ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি সাম্প্রদায়িক জঙ্গী শক্তির উত্থান ঘটাতে পারে ॥ নির্বাচন সামনে রেখে

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ২৮ আগস্ট ২০১৮

বিএনপি সাম্প্রদায়িক জঙ্গী শক্তির উত্থান ঘটাতে পারে ॥ নির্বাচন সামনে রেখে

রাজন ভট্টাচার্য ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি সাম্প্রদায়িক জঙ্গী শক্তির উত্থান ঘটিয়ে দেশে ফের অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপিসহ সকল অপশক্তি মিলে দেশে ১/১১’র নীলনক্সা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা আওয়ামী লীগ করছে না। যদি বিএনপি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। জঙ্গী গোষ্ঠীর চলমান নীরবতা ভয়ঙ্কর হামলার প্রস্তুতি, এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক। তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেয়া হবে না। সোমবার সচিবালয়ে জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আগামী নির্বাচন, বিএনপির অংশগ্রহণ ও আন্দোলন, সরকারবিরোধী তৎপরতা মোকাবেলা, সাইবার অপরাধ, দলে অনুপ্রেবেশকারীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের অবস্থান, যোগাযোগ খাতের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসহ নানা বিষয় আলোচনায় উঠে আসে। বিএনপির আন্দোলন ঠেকাতে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, চলতি বছর ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে। বিএনপির নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রোধে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি রয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের জন্য যতই অপকৌশল বা আন্দোলনের হুমকি দিক না কেন, তা প্রতিহত করা হবে। আওয়ামী লীগ দেশের উন্নয়নের জন্য, গণতন্ত্র রক্ষায় জনস্বার্থে সব সময় অপশক্তির বিরুদ্ধে রাজপথে থেকে আন্দোলন করেছে। আওয়ামী লীগ অতীতে রাজপথে ছিল, বর্তমানে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য রাজপথে আছে, ভবিষ্যতেও রাজপথে থাকবে। ফলে বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি আন্দোলনের জন্য যতই হুমকি দিক না কেন, কোন লাভ হবে না। বিএনপির আন্দোলন করার মতো সাংগঠনিক শক্তি নেই উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। দলটির নেতারা আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষণা করে এসির মধ্যে থেকে পুলিশের গতিবিধি সম্পর্কে ফোনের মাধ্যমে জানতে চেষ্টা করেন। নেতারা যদি মাঠে না নামে তা হলে কি কর্মীরা মাঠে থাকবে? কখনই থাকবে না। তবে তাদের নেতৃত্বে ছদ্মবেশে জামায়াত-জঙ্গী-সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলো দিয়ে নাশকতামূলক গুপ্ত হামলা চালাতে পারে। সাম্প্রদায়িক জঙ্গী শক্তির উত্থান ঘটাতে পারে। তারা দুই বছর আগেও দেশের বিভিন্নস্থানে ভয়ঙ্কর হামলার পরিকল্পনা করেছিল। যার ধারাবাহিকতায় হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনা ঘটায়। তিনি বলেন, সরকার জঙ্গী গোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই শক্তি এখন আন্ডারগ্রাউন্ডে। এতে স্বস্তির কিছু নেই। জঙ্গী গোষ্ঠীর চলমান নীরবতা ভয়ঙ্কর হামলার প্রস্তুতি সে বিষয়টি আমাদের খেয়াল আছে। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক। নির্বাচন কেন্দ্র করে আবারও বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা চালাতে পারে। দলটির নেতাদের কথা ও আচরণে এমন আভাস মিলছে। তাদের লক্ষ্য শেখ হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগকে হটানো। ছদ্মবেশী সুশীল সমাজের একটি অংশ দেশে-বিদেশে আমাদের গণবিরোধী সরকার বলে গুজব ছড়াচ্ছে। দেশে সুশাসন নেই এমন অপপ্রচার চলছে। রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচার গ্রহণযোগ্য নয়। ওই সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠীর ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিগুলো, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সজাগ দৃষ্টিতে রয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের বাইরে কেউ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চলালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর হস্তে তা দমন করবে। মন্ত্রী এ সময় নাম প্রকাশ না করে বলেন, দেশে-বিদেশে গুজব ছড়ানো বিদেশীদের সঙ্গে আমাদের দেশের একজন নোবেলজয়ীও জড়িত রয়েছেন। তিনি আল জাজিরা টেলিভিশনের মাধ্যমে অনেক উস্কানিমূলক গুজব তথ্য ছড়াচ্ছেন। ছাত্র আন্দোলন নিয়ে তাই করেছেন তিনি। এই নোবেল বিজয়ী এক সময় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তিনি বিদেশী নোবেলজয়ী কাউকে কাউকে দিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া শহিদুল আলমের মুক্তির দাবিতে বিবৃতি এনেছেন। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলনে মাঠে না থাকলেও কোন কোন মিডিয়া তাদের টিকিয়ে রেখেছে। তারাও সরকারের বিরুদ্ধে গুজব-অপপ্রচারে নেমেছে। সবাই মিলে ১/১১’র নীলনক্সা বাস্তবায়নে সব ধরনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারী নেতাদের ব্যাপারে অবস্থান জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এ সম্পর্কিত একটি তালিকা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে রয়েছে। অনুপ্রবেশকারী নেতাদের চিহ্নিত করতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন। এই কমিটি তিন মাসের চেষ্টায় তালিকা তৈরি করে। অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের টিকেট অনুপ্রবেশকারীরা পাবে না। এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব। দলের জাতীয় কমিটি, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা কাজে লাগবে। জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই তারা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাবেন না। কোন আসনে দলের চারজন প্রার্থী থাকলে কে বেশি জনপ্রিয় তা যাচাই-বাছাই শেষে মনোনয়ন দেয়া হবে। বিএনপির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি প্রশ্নে কাদের বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনী ট্রেন বিএনপি মিস করেছে। সেদিন সংলাপের আহ্বানে তারা সাড়া দেয়নি। যদি সাড়া দিত, তাহলে দেশে গণতন্ত্রের ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো। তাদের দাবি মানার সুযোগ আর নেই। তারা সংলাপের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে। আমরা বিএনপির গুজব ও বিভ্রান্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত করব। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রস্তুতি প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার চেষ্টা আওয়ামী লীগ করছে না। তারা নির্বাচনে অংশ নিলে আমাদের বাধা দেবার কিছু নেই। যদি বিএনপি নিজেদের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে না আসে তাহলে নির্বাচন থেমে থাকবে না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বা দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সব গণতান্ত্রিক দেশে সকল দল নির্বাচনে আসে না। নির্বাচনে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলের অধিকার। এই অধিকার প্রয়োগে কোন বাধা নেই। নির্বাচন কমিশন ইলেকশনের আয়োজন করবে। রুলিং পার্টি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসিকে সহযোগিতা করতে বাধ্য। দেশে আবারও ১/১১মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে জানিয়ে কাদের বলেন, আশা করি এবার ১/১১ মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা চালালেও এবার পারবে না। কারণ, দেশের মানুষ সচেতন। তারা শেখ হাসিনা সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে। তা না হলে বিএনপির আন্দোলনের ডাকে মানুষ সাড়া দিত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে বিএনপির নেতৃত্ব সঙ্কটের সৃষ্টি হবে বলে আপনি এর আগে একাধিকবার এ কথা বলেছেন। কি ধরনের সঙ্কট সৃষ্টি হবে বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, তখন ক্ষমতায় বিএনপি ছিল। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায় তারা এড়াতে পারবে না। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও সহযোগিতা ছাড়া জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতার ওপর তখন গ্রেনেড হামলা হতে পারে না। সেদিন প্রকাশ্যে কর্তব্যরত পুলিশের চোখের সামনে সন্ত্রাসীরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে পালিয়ে গেল। এরপর গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করে দিল। এফবিআই দিয়ে তদন্ত করাতে দিল না, বরং বিএনপি সরকার জজ মিয়া নাটক সাজাল। বিএনপি যদি এই হামলার সঙ্গে জড়িত না থাকে তা হলে কেন তারা বিচারের পথ রুদ্ধ করতে এসব কার্যক্রম করল। গ্রেনেড হামলার প্ল্যানার, মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। আর কিলিং এজেন্ট যাদের নিয়োগ করেছে সেটিও তাদের। কথিত কমিশন দিয়ে হামলার তদন্ত করিয়েছে বিএনপি। মন্ত্রী বলেন, বিএনপির টার্গেট ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। ওইদিন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গিয়েছিলেন। আর সেদিনই বিএনপি সরকারের নিয়োগকৃত কিলিং এজেন্টরা তাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা করল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে। রায় কি হবে আমরা জানি না। আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করি। ডিজিটাল সন্ত্রাস-সাইবার অপরাধ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী অপপ্রচার রোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এর সুফল-কুফল দুটোই থাকবে। সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনেও গুজব সন্ত্রাস দেখেছি। এজন্য ডিজিটাল বাংলাদেশের দোষ নয়। তিনি বলেন, ফেসবুক হলো তথ্য প্রাপ্তির জায়গা। ফেসবুকে এত ভালর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকবেই। চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। অপপ্রচার রোধে সরকার সচেতন আছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারবিরোধী অপপ্রচার রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমার ফেসবুক আইডি ভারতের ব্যাঙ্গালোর থেকে হ্যাকডের পর উদ্ধার হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৫৭ ভাগ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, পদ্মা আনসারটেন রিভার। মাটি ও আবহাওয়া মাঝে মাঝে পক্ষে না থাকায় কাজ কিছুটা পিছিয়েছে। তবে পদ্মা সেতু নিয়ে আর কোন জটিলতা নেই। কাজ এখন দৃশ্যমান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে সেপ্টেম্বরে বলব। সেতু নির্মাণে আর ব্যয় বাড়ার সম্ভাবনা না থাকার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাড়লেও অসুবিধা নেই। মেট্রোরেলের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মেট্রোরেলের প্রথম পর্বের কাজ শেষ হবে। ২০২০ সালে শেষ হবে পুরো কাজ। বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্প সম্পর্কে বলেন, একটি বিদেশী প্রতিষ্ঠান প্রকল্পের কাজ পেয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমে অনেক ঢিলেমি। ফলে কাজ সময়মতো হয়নি। প্রতিষ্ঠানটিকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। প্রকল্পের কাজ নতুন করে জোরদারের যাত্রা শুরু হচ্ছে বলেও জানান তিনি। বলেন, কোন কোন মিডিয়া বিআরটি প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আরও ছয় বছর লাগবে এমন গুজব ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে এমন অপপ্রচার চালানো দুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইলেকশনের আগে ট্রাফিক বিঘ্নিত করে কোন উন্নয়ন কাজ হবে না। সড়ক পরিবহন আইনে বেপরোয়া পথচারীদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সড়ক পরিবহন আইনটি বিল আকারে পাস হবে আশা করি। তিনি বলেন, এতে সকল আইন অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান আছে। তিনি বলেন, শুধু চালকরাই নয়, পথচারীরাও বেপরোয়া। ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টোরাল টেকনিক্যাল এ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক)’ চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট নেপালের কাঠমাণ্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেয়া ও সেখানে আলোচ্য বিষয় প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিমসটেক যাদের নিয়ে গঠিত সেসব দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। আলোচনায় স্পর্শকাতর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
×