ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মারুফ রায়হান

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ২৮ আগস্ট ২০১৮

ঢাকার দিনরাত

ঈদ উপলক্ষে ঢাকা ছেড়ে যান কতজন? এর কোন হিসাব নেই। তবে আমরা জানি ঢাকায় বসবাস করেন প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষ। ঈদের সময়ে ঢাকার জনসংখ্যার যে আভাস মেলে তাতে এ কথা বললে নিশ্চয়ই ভুল হবে না যে ঢাকা ছেড়ে যতজন যান, তার চেয়ে কম সংখ্যক মানুষ ঈদে ঢাকায় থাকেন। ঢাকার বাইরে ৬৩টি জেলায় ঈদ করতে যারা ঢাকা ছাড়েন তাদের সবার ভ্রমণ নির্বিঘœ ও নিরাপদ হয় না। নানা ঝক্কি ও বিড়ম্বনা থাকে তাতে। কয়েক ঘণ্টার পথ পেরুতে যদি প্রায় আস্ত একটি দিনই লেগে যায় তাহলে সড়কপথে এই ঈদযাত্রাকে আমরা সন্তোষজনক বলব কী উপায়ে? সাড়ে একুশ ঘণ্টা! একটি টিভি চ্যানেলে কর্মরত আমার এক ছোট বোন নুসরাত জাহান দেশের বাড়ি বগুড়া পৌঁছেছেন সাড়ে একুশ ঘণ্টায়। তাকে অনুরোধ করেছিলাম বিশদ জানাতে, কেন এতক্ষণ লাগল? আমার জিজ্ঞাসার জবাব তার মুখ থেকেই শোনা যাক। নুসরাত বলছেন : ‘পাঁচ বছর আগেও ঈদ মানে ছিল আমার কাছে আনন্দ। বাড়ি ফেরার আনন্দ। আর এখন? আতঙ্ক! বাড়ি ফেরার আনন্দটাকে আতঙ্কে পরিণত করেছে আর কিছুই নয়, পথে ঝক্কি! সড়কপথে মাত্র ছয় ঘণ্টার পথ ঈদের সময় পাড়ি দিতে এখন লেগে যায় ১৬-১৭ ঘণ্টা! আর এবার তো আমার লেগে গেল পাক্কা সাড়ে ২১ ঘণ্টা। ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষের ভিড় সামাল দেবার মতো পর্যাপ্ত গাড়ির ব্যবস্থা থাকে না। ফলে ঢাকার লোকাল বাসগুলোকে দেখা যায় দূরপাল্লার পথ পাড়ি দিতে। এই বাসগুলোর ড্রাইভার হাইওয়েতে গাড়ি চালানোর কোন নিয়ম তো মানেই না, বরং হাইওয়েকে করে তোলে ঢাকার রাস্তা। প্রতি মোড়ে মোড়ে বাস থামিয়ে চলতে থাকে যাত্রী তোলা। বাসের আরোহীরা প্রতিবাদ করলেই সুপারভাইজার দিয়ে বাস থেকে নামিয়ে দেয়ার খোলা হুমকি! যে করেই হোক, গন্তব্যে যেতে হবে। তাই চুপচাপ এসব অরাজকতা মেনে নেয়া ছাড়া কিছুই করার থাকে না যাত্রীদের। সেই সঙ্গে বাড়তি ভাড়া তো আছেই। এরকমই একটা বাসে রোজার ঈদের সময় বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছিলাম। তবে এবারের ঈদযাত্রাটা রেকর্ড। সাড়ে ২১ ঘণ্টা মানে জীবনের একটি পুরো দিন বাসে অর্থহীনভাবে কাটানো। রাস্তায় চলতে থাকা ফ্লাইওভারের কাজ, ফোর লেনের কাজ, এলোপাতাড়ি চালানো লোকাল বাস, কে আগে যাবে- এই প্রতিযোগিতার ফলে হওয়া অ্যাক্সিডেন্ট সবকিছু কেড়ে নেয় বাড়ি ফেরার আনন্দ। তবু বাড়ি পৌঁছে স্বস্তির নিঃশ্বাস- নিরাপদে পৌঁছেছি, অক্ষত অবস্থায় পৌঁছেছি। এই অযৌক্তিক স্বস্তিটার পেছনে কাজ করে দিনকে দিন বেড়ে চলা সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতি বছর ঈদের সময় এলেই দমবন্ধ করা একটা ব্যাপার কাজ করে, পত্রিকা খুলতে ভয় লাগে- আজ কতজন যে মারা গেছে! সারা বছরজুড়ে বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় হাজার হাজার মানুষ। আর এ বছর তো অর্ধেক না যেতেই মারা পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। তাহলে সাড়ে ২১ ঘণ্টা বাসে কাটিয়ে অক্ষত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে কেন হাঁপ ছাড়ব না?’ টানা ছুটি আর আনন্দের ঈদ-কড়চা ঈদের দিন তো একটিমাত্র দিন, মানে ২৪ ঘণ্টা। তাইতো? কিন্তু ঈদ আনন্দ কি আর এক দিনে শেষ হতে পারে! টেলিভিশন নিয়ম করে ফেলেছে ঈদ উপলক্ষে ৭ দিন বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচারের। সমাজ নিরীক্ষণ করেই নিশ্চয় তারা এমন নিয়ম চালু করেছে। বাঙালীর ঈদ ৭ দিনের আগে শেষ হয় না। যদিও সরকারী হিসেবে ছুটি মেলে মাত্র তিন দিনের। তাতে কি! মানুষ কোন না কোন বুদ্ধি খাটিয়ে ঈদের ছুটি প্রলম্বিত করে। শুক্রবার জনকণ্ঠ ভবনে আসতে আসতে ভাবছিলাম গণমাধ্যমকর্মী আর জরুরী সেবা প্রদানকারী সংস্থার কর্মীরা ছাড়া ঈদের একদিন পর শুক্রবারে কেই বা অফিস করছেন! সরকারী কার্যালয়ের প্রথম কার্যদিবস রবিবারও ঢাকার অবস্থা ছিল একই রকম সুনসান। ঈদের তিন দিনের সঙ্গে শুক্র-শনি মিলিয়ে পাঁচদিনের ছুটি কাটিয়েও মানুষের ঈদ আনন্দ ফুরোতে চায় না। সত্যি বলতে কি ঢাকার বাইরে যারা যান তাদের যেতে আসতে প্রায় দুটো দিন চলে গেলে ঈদের আনন্দের জন্য খুব বেশি সময় তো হাতে থাকে না। তাই কোন না কোন উপায়ে মানুষ অবকাশের সময়টুকু বাড়িয়ে নেন। ঈদের পর সাত দিন না কাটলে ঢাকা ত্যাগকারীদের ঢাকা ফিরতে মন চায় নাÑ এমনটা তো দেখেই আসছি দশকের পর দশক ধরে। নিজস্ব ছন্দে ফেরার আগের কয়েকটা দিন ঢাকার রীতিমতো ঝিমুনি ভাব চলে আসে। গলির এ মাথা ও মাথা তাকিয়ে থেকে অনেক সময় একখানা খালি রিক্সার দেখা মেলে না। বড় রাস্তায় বাস-মিনিবাসের সংখ্যাও কমে আসে। কুড়ি মিনিটের রাস্তা পেরুতে কুড়ি মিনিটই লাগে, দুই ঘণ্টা কুড়ি মিনিট নয়, এটাই পরম স্বস্তি। তবে যানবাহনের জন্য অনেক সময় অপেক্ষাও করতে হয়। ওই যে বললাম, বাস-মিনিবাসের সংখ্যা কমে যায়। উত্তরা-মতিঝিল রুটের এসি বাসের কাউন্টার বন্ধ থাকে সাত-সাতটা দিন। ঈদের মৌসুমে অনেক কোম্পানির বাসই ঢাকার বাইরে দূরপাল্লার সার্ভিস দিয়ে থাকে। ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষদের ফিরিয়ে আনার কাজটাও তো করতে হবে। তাতে মুনাফাও বেশ। তাই ঢাকায় গণপরিবহনে সঙ্কট বেড়ে যায়। কোরবানি ঈদের আগে লাখো গরু-ছাগলের আগমনের কারণে রাজধানীর অবয়ব অনেকটাই বদলে যায়। বিশেষ করে আবাসিক এলাকাগুলোয় এক অন্যতর গন্ধ পাওয়া যায়। যে গলিতে কুকুর-বিড়াল ছাড়া অন্য মানবেতর প্রাণীর প্রবেশাধিকার মেলে না, সেখানে বীরদর্পে ঢুকে পড়ে দশাসই ষাঁড়। সেই সঙ্গে নিরীহ দর্শন কিছু ছাগলও। এ দুটি প্রাণীর উদরপূর্তির জন্য খড়-বিচালি ও কাঁঠাল পাতার প্রয়োজন পড়ে। গরু-ছাগলের হাঁকডাক গলির ধ্বনি তরঙ্গে আচমকা ভিন্ন আবহ নিয়ে আসে। গোবর-গোমূত্রের গন্ধ গ্রামীণ পরিবেশে মিশে থাকে, নগরীতে তা সাময়িক। ফলে সাময়িকভাবেই বদলে যায় রাজধানীর পরিবেশ। গরু বাঁধার জন্য গাছ কি মেলে সব স্থানে? বরং রয়েছে ইলেকট্রিকের পোল, ফটকের লোহা বা ইস্পাত নির্মিত বার ও গ্রীল। সেসবের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয় কোরবানির পশু। স্বল্পকালীন এই অতিথিরা কোরবানির শেষে এক রকম অদৃশ্যই তো হয়ে যাবে। তবু কটা দিন রাজধানীর সামগ্রিক পরিবেশ ও অর্থনীতিতে একটা বড় প্রভাব পড়তে দেখি আমরা। সড়কে সড়কে দেখি মাংস কাটার ধারালো সরঞ্জাম, হোগলা পাতার পাটি এবং গাছের গুঁড়ির কর্তিত অংশ নিয়ে বসে পড়েন দোকানিরা। সব মিলিয়ে এক ভিন্নধর্মী বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে রাজধানী বছরে এই একটিবার। মমতাভরে কাঁঠালপাতা যে ছাগলটির মুখে তুলে দিতে দেখলাম এক ঘরণীকে, ঈদের দিন সেই তিনি ওই প্রাণীটির মাংস দারুণ মসলা সহযোগে রেঁধে তার টুকরো তুলে দেবেন প্রিয়জনের পাতে। ঈদে ঢাকার অলিগলি অনেকটাই জনহীন হয়ে পড়ায় চুরি ও ছিনতাইয়ের আশঙ্কাও যে এই সময়টায় বেড়ে যায়, সেকথা বলাই বাহুল্য। সন্ধ্যার পর ফাঁকা গলিতে ঢুকতে গিয়ে অনেকেরই গা ছমছম করে। অভিজাত রেস্টুরেন্ট নয়, সাধারণ মানের হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলো কয়েকটা দিন বন্ধ থাকে। ফলে পুরুষ ব্যাচেলরদের খানিকটে অসুবিধায় পড়তে হয় ঈদের ছুটির কয়টা দিন। কেননা অনেক সময় মেসের বুয়াও কোরবানির মাংস সংগ্রহ এবং তা নিয়ে দেশের বাড়িতে যাওয়ায় মেসবাড়ির চুলো বন্ধ থাকে। গৃহকর্মী বা গৃহপরিচারিকারা, মানে বুয়ারা ঈদের সময় দীর্ঘ ছুটিতে গিয়ে ফিরে এসে আর আগের বাসাবাড়ির কাজে যোগ দেয় না। নতুন কাজ নেয়। অথচ ঈদের আগে ঈদের বোনাস বা নতুন কাপড় পাওয়ার জন্য তারা নানা কথা বলে। তাই ঈদ এলে ঢাকার গৃহিণীদের সাধারণ দুশ্চিন্তা শুরু হয় ঈদশেষে বুয়া ফিরে না এলে নতুন বুয়ার খোঁজ লাগাতে হবে। ঢাকা মহানগরীতে সিএনজি অটোরিকশার সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। এর মধ্যে বৈধ অটোরিকশা ১২ হাজার ৮৩০টি। সরকার মিটার রিডিংয়ে ভাড়া নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে। নজরদারির জন্য রয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় সিএনজিঅলারা আরও স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। ফলে ভোগান্তি বাড়ে যাত্রীদের। তবে স্বীকার করব, অনলাইন এ্যাপসনির্ভর সার্ভিস উবার পেতে অসুবিধে হয়নি ঈদের দিন। কিন্তু রাত নয়টার পর মিরপুর থেকে উত্তরায় ফেরার জন্য অনলাইনে গিয়ে দেখি সার্ভিস বন্ধ। এমনটা আশা করিনি। বর্জ্য অদৃশ্য, তবু বাতাসে দুর্গন্ধ! এতকাল আমরা কী দেখে এসেছি? কোরবানির পশু জবাইয়ের পর রাজধানীর প্রায় প্রতিটি অলিগলির নালানর্দমা ভরাট হয়ে বড় ধরনের পরিবেশগত সমস্যা দেখা দিত। জবাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ বাড়ির সামনের রাস্তা ব্যবহার করা হয়। সিটি করপোরেশন কয়েক দিন ধরে ধোয়ামোছা এবং দুর্গন্ধনাশক ব্যবহার করেও সার্বিক স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খেত। এই তো কয়েক বছর আগেও ঈদ-উল-আজহার পর বাইরে বেরুলে ঢাকাবাসীকে নাকে রুমাল চেপে পথ পেরুতে হতো বেশ কিছুদিন। কোরবানির পশু জবাইয়ের পর শুকনো রক্ত, নাড়িভুঁড়িসহ বিবিধ বর্জ্যে বাতাস দুর্গন্ধে ভারি হয়ে উঠত। আর নগরবাসী পড়তেন বিপাকে। ধুলো-আবর্জনা-দূষণের শহর ঢাকার বাসিন্দারা এমনিতেই সারাক্ষণই পরিবেশগত বিপন্নতার মধ্যে বসবাস করেন। কোরবানির