্দ্ব মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা দলীয় প্রার্থী হতে কেন্দ্রে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পুরাতন প্রার্থীর পাশাপাশি নতুন সম্ভাব্য প্রার্থীরাও জোরেশোরেই মাঠে নেমেছেন। তারা নিজ নিজ এলাকায় প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিও ভোটারদের মাঝে নানানভাবে জানান দিচ্ছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্পেশাল পিপি এমএ আফজল বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনানুযায়ী এ সরকারের বিগত দিনের দৃশ্যমান উন্নয়ন-অগ্রগতি জনগণের সামনে তুলে ধরাসহ তৃণমূলের আশা-আকাক্সক্ষার যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলে জেলার ছয়টি আসনের সব ক’টিতেই আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে। অন্যদিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল। সামনে নির্বাচন থাকায় দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য সবাই চেষ্টা চালাবেÑ এটাই স্বাভাবিক। তবে সবাই তো ধানের শীষের জন্যই শক্তি বৃদ্ধি করছে। আপাতদৃষ্টিতে বাইরে থেকে কোন্দল দেখা যায় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আমাদের জন্য এটা আশীর্বাদ। তাছাড়া দলের সাংগঠনিক ভিত্তি আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) ॥ সদর উপজেলায় পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়ন এবং হোসেনপুরে পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের নির্বাচনী এলাকা। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কিশোরগঞ্জ-১ (পাকুন্দিয়া-হোসেনপুর) আসনটি বিলুপ্ত করে জেলার ৭টি আসনের পরিবর্তে ৬টি সংসদীয় আসনে পুনর্বিন্যাস করা হয়। এতে সদর উপজেলার সঙ্গে হোসেনপুরকে যুক্ত করে দিয়ে গঠিত হয় কিশোরগঞ্জ-১ আসন। ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল কিশোরগঞ্জ-৩ আসন। জেলার ঐতিহ্যবাহী এ আসনে ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁরই ধারাবাহিকতায় এ আসনের টানা চার বারের সংসদ সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাবার উত্তরসূরী হয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। পরে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি টানা দুইবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ পদ অলঙ্কৃত করেন। এর আগে ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে দলের ক্রান্তিলগ্নে দলের হয়ে অসাধারণ ভূমিকা পালন করায় তিনি আবির্ভূত হন ‘সফলতার প্রতীক’ হিসেবে। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী। এ আসনে প্রধান দুই রাজনৈতিক শিবিরের একদিকে ভিভিআইপি প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, অন্যদিকে বহুধা বিভক্ত বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। মূলত বিএনপির প্রার্থিতা নিয়েই স্থানীয়দের মাঝে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ আর জল্পনা-কল্পনা। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, কোন্দল ও গ্রুপিংয়ের কারণে এ আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারও দ্বন্দ্ব নিরসনের অসম্ভব সমীকরণকে সামনে রেখেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনমুখী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে জোর আলোচনায় রয়েছেন সাবেক এমপি মাসুদ হিলালী, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ভিপি খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হাজী ইসরাইল মিয়া ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শরীফুর ইসলাম শরীফ। অন্যদিকে কমিউনিস্ট পার্টি থেকে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এনামুল হক, বাসদের জেলা সমন্বয়ক এ্যাডভোকেট শফীকুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জেলার সভাপতি এ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন এবং জাতীয় পার্টি থেকে জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডাঃ মোস্তফা খান পাঠান, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আশরাফুল ইসলাম রেনু, সদরের আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাবুল এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) ॥ পাকুন্দিয়া উপজেলায় পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়ন এবং কটিয়াদীতে পৌরসভাসহ ৯টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনের নির্বাচনী এলাকা। ১৯৭৩ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ৮টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল কিশোরগঞ্জ-১ আসন এবং কটিয়াদী উপজেলা নিয়ে গঠিত ছিল কিশোরগঞ্জ-২ আসন। কিন্তু ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে জেলার নির্বাচনী এলাকাকে পুনর্বিন্যাস করে ৭টির পরিবর্তে ৬টি সংসদীয় আসন করা হলে পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-১ আসনটি বিলুপ্ত হয়ে যায়। ফলে হোসেনপুর উপজেলাকে সদর উপজেলার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কিশোরগঞ্জ-১ এবং পাকুন্দিয়া উপজেলাকে কটিয়াদী উপজেলার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে কিশোরগঞ্জ-২ আসন হিসেবে পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট মোঃ সোহরাব উদ্দিন ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। টানা দুইবার এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্যানেল স্পীকার হন। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পর এই আসনের দুই উপজেলার রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্টসহ নানা ক্ষেত্রে দৃশ্যমান উন্নয়ন-অগ্রগতি করেন। এ সময় নির্বাচনী এলাকায় তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- উদ্বোধন ও পরিদর্শন ছাড়াও গণসংযোগ, কুশল বিনিময় ও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে নিজ উপজেলা পাকুন্দিয়ায় তাঁকে নিয়ে রয়েছে দলের ভেতরে-বাইরে বিস্তর অভিযোগ। এ আসনে এরই মধ্যে কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী সরব তৎপরতা শুরু করেছেন। এই তালিকায় সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ যেমন আছেন, তেমনি আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, স্পেশাল পিপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ আফজল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ্যাডভোকেট এম এ আফজলকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনোনয়ন দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রয়াত ডাঃ মোঃ আবদুল মান্নান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও মনোনয়ন বঞ্চিত হন ১৯৮৬ সালের ৭ মে ও ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তৎকালীন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এই রাজনীতিক। দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা এই রাজনীতিক নির্বাচনকে সামনে রেখে এলাকায় সামাজিক কর্মকা-ে সরব রয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেন পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ এম এ মান্নান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদল, স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক মহাপরিচালক ডাঃ দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মঈনুজ্জামান অপু, কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লায়ন আলী আকবর এবং কটিয়াদি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক তারিকুল মোস্তাক রানা। ফলে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ঘিরে যুদ্ধংদেহী অবস্থা চলছে আওয়ামী লীগে। তাদের ঘিরে দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এর প্রভাব পড়ছে তৃণমূলেও। অপরদিকে বিএনপি থেকে সাবেক এমপি মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান রঞ্জন ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশফাক আহমেদ জুন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। এছাড়াও বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ২০০১ ও ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজিত প্রার্থী হাজী ইদ্রিস আলী ভূঞা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন আকিল, পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র এ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুজ্জামান কাকন নানাভাবে তাদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন। অন্য দলের মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম শওকত, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্র্টি থেকে জেলা সিপিবির সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় আরও অনেক নেতা মনোনয়ন চাইবেন এবং তারাও মাঠে রয়েছেন। কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) ॥ করিমগঞ্জ উপজেলায় পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়ন এবং তাড়াইল উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে আসন এটি। স্বাধীনতা পরবর্তী এ আসনে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনসহ মাত্র দুইবার বিএনপি জয় লাভ করে। এছাড়া একবার স্বতন্ত্র, তিনবার আওয়ামী লীগ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক চারবার জাতীয় পার্টি এই আসনে জয়ী হয়। এই চারবারই জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন মুজিবুল হক চুন্নু। এর মধ্যে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে লড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট প্রার্থী হিসেবে এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েও শেষ মুহূর্তে প্রত্যাহার করে নেয় আওয়ামী লীগ। কিন্তু এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগ সভা-সমাবেশ করে নিজেদের দলীয় প্রার্থী দেয়ার জোরালো দাবি তুলেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্ত ভিত ও সমর্থন বৃদ্ধির কারণে তারা এবার জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে বর্তমান সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জাতীয় পার্টির অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু আগের মতই এ আসনেই নির্বাচন করতে অনড় রয়েছেন। কেননা আওয়ামী লীগের সঙ্গে যদি জাতীয় পার্টির জোটগত ঐক্য হয়, তবে এ আসনে মুজিবুল হক চুন্নু আবারও মহাজোটের মনোনয়ন পেতে পারেন। ফলে বিগত দুটি নির্বাচনের মতো আবারও কপাল পুড়তে পারে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। এ কারণে আওয়ামী অধ্যুষিত এ আসনে দলটি রয়েছে চরম অস্বস্তিতে। আওয়ামী লীগ চায় নিজের প্রার্থী দিয়েই আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। এ জন্য বর্তমান সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুকে ঘিরে মনোনয়ন নিয়ে সংকটে রয়েছে আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হচ্ছেনÑ দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য ড. মিজানুল হক, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও প্রত্যাহারকারী নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ, তথ্য প্রযুক্তিবিদ মুক্তিযোদ্ধা শেখ কবির আহমেদ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি আলহাজ এরশাদ উদ্দিন, বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ডের সাবেক সদস্য সচিব অধ্যক্ষ আসাদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক বিএমএ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাহবুব ইকবাল, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আলী ভূঁইয়া, করিমগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হাজী আব্দুল কাইয়ুম, এ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন, কৃষিবিদ মেজর (অব.) ড. মোঃ মুসলেহ উদ্দিন বাবুল, ড. আনিছুর রহমান আনিছ, অধ্যক্ষ আম্মান খান ও খন্দকার মনিরুজ্জামান খান নয়ন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ড. এম ওসমান ফারুকের প্রার্থিতা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠায় এবং তিনি প্রকাশ্যে না আসায় স্থানীয় বিএনপিতে এ নিয়ে টেনশনও রয়েছে। কোন কারণে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলটির প্রার্থী জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জালাল মোহাম্মদ গাউস, ড. এম ওসমান ফারুকের পতœী রানা ফারুক ও করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান ভিপি সাইফুল ইসলাম সুমনের নামও স্থানীয়দের আলোচনায় রয়েছে। অন্য দলগুলোর মধ্যে জেলা সিপিবির সাবেক সভাপতি ডাঃ এনামুল হক ইদ্রিস নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) ॥ জেলার হাওড় অধ্যুষিত উপজেলা ইটনা-মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম নিয়েই ভিআইপি নির্বাচনী আসন বলে পরিচত কিশোরগঞ্জ-৪। স্বাধীনতা উত্তর এ আসন থেকে সর্বাধিক ৭ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ভাটির শার্দুলখ্যাত বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। এ সময়ে তিনি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছেন। এদিকে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের ক্ষমতারোহন এবং পরবর্তী রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় মোঃ আবদুল হামিদের। তিনি তখন স্পীকার থেকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং পরবর্তীতে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। পরে তার আসনটি শূন্য হলে রাষ্ট্রপতিরই বড় ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক উপনির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও তৌফিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এমপি হয়ে তিনিও বাবার মতো স্বভাব-সুলভ আচরণে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করাসহ এলাকার দৃশ্যমান সার্বিক উন্নয়ন করে চলেছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভাটি এলাকায় বড় দুই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সরব উপস্থিতি। আপাতদৃষ্টিতে যদিও আওয়ামী লীগ থেকে বর্তমান এমপি রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক এবং বিএনপি থেকে চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি এ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান মনোনয়ন পাচ্ছেন-এমনটাই নিশ্চিত। অভিজ্ঞ মহলের মতে, এ আসনে একদিকে রাষ্ট্রপতি তনয় প্রকৌশলী তৌফিক, অন্যদিকে বর্ষীয়ান রাজনীতিক ফজলুর রহমান এটাই হবে আগামী নির্বাচনের সমীকরণ। এছাড়াও এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মিঠামইন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান। বিএনপি থেকে জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও ইটনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, একই এলাকার বিএনপির সাবেক এমপি আলহাজ ফরহাদ আহমেদ কাঞ্চনের বড় ছেলে ডাঃ ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী লাকী এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সুইডেন প্রবাসী কাজী মুনসুরুল কাদের টুটুল। কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) ॥ বাজিতপুর উপজেলায় পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়ন এবং নিকলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত আসন এটি। ১৮৬৪ সালে ময়মনসিংহের একদিন আগে বাজিতপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর পাশের উপজেলা হাওড় জনপদ নিকলী। বাজিতপুরেরও কিছু অংশ হাওড় ছুঁয়েছে। ফলে উজান-ভাটি মিলে এক অভিন্ন সংস্কৃতির জনপদ নিয়ে নির্বাচনী এলাকা কিশোরগঞ্জ-৫ গঠিত। স্বাধীনতা উত্তর ৩৮ বছর পর ২০০৮ সালের নির্বাচনসহ এ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি মোঃ আফজল হোসেন টানা দুই বারের সংসদ সদস্য। বিজয়ী দল আওয়ামী লীগ চায় জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে আর বিএনপি চায় আসনটি পুনরুদ্ধার করতে। তবে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিগত নয় বছরে যেমনি জমাটবাঁধা নানান অভিযোগ উঠে আসছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, তেমনি বিএনপির ভেতরে রয়েছে চরম বিভক্তি। ফলে উপদল-কোন্দলে বিপর্যস্ত দলটি। সমালোচনা, অভিযোগ থাকলেও নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে না বলে দাবি দলটির। অন্যদিকে বিভক্তি ও কোন্দল কাটিয়ে উঠে পরস্পরের মধ্যে আস্থা তৈরি করতে পারাটাই বিএনপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে দলটি। তবে রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, দুদলই এবার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ওই এলাকার দুইবারের এমপি মোঃ আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে রয়েছে দলের ভেতর-বাইরে নেতাকর্মীদের নানা অভিযোগ। তিনি ছাড়াও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হয়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাচ্ছেন তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাজিতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শেখ নূরুন্নবী বাদল, সাবেক আমলা ও আওয়ামী লীগ নেতা আলাউল হক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অজয় কর খোকন, জেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক ছাত্রনেতা শহীদুল্লাহ মোহাম্মদ শাহ নূর, নিকলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ নূরুল আমিন ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিল্টন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সালেহুজ্জামান খান রুনু, জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম আমীর উদ্দিন আহমেদের ছেলে এ্যাডভোকেট বদরুল মোমেন মিঠু, বাজিতপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এহসান কুফিয়া, নিকলী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শফিকুল আলম রাজন, হাজী মাসুক মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ নাসির, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বাদল, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান মঞ্জুর বড় ছেলে বিএনপি নেতা মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল এবং বিএনপির শরিক দল কেন্দ্রীয় মুসলীম লীগের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান খসরু ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা। এছাড়াও এ আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে জেলা সিপিবির সদস্য অধ্যাপক ফরিদ আহাম্মদ ও যুক্তফ্রন্ট থেকে এ্যাডভোকেট এ এম সলিমুল হক সেলিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরবে-কুলিয়ারচর) ॥ এ আসনটিও ভিআইপি আসন বলে পরিচত। জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র ভৈরব উপজেলা এবং ভাটি অঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত কুলিয়ারচর উপজেলা নিয়ে গঠিত কিশোরগঞ্জ-৬ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা। এ আসনে দলীয় প্রার্থী নিয়ে যতটা না আলোচনা রয়েছে, তার চেয়ে বেশি আলোচনা রয়েছে ভোটের ইস্যু নিয়ে। কেননা বড় দুদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় মনোনয়ন অনেকটাই চূড়ান্ত অবস্থায় রয়েছে। এখানে বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের ছেলে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে আওয়ামী লীগের এবং জেলা বিএনপি সভাপতি মোঃ শরীফুল আলমকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ভাবছেন এলাকাবাসী। আর এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীকে ঘিরেই চলছে নির্বাচনী হিসাব-নিকাশ। যদিও ভৈরব শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইফতেখার হোসেন বেনু আওয়ামী লীগের এবং ভৈরব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ও ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মোঃ গিয়াস উদ্দিন বিএনপির মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে জানা গেছে। ভৈরবে পৌরসভাসহ ৭ ইউনিয়ন এবং কুলিয়ারচরে পৌরসভাসহ ৬ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই আসনটি অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস ও নির্বাচনী ফলাফলের পরিসংখ্যানে আওয়ামী লীগের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে স্বীকৃত। স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত দশটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ’৭৩ সালের ৭ মার্চ, ’৮৬ সালের ৭ মে, ৯৬ সালের ১২ জুন, ২০০১ সালের পহেলা অক্টোবর ও ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পাঁচবার এ আসন থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আওয়ামী লীগ বয়কট করে। ১৯৭৯ সালে বিএনপির মজিবুর রহমান, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির আবু বকর সিদ্দিক, ১৯৯১ সালে বিএনপির আবদুল লতিফ ভূঁইয়া এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির মোঃ শফিকুল ইসলাম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাজমুল হাসান পাপন। তবে এর আগে ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে জিল্লুর রহমান রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে এ আসনে ওই বছরের ৩ এপ্রিল উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ উপনির্বাচনে রাষ্ট্রপতিপুত্র নাজমুল হাসান পাপন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
×