সময় লাখ লাখ পশু জবাইয়ের পর সেই বিড়ম্বনা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছে। এমনকি ঢাকার বাইরে ঈদ করতে যাওয়া কোটি মানুষ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরে আসার পরও সেই দুর্গন্ধ পুরোপুরি দূর হতো না। গত দুই বছর হলো পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এ বছর পরিস্থিতি আরও ভাল। সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকার থাকলে যে আপাত দুরূহ বিশাল কাজটিও সুসম্পন্ন হতে পারেÑ তারই দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এবং সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষা করার ব্রতটি নিষ্ঠার সঙ্গে প্রশংসনীয়ভাবে পালন করে চলেছে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ফলে বড় কিংবা ছোট রাস্তায় কোরবানির পশুর বর্জ্য দৃশ্যমান হচ্ছে না। কিন্তু বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ঈদের দুদিন পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি ব্লকে ঈদ-পুনর্মিলনীতে গিয়ে গাড়ি থেকে রাস্তায় নেমেই দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম ঘটলো। অথচ কাছেপিঠে বড় ধরনের বর্জ্যস্তূপ দেখতে পেলাম না। তবে বলা দরকার, বহুতল ভবনের গ্যারাজে এবং সামনের রাস্তায় পালাক্রমে গরু-ছাগল জবাইয়ের যে সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বড় ধরনের প্রচারণা দরকার। একবার দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই ও কোরবানির বর্জ্য ফেলার প্রচারণার জন্য ৫৫ হাজার লিফলেট ছাপা হয়েছিল। ঈদের আগের দুদিন প্রতি ওয়ার্ডে মাইকিংও করা হয়। এ ছাড়া মসজিদের ইমামদের অনুরোধ করা হয়েছিল, নামাজের পর যাতে এসব বিষয়ে মুসল্লিদের সচেতন করানো হয়। বিশেষ উন্নতি হয়নি এসব পদক্ষেপ গ্রহণ সত্ত্বেও। মানুষকে সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করার কাজটি করতেই হবে। যদিও প্রথম প্রথম একটু ঝামেলা হবে। ধরা যাক, কোন বাড়ির বাসিন্দা গরু-ছাগল কোরবানি দেবেন বলে ঠিক করলেন, তার এলাকায় কোরবানির যে স্থানটি নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি এক কিলোমিটার কিংবা তার চেয়ে বেশি দূরত্বে। পশুকে সেখানে নিতে হবে এবং কোরবানির পর কাটাকুটি ভাগবাটোয়ারা শেষে মাংস ঘরে নিয়ে ফিরতে হবে। এটাকে এখন বেশ ঝক্কিপূর্ণ মনে হচ্ছে। কিন্তু পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খলভাবে করতে পারলে এ থেকে উপকারই পাওয়া যাবে। বহির্বিশ্বে বসবাসকারী মুসলিম বাঙালীরা কি যত্রতত্র গরু-ছাগল জবাইয়ের সুযোগ পান? কোরবানির সময় অনেকের পক্ষে গরু দেখারও সুযোগ থাকে না। সেসব দেশে ব্যবস্থাপক টিম থাকে। আশা করতে পারি একদিন আমাদের দেশেও, অন্তত ঢাকা শহরে কোরবানি দেয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্যসম্মত হবে। গোটা রাজধানীতে গরু জবাই করা বন্ধ হবে, অধিকাংশ রাস্তা গরুর রক্তে লাল হয়ে উঠবে না। শিশুদের মনের ওপর এসব দৃশ্যের যে কী চাপ পড়ে, সে প্রসঙ্গে আর গেলাম না। ২৬ আগস্ট ২০১৮ [email protected]
